০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে ত্রুটি, মাঠে নামল জাতীয় মহিলা কমিশন

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার
  • / 117

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ২৩ জুন কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তমান্না খাতুন নামে এক নাবালিকার। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় মিছিল থেকেই ওই বোমা ছোড়া হয়েছিল। ঘটনার দীর্ঘদিন পরও ন্যায়বিচার না মেলায় এবার কালীগঞ্জে পৌঁছল জাতীয় মহিলা কমিশনের তদন্তকারী দল। নিহত তমান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার।

তমান্নার মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জন গ্রেফতার হয়েছে, যার মধ্যে মূল অভিযুক্ত গাওয়াল শেখও রয়েছে। তবে এখনও ১৪ জন অভিযুক্ত পলাতক, যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তমান্নার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ তদন্তে ঢিলেমি করছে, ফলে এখনও পর্যন্ত পরিবার সুবিচার পায়নি।

তমান্নার মা সাবিনা বিবি জানান, ২৩ জুন কীভাবে ঘটেছিল পুরো ঘটনাটি। তিনি বলেন, “যিনি ভোটে জিতলেন, তিনি একবারও আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। এটাই প্রমাণ করে, সাধারণ মানুষের জীবন তাঁদের কাছে কতটা মূল্যহীন।”

আরও পড়ুন: বিজেপি বনাম সিপিএম: মোদী-মমতা ‘সেটিং’ বিতর্কে কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ঘিরে পাল্টা জবাব?

এদিন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অফিসে গিয়ে এসপির সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার মাকওয়ানা মিতকুমার এবং ডিএসপি শিল্পী পাল। তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় তদন্তের গতি, ফরেন্সিক রিপোর্ট, চার্জশিট দাখিল ও বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার নিয়ে। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, বাকি ১৪ জন অভিযুক্তকেও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে, এবং কোনও অভিযুক্ত ছাড় পাবে না।

আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তমন্না খুনে মূল অভিযুক্ত গাওয়াল শেখ ও ছেলেকে গ্রেফতার, তদন্তে গতি পুলিশ প্রশাসনের

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্চনা মজুমদার বলেন, “পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরে তদন্তে কিছুটা গতি এসেছে। আমরা হস্তক্ষেপ না করলে এই ১০ জনেরও গ্রেপ্তার হতো না। আমরা চাই দ্রুত চার্জশিট জমা পড়ুক ও অভিযুক্তরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক।” কমিশনের তরফে একটি তদন্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রস্তুত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে জাতীয় মহিলা কমিশনের দায়ের করা নারী নির্যাতনের মামলার ৫৫ শতাংশই উত্তরপ্রদেশে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কালীগঞ্জ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে ত্রুটি, মাঠে নামল জাতীয় মহিলা কমিশন

আপডেট : ৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ২৩ জুন কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তমান্না খাতুন নামে এক নাবালিকার। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় মিছিল থেকেই ওই বোমা ছোড়া হয়েছিল। ঘটনার দীর্ঘদিন পরও ন্যায়বিচার না মেলায় এবার কালীগঞ্জে পৌঁছল জাতীয় মহিলা কমিশনের তদন্তকারী দল। নিহত তমান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার।

তমান্নার মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জন গ্রেফতার হয়েছে, যার মধ্যে মূল অভিযুক্ত গাওয়াল শেখও রয়েছে। তবে এখনও ১৪ জন অভিযুক্ত পলাতক, যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তমান্নার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ তদন্তে ঢিলেমি করছে, ফলে এখনও পর্যন্ত পরিবার সুবিচার পায়নি।

তমান্নার মা সাবিনা বিবি জানান, ২৩ জুন কীভাবে ঘটেছিল পুরো ঘটনাটি। তিনি বলেন, “যিনি ভোটে জিতলেন, তিনি একবারও আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। এটাই প্রমাণ করে, সাধারণ মানুষের জীবন তাঁদের কাছে কতটা মূল্যহীন।”

আরও পড়ুন: বিজেপি বনাম সিপিএম: মোদী-মমতা ‘সেটিং’ বিতর্কে কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ঘিরে পাল্টা জবাব?

এদিন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অফিসে গিয়ে এসপির সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার মাকওয়ানা মিতকুমার এবং ডিএসপি শিল্পী পাল। তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় তদন্তের গতি, ফরেন্সিক রিপোর্ট, চার্জশিট দাখিল ও বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার নিয়ে। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, বাকি ১৪ জন অভিযুক্তকেও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে, এবং কোনও অভিযুক্ত ছাড় পাবে না।

আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তমন্না খুনে মূল অভিযুক্ত গাওয়াল শেখ ও ছেলেকে গ্রেফতার, তদন্তে গতি পুলিশ প্রশাসনের

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্চনা মজুমদার বলেন, “পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরে তদন্তে কিছুটা গতি এসেছে। আমরা হস্তক্ষেপ না করলে এই ১০ জনেরও গ্রেপ্তার হতো না। আমরা চাই দ্রুত চার্জশিট জমা পড়ুক ও অভিযুক্তরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক।” কমিশনের তরফে একটি তদন্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রস্তুত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে জাতীয় মহিলা কমিশনের দায়ের করা নারী নির্যাতনের মামলার ৫৫ শতাংশই উত্তরপ্রদেশে