বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য নয়া উদ্যোগ

- আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
- / 31
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,বারুইপুর : বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে পেয়ারা।আপেল চাষ করে আয় হাজার-হাজার টাকা।পেয়ারা পশ্চিমবঙ্গের তথা সমগ্র ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল। একে গরিবের আপেল বলা হয়ে থাকে। আর এই ফল পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বেশি চাষ হয় বারুইপুরের এবং এখানে সারা বছরই মেলে এই ফল।
এই ফল চাষ করে আর্থিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বারুইপুরের পেয়ারা চাষিরা।পেয়ারা চাষ বেশ লাভজনক। বিঘাপ্রতি ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ রয়েছে এই ফল চাষে। মুলত শীতকালে তাপমাত্রা ১০-১২ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড হলে ভাল মানের পেয়ারা পাওয়া যায়। উচ্চ তাপমাত্রা এবং খরা সহ্য করতে পারে এই ফল। তাই শীতকালের পাশাপাশি গরমকালেও চাষ করা হয়। কিন্তু তুষারপাত সহ্য করতে পারে না আর তাই পাহাড়ি এলাকাতে এই ফল চাষ করা যায় না।
তবে এই ফলের জন্য গাছের গোড়া শক্ত এবং বৃদ্ধির জন্য বৃষ্টিপাতের ও প্রয়োজন আছে। তবে ফল ধরার সময় বৃষ্টি হলে ফলের উৎপাদন এবং গুণমান ব্যাহত হয়। পেয়ারা ভারী কাদা মাটি ছাড়া সব ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। এটা হালকা বেলে দোআঁশ থেকে কাদা দোআঁশ মাটিতে চাষ ভাল হয়। বিভিন্ন প্রকারের কলম করে ভাল জাতের গাছের বংশবিস্তার করা হয়ে থাকে। যেমন গুটি কলম, জোড় কলম, চোখ কলম ইত্যাদি। এর মধ্যে গুটি কলম পদ্ধতিটি সহজ ।
সাধারণত ১ বছরের চারা রোপণের পরে গাছে ফল আসতে শুরু করে। তবে সেটা জাত অনুযায়ী। পেয়ারা সারা বছর তোলা হয়। কিন্তু ফল তোলার সঠিক সময় হল বর্ষা (জুলাই -আগস্ট), শীত(নভেম্বর-ডিসেম্বর) এবং বসন্ত (এপ্রিল-মার্চ)। ফলের রঙ সবুজ থাকে হালকা হলুদ। ফল তোলার উপযুক্ত সময় সাধারণত ফুল আসার ৪-৫ মাস পর হয়। পেয়ারা সাধারণত হাত দিয়ে তোলা হয়।
বীজ থেকে তৈরি গাছে ফল আসতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ বছর। অন্যদিকে, কলম করা গাছে দু-তিন বছরের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়। ফল পাকার সময় ফলের রঙ সবুজ থেকে ধীরে ধীরে হলুদতে পরিণত হয়। পাকা ফল গাছে রাখা সম্ভব হয় না। তার কারণ বিভিন্ন প্রকারের পাখি ও বাদুড় অনেক ফল নষ্ট করে দেয়। তাই ফল পাকার ঠিক দু একদিন আগেই ফল গাছে থেকে পেড়ে নিতে হবে।
একটি ৩-৪ বছর গাছের গড় ফলন ২৫-৩০ কেজি হবে। প্রতি কেজি পেয়ারা পাইকারি বাজারে ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হলে গাছপিছু আয় হবে ৫০০-৬০০ টাকা। প্রতি বিঘাতে আয় হবে ২৫,০০০-৩০,০০০ টাকা।আর এই চাষ করে ভালো আয়ের সুযোগ আছে।বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে এই চাষ করে।