২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচনে কি বামেদের সঙ্গে জোট? Biman Bose-কে চিঠি নওশাদ সিদ্দিকীর

- আপডেট : ২৫ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
- / 200
পুবের কলম প্রতিবেদক: ২০২৬-এ রাজ্যে রয়েছেন বিধানসভা নির্বাচন তার আগে সিপিএমের অবস্থান জানতে বিমান বসুকে চিঠি দিলেন আইএসএফ প্রধান বিধায়ক Naushad Siddiqui।২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল আইএসএফ। বাংলার রাজনীতির ময়দানে তারা ছিল নব্য। নির্বাচনে কংগ্রেস ও সিপিএম কোনও আসন না পেলেও উল্লেখযোগ্যভাবে আসন পেয়ে যায় আইএসএফ। বিধায়ক হন নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqui)। এবার আরও একটা বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। আর তার আগেই সিপিএমের কাছে গেল নওশাদের চিঠি।
PM’s degree: প্রধানমন্ত্রী মোদির স্নাতকের ফল জানাতে বাধ্য নয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়: Delhi HC
সময়ের দাবি মেনে দ্রুত হোক জোট। এমন আর্জি জানিয়েই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে চিঠি লিখলেন আইএসএফ-এর চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী। জোটের জন্য আর সময় নষ্ট না করে প্রক্রিয়া শুরু করা হোক। সূত্রের খবর, চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
২০২১ সালে বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফের জোট হয়েছিল। তার পোশাকি নাম ছিল সংযুক্ত মোর্চা। এবারও সেই একইভাবে তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী জোট তৈরির কথা বলেছেন নওশাদ। সেই জোটে এবার আরও কিছু সামাজিক সংগঠনের অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করেছেন নওশাদ।
২০২১ সালে সংযুক্ত মোর্চা তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিমান বসু। সেইভাবেই এবার জোট গঠন প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট কবে নওশাদের এই আর্জিতে সাড়া দেয়, সেটাই দেখার। ২০২৬-এ আদৌ কী জোট হবে ,না নওশাদের দল একাই লড়বে সেটা এখন প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, বিধানসভায় জোট গঠন হলেও, লোকসভায় বামেদের সঙ্গ ত্যাগ করেছিল আইএসএফ। তার জন্য সিপিএমের দিকেই দায় ঠেলেছিলেন নওশাদ। মুর্শিদাবাদে আইএসএফ প্রার্থীর নাম ঘোষণার করে দেওয়ার পর, সেখানে প্রার্থী দিয়ে দেয় সিপিএম। তারপরই নওশাদ বলেছিলেন, জোটে লড়বেন না তিনি।
আবার গত বছরের শেষে হাড়োয়ায় যখন উপ নির্বাচন হয়, তখন বাম ও আইএসএফ আবারও জোট বাঁধে। আইএসএফ-এর হয়ে প্রচারেও দেখা গিয়েছিল সুজন চক্রবর্তী, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যদের। ফলে পরিস্থিতি কোন দিকে যায় ,এখন সেদিকে লক্ষ্য রাজ্য রাজনীতি তে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছে আইএসএফ সেই লক্ষ্যে তারা কাজ শুরু করেছে। ২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসক দল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।