২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাৎসি কায়দায় গণহত্যা গাজায়: রাষ্ট্রসংঘ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, সোমবার
  • / 40

গাজা : ইসরাইল কর্তৃক গাজায় সংঘটিত সহিংসতা ও মানবিক বিপর্যয়কে নাৎসিদের অত্যাচারের সঙ্গে তুলনা করেছেন রাষ্ট্রসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদনকারী ফ্রান্সেস্কা আলবানেজ।

 

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘ ‘অপ্রাসঙ্গিক’: আন্তর্জাতিক সংস্থার তীব্র সমালোচনা মোদির

তিনি বলেন, ‘একটি রাষ্ট্র যখন শিশুদের গুলি করে মারে, লক্ষাধিক মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রাখে, তখন তা ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ নিষ্ঠুরতাকে মনে করিয়ে দেয়।’

আরও পড়ুন: ইসরাইলের আবাসন নীতি বর্ণবাদী: রাষ্ট্রসংঘ

শুধু রাষ্ট্রসংঘ নয়, ইসরাইলি সেনারাও গাজায় তাদের কার্যক্রমের তুলনা করেছেন নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে। ইসরাইলের প্রভাবশালী পত্রিকা হারেজৎ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদননে এক সেনা বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন নাৎসি সেনা, ওরা যেন ইহুদি। আমরা যেমন আচরণ করছি, তা কোনও যুদ্ধনীতির সঙ্গে মেলে না।’

আরও পড়ুন: বিশ্ব খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমেছে: রাষ্ট্রসংঘ

 

তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, গাজায় নির্বিচারে গোলাবর্ষণ, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো এবং পুরো পাড়া-মহল্লা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে নির্দেশহীনভাবে। অনেক ক্ষেত্রেই ‘সন্দেহজনক’ এলাকা বলেই হাজার হাজার পরিবারকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান অবরোধ ও খাদ্য সংকটে এখন পর্যন্ত ৮৬ জন, যার মধ্যে ৭৬ জন শিশু, মৃত্যুবরণ করেছে। সর্বশেষ, একজন প্রতিবন্ধী ফিলিস্তিনি নাগরিক মুহাম্মদ আল-সওয়াফিরি খাবার না পেয়ে মারা যান। ফ্রান্সেস্কা আলবানেজ বলেন, ‘আমাদের প্রজন্ম শিখেছিল, নাৎসিবাদ মানবতার সবচেয়ে জঘন্য অধ্যায়। আজ আমরা কীভাবে চোখ বন্ধ করে রাখি; যখন একটি জাতি একই ধরনের বর্বরতা চালায় অন্য এক জনগণের ওপর?’

রাষ্ট্রসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ এনেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইতিমধ্যে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গ্যালান্ত,এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। কিন্তু তাতে গাজায় হামলার তীব্রতা কমেনি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নাৎসি কায়দায় গণহত্যা গাজায়: রাষ্ট্রসংঘ

আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, সোমবার

গাজা : ইসরাইল কর্তৃক গাজায় সংঘটিত সহিংসতা ও মানবিক বিপর্যয়কে নাৎসিদের অত্যাচারের সঙ্গে তুলনা করেছেন রাষ্ট্রসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদনকারী ফ্রান্সেস্কা আলবানেজ।

 

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘ ‘অপ্রাসঙ্গিক’: আন্তর্জাতিক সংস্থার তীব্র সমালোচনা মোদির

তিনি বলেন, ‘একটি রাষ্ট্র যখন শিশুদের গুলি করে মারে, লক্ষাধিক মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রাখে, তখন তা ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ নিষ্ঠুরতাকে মনে করিয়ে দেয়।’

আরও পড়ুন: ইসরাইলের আবাসন নীতি বর্ণবাদী: রাষ্ট্রসংঘ

শুধু রাষ্ট্রসংঘ নয়, ইসরাইলি সেনারাও গাজায় তাদের কার্যক্রমের তুলনা করেছেন নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে। ইসরাইলের প্রভাবশালী পত্রিকা হারেজৎ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদননে এক সেনা বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন নাৎসি সেনা, ওরা যেন ইহুদি। আমরা যেমন আচরণ করছি, তা কোনও যুদ্ধনীতির সঙ্গে মেলে না।’

আরও পড়ুন: বিশ্ব খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমেছে: রাষ্ট্রসংঘ

 

তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, গাজায় নির্বিচারে গোলাবর্ষণ, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো এবং পুরো পাড়া-মহল্লা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে নির্দেশহীনভাবে। অনেক ক্ষেত্রেই ‘সন্দেহজনক’ এলাকা বলেই হাজার হাজার পরিবারকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান অবরোধ ও খাদ্য সংকটে এখন পর্যন্ত ৮৬ জন, যার মধ্যে ৭৬ জন শিশু, মৃত্যুবরণ করেছে। সর্বশেষ, একজন প্রতিবন্ধী ফিলিস্তিনি নাগরিক মুহাম্মদ আল-সওয়াফিরি খাবার না পেয়ে মারা যান। ফ্রান্সেস্কা আলবানেজ বলেন, ‘আমাদের প্রজন্ম শিখেছিল, নাৎসিবাদ মানবতার সবচেয়ে জঘন্য অধ্যায়। আজ আমরা কীভাবে চোখ বন্ধ করে রাখি; যখন একটি জাতি একই ধরনের বর্বরতা চালায় অন্য এক জনগণের ওপর?’

রাষ্ট্রসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ এনেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইতিমধ্যে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গ্যালান্ত,এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। কিন্তু তাতে গাজায় হামলার তীব্রতা কমেনি।