০৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চার জেলায় বিজেপির নতুন সভাপতি ঘোষণা, দার্জিলিং-বনগাঁ-ব্যারাকপুরে বদল

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
  • / 25

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের চারটি সাংগঠনিক জেলায় নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করল বিজেপি। এর আগে ৩৯টি জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করা হলেও বাকি ছিল দার্জিলিং, বনগাঁ, ব্যারাকপুর এবং ঘাটাল। বুধবার সেই চার জেলার জন্যও নাম চূড়ান্ত করল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। নতুন তালিকায় দেখা যাচ্ছে, তিনটি জেলায় সভাপতি বদল হলেও ঘাটালে আগের সভাপতিই বহাল থাকছেন।

 

দার্জিলিং সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি সঞ্জীব তামাং। বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, পাহাড়ে দলের কৌশল নির্ধারণে স্থানীয় সাংসদ রাজু বিস্তার মতামতকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিস্তা নিজে রাজনীতির কৌশল সাজান, সেই কারণেই সঞ্জীবের নাম উঠে এসেছে বলে দলীয় সূত্রের ব্যাখ্যা।

আরও পড়ুন: দিল্লি পুলিশের চিঠিতে বাংলা ভাষার অপমান, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ ট্যুইটে

 

আরও পড়ুন: বিহার এসআইআর: মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলি থেকেই সর্বাধিক নাম বাদ

বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হলেন বিকাশ ঘোষ, যিনি মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান ও স্থানীয় সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বিজেপির একাংশ মনে করছে, শান্তনুর আস্থাভাজন হওয়ার কারণেই বিকাশকে নেতৃত্বে আনা হয়েছে। ফলে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের দিক থেকে দল কৌশলগতভাবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

আরও পড়ুন: এসআইআর-আলোচনায় ভয় পাচ্ছে বিজেপি: ডেরেক

 

ব্যারাকপুরের সভাপতি হয়েছেন তাপস ঘোষ, যিনি যুব মোর্চা থেকে উঠে আসা নেতা। তিনি একসময় রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে সুকান্ত মজুমদার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সংগঠনের অভ্যন্তরেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। ব্যারাকপুরে তাঁকে সভাপতি করতে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহেরও আপত্তি ছিল না, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হয়েছে বলে দাবি বিজেপি সূত্রের।

 

ঘাটাল সাংগঠনিক জেলায় কোনও পরিবর্তন হয়নি। সভাপতি পদে আবারও তন্ময় দাসকেই বহাল রাখা হয়েছে। তিনিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। যদিও তন্ময়ের পরিবর্তে নতুন মুখ আনার চর্চা হয়েছিল দলের অন্দরেই, তবে সর্বসম্মত কোনও বিকল্প খুঁজে না পাওয়ায় পুরনো নেতৃত্বকেই পুনর্বহাল রাখা হয়েছে।

 

এই চার সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করার মাধ্যমে রাজ্য বিজেপি তাদের পূর্ণাঙ্গ সাংগঠনিক কাঠামো গঠনের দিকে আরও এক ধাপ এগোল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই নিয়োগে বিজেপি স্পষ্টভাবে স্থানীয় সাংসদদের প্রভাব ও আস্থাকে গুরুত্ব দিয়েছে, যার ফলে সংগঠনের ভিত আরও মজবুত হতে পারে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চার জেলায় বিজেপির নতুন সভাপতি ঘোষণা, দার্জিলিং-বনগাঁ-ব্যারাকপুরে বদল

আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের চারটি সাংগঠনিক জেলায় নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করল বিজেপি। এর আগে ৩৯টি জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করা হলেও বাকি ছিল দার্জিলিং, বনগাঁ, ব্যারাকপুর এবং ঘাটাল। বুধবার সেই চার জেলার জন্যও নাম চূড়ান্ত করল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। নতুন তালিকায় দেখা যাচ্ছে, তিনটি জেলায় সভাপতি বদল হলেও ঘাটালে আগের সভাপতিই বহাল থাকছেন।

 

দার্জিলিং সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি সঞ্জীব তামাং। বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, পাহাড়ে দলের কৌশল নির্ধারণে স্থানীয় সাংসদ রাজু বিস্তার মতামতকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিস্তা নিজে রাজনীতির কৌশল সাজান, সেই কারণেই সঞ্জীবের নাম উঠে এসেছে বলে দলীয় সূত্রের ব্যাখ্যা।

আরও পড়ুন: দিল্লি পুলিশের চিঠিতে বাংলা ভাষার অপমান, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ ট্যুইটে

 

আরও পড়ুন: বিহার এসআইআর: মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলি থেকেই সর্বাধিক নাম বাদ

বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হলেন বিকাশ ঘোষ, যিনি মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান ও স্থানীয় সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বিজেপির একাংশ মনে করছে, শান্তনুর আস্থাভাজন হওয়ার কারণেই বিকাশকে নেতৃত্বে আনা হয়েছে। ফলে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের দিক থেকে দল কৌশলগতভাবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

আরও পড়ুন: এসআইআর-আলোচনায় ভয় পাচ্ছে বিজেপি: ডেরেক

 

ব্যারাকপুরের সভাপতি হয়েছেন তাপস ঘোষ, যিনি যুব মোর্চা থেকে উঠে আসা নেতা। তিনি একসময় রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে সুকান্ত মজুমদার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সংগঠনের অভ্যন্তরেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। ব্যারাকপুরে তাঁকে সভাপতি করতে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহেরও আপত্তি ছিল না, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হয়েছে বলে দাবি বিজেপি সূত্রের।

 

ঘাটাল সাংগঠনিক জেলায় কোনও পরিবর্তন হয়নি। সভাপতি পদে আবারও তন্ময় দাসকেই বহাল রাখা হয়েছে। তিনিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। যদিও তন্ময়ের পরিবর্তে নতুন মুখ আনার চর্চা হয়েছিল দলের অন্দরেই, তবে সর্বসম্মত কোনও বিকল্প খুঁজে না পাওয়ায় পুরনো নেতৃত্বকেই পুনর্বহাল রাখা হয়েছে।

 

এই চার সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করার মাধ্যমে রাজ্য বিজেপি তাদের পূর্ণাঙ্গ সাংগঠনিক কাঠামো গঠনের দিকে আরও এক ধাপ এগোল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই নিয়োগে বিজেপি স্পষ্টভাবে স্থানীয় সাংসদদের প্রভাব ও আস্থাকে গুরুত্ব দিয়েছে, যার ফলে সংগঠনের ভিত আরও মজবুত হতে পারে।