০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৮ বছরেই পবিত্র কুরআনের অনুবাদক প্রচারক, নাইজেরিয়ার এই বিস্ময় বালককে চিনে নিন

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 70

Muslim boy reading The Holy Koran in Mosque

বিশেষ প্রতিবেদন­ খেলার বয়সে অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছে নাইজেরিয়ার ৮ বছরের এক বালক। সবার সামনে পবিত্র কুরআন অনুবাদ ও  ব্যাখ্যা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। এই নাইজেরীয় ক্ষুদের প্রতিভা ও পাণ্ডিত্য দেখে অবাক সবাই।

প্রতিদিনই সে পবিত্র কুরআন চর্চা করে সময় কাটাচ্ছে। জানা যায়– নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যের জারিয়া শহরের বাসিন্দা মুহাম্মদ শামসুদ্দিন। শামসুদ্দিন আফ্রিকার সবচেয়ে কম বয়সী কুরআন অনুবাদক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

আরও পড়ুন: ফজরের নামাজের সময় নাইজেরিয়ার মসজিদে দুষ্কৃতীদের হামলা, মৃত বহু

মাত্র ৮ বছর বয়সেই সে পবিত্র কুরআন অনুবাদ চর্চা ও প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রমযান মাসে মসজিদে আসা মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে কুরআন তেলাওয়াতও করেছে এই বালক।

আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ১০০

 

আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, মৃত ১৫০-র বেশি

সাধারণত নাইজেরিয়ায় মাঝবয়সীরাই কুরআন শিক্ষা প্রচারের কার্যক্রম করে থাকেন। তবে শামসুদ্দিন এক ব্যতিক্রম।  শামসুদ্দিনের কথায়– ‘আমার স্কুলে যাওয়ার বয়স হলে আমার বাবা স্কুল  গ্রুপের একজন স্কলারের সঙ্গে আমাকে যুক্ত  করেন। পাশপাশি আমি ঘরে পড়াশোনা ও গবেষণা করতে থাকি।’ শামসুদ্দিন প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যায় মুসল্লিদের জন্য কুরআন তেলাওয়াত ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে।  অবশ্য এসবের জন্য নিজের বাবাকেই ক্রেডিট দিচ্ছে শামসুদ্দিন। প্রেরণার উৎস হিসাবে নিজের বাবার কথাই বারংবার জানিয়েছে এই বালক।

শামসুদ্দিন আরও বলে– ‘আমি ইসলামের মৌলিক  পাঁচটি বই থেকে পড়াশোনা শুরু করি। এছাড়াও হাদিস বিষয়ে আমি শিক্ষকদের কাছে পড়াশোনা করি। ইসলামি ফিকাহ– ধর্মতত্ত্ব ও ইতিহাস বিষয়ে পড়ি।’ খেলাধুলা বা খেলনা সামগ্রির প্রতি আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছে মুহাম্মদ।

এমনকি অনেক সময় মধ্যরাত পর্যন্ত গবেষণা করে সে। ওই সময় তার বাবা বাতি বন্ধ করে তাকে ঘুমাতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এ দীর্ঘ পরিশ্রমের পরও শামসুদ্দিন ক্লান্তিবোধ করে না। পবিত্র কুরআন প্রচারের পাশাপাশি আরও লক্ষ্য আছে এই বালকের। তার কথায়– ‘আমি ভবিষ্যতে চিকিৎসক ও আইনবিদ হতে চাই। এ কাজের জন্য আমি কুরআন চর্চা বাদ দেব না। বরং উভয়ের মধ্যে সমন্বয় করব।’ ( ছবি  প্রতীকী)

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৮ বছরেই পবিত্র কুরআনের অনুবাদক প্রচারক, নাইজেরিয়ার এই বিস্ময় বালককে চিনে নিন

আপডেট : ২ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

বিশেষ প্রতিবেদন­ খেলার বয়সে অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছে নাইজেরিয়ার ৮ বছরের এক বালক। সবার সামনে পবিত্র কুরআন অনুবাদ ও  ব্যাখ্যা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। এই নাইজেরীয় ক্ষুদের প্রতিভা ও পাণ্ডিত্য দেখে অবাক সবাই।

প্রতিদিনই সে পবিত্র কুরআন চর্চা করে সময় কাটাচ্ছে। জানা যায়– নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যের জারিয়া শহরের বাসিন্দা মুহাম্মদ শামসুদ্দিন। শামসুদ্দিন আফ্রিকার সবচেয়ে কম বয়সী কুরআন অনুবাদক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

আরও পড়ুন: ফজরের নামাজের সময় নাইজেরিয়ার মসজিদে দুষ্কৃতীদের হামলা, মৃত বহু

মাত্র ৮ বছর বয়সেই সে পবিত্র কুরআন অনুবাদ চর্চা ও প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রমযান মাসে মসজিদে আসা মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে কুরআন তেলাওয়াতও করেছে এই বালক।

আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ১০০

 

আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, মৃত ১৫০-র বেশি

সাধারণত নাইজেরিয়ায় মাঝবয়সীরাই কুরআন শিক্ষা প্রচারের কার্যক্রম করে থাকেন। তবে শামসুদ্দিন এক ব্যতিক্রম।  শামসুদ্দিনের কথায়– ‘আমার স্কুলে যাওয়ার বয়স হলে আমার বাবা স্কুল  গ্রুপের একজন স্কলারের সঙ্গে আমাকে যুক্ত  করেন। পাশপাশি আমি ঘরে পড়াশোনা ও গবেষণা করতে থাকি।’ শামসুদ্দিন প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যায় মুসল্লিদের জন্য কুরআন তেলাওয়াত ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে।  অবশ্য এসবের জন্য নিজের বাবাকেই ক্রেডিট দিচ্ছে শামসুদ্দিন। প্রেরণার উৎস হিসাবে নিজের বাবার কথাই বারংবার জানিয়েছে এই বালক।

শামসুদ্দিন আরও বলে– ‘আমি ইসলামের মৌলিক  পাঁচটি বই থেকে পড়াশোনা শুরু করি। এছাড়াও হাদিস বিষয়ে আমি শিক্ষকদের কাছে পড়াশোনা করি। ইসলামি ফিকাহ– ধর্মতত্ত্ব ও ইতিহাস বিষয়ে পড়ি।’ খেলাধুলা বা খেলনা সামগ্রির প্রতি আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছে মুহাম্মদ।

এমনকি অনেক সময় মধ্যরাত পর্যন্ত গবেষণা করে সে। ওই সময় তার বাবা বাতি বন্ধ করে তাকে ঘুমাতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এ দীর্ঘ পরিশ্রমের পরও শামসুদ্দিন ক্লান্তিবোধ করে না। পবিত্র কুরআন প্রচারের পাশাপাশি আরও লক্ষ্য আছে এই বালকের। তার কথায়– ‘আমি ভবিষ্যতে চিকিৎসক ও আইনবিদ হতে চাই। এ কাজের জন্য আমি কুরআন চর্চা বাদ দেব না। বরং উভয়ের মধ্যে সমন্বয় করব।’ ( ছবি  প্রতীকী)