০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিহারে মদ্যপানে কোনও ছাড় নয়ঃ নীতিশ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার
  • / 101

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বাইরের রাজ্যসমূহ থেকে যাঁরা বিহারে আসছেন, তাঁদের জন্যও মদ্যপানে কোনও ছাড় নয়। সাফ জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। একটি আবেদন এসেছিল- ভিনরাজ্য থেকে বিহারে আগতদের ক্ষেত্রে রাজ্যে মদ্যপান নিয়ে যে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে–তা শিথিল করা হোক।

মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে এই আবেদন করা হয়েছিল। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী সেই দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি– আবেদনকারীদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি ‘পরামর্শ’ও দেওয়া হয়েছিল যে– মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে সার্টিফায়েড অ্যালকোহলগুলিকে ছাড় দেওয়া হোক। যদিও সেই পরামর্শও উড়িয়ে দিয়ে নিজের অবস্থানেই অনড় থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পালটা বলেন, মদ্যপান করে লোকরা তাদের স্বাস্থ্য নষ্ট করে। মদ্যপানের দ্বারা স্বাস্থ্য করা যায় না।

আরও পড়ুন: বিহারে টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন নীতীশ: অভিযোগ পিকের

https://t.me/puberkalompatrika

আরও পড়ুন: দলবিরোধী কার্যকলাপ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিংকে বহিষ্কার করল বিজেপি

শুক্রবার উত্তর বিহার জেলায় ‘সমাজ সংস্কার’ শীর্ষক এক প্রচার অভিযান সভায় এভাবেই মদ্যপানের বিরুদ্ধে আরও একবার কড়া অবস্থান নিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। নীতীশের কথায়– ‘আমি মদ নিষিদ্ধ করায় অনেকেই আমার উপর ক্ষুব্ধ। তারা এখন চায়– অন্তত বাইরের রাজ্যগুলি থেকে বিহারে আসা লোকদের মদ্যপানে কিছুটা ছাড় দেওয়া হোক।’

আরও পড়ুন: বিহারে মুসলিম বিধায়কের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গেল!

নীতীশ বলেন, তাহলে বিহারে কি লোকেরা মদ্যপান করার জন্যই আসে?

উল্লেখ্য, বাপুজির নিজের প্রদেশ গুজরাতে ভিনরাজ্য থেকে আসা লোকেদের জন্য মদ্যপানে ছাড় রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এপ্রিলে রাজ্যে মদ্যপান ও মদ বিক্রির উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নীতীশ কুমার সরকার। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জোর দেন মদ্যপান থেকে বিরত থাকার সুফলগুলির উপর। পাশাপাশি–মদ্যপান নিষিদ্ধ করা নিয়ে আইনের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন তিনি।

বাল্যবিবাহ– পণপ্রথার মতো সামাজিক কু-রীতির বিরুদ্ধেও এ দিন সরব হন নীতীশ। মদ নিষিদ্ধ করা নিয়ে নিজের যুক্তির স্বপক্ষে মহাত্মা গান্ধির উদ্ধৃতি তুলে ধরে নীতীশ বলেন, ‘বাপু আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, তিনি নিশ্চিত সারা দেশে একটিও মদের দোকান অবশিষ্ট থাকবে না।’

নীতীশ এই যুক্তিও খণ্ডন করেন যে, বিহারে মদ নিষিদ্ধ থাকায় পর্যটন ব্যবসা ক্ষতি হচ্ছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য পরিসংখ্যান রয়েছে, বিহারে বরং পর্যটন শিল্পে উন্নতি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দীপাবলির সময়ে বিষমদে বিহারে একাধিক জেলায় মোট ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শুধু গোপালগঞ্জ জেলাতেই মৃত্যু  হয়েছিল ১০ জনের বেশি মানুষের।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিহারে মদ্যপানে কোনও ছাড় নয়ঃ নীতিশ

আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বাইরের রাজ্যসমূহ থেকে যাঁরা বিহারে আসছেন, তাঁদের জন্যও মদ্যপানে কোনও ছাড় নয়। সাফ জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। একটি আবেদন এসেছিল- ভিনরাজ্য থেকে বিহারে আগতদের ক্ষেত্রে রাজ্যে মদ্যপান নিয়ে যে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে–তা শিথিল করা হোক।

মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে এই আবেদন করা হয়েছিল। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী সেই দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি– আবেদনকারীদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি ‘পরামর্শ’ও দেওয়া হয়েছিল যে– মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে সার্টিফায়েড অ্যালকোহলগুলিকে ছাড় দেওয়া হোক। যদিও সেই পরামর্শও উড়িয়ে দিয়ে নিজের অবস্থানেই অনড় থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পালটা বলেন, মদ্যপান করে লোকরা তাদের স্বাস্থ্য নষ্ট করে। মদ্যপানের দ্বারা স্বাস্থ্য করা যায় না।

আরও পড়ুন: বিহারে টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন নীতীশ: অভিযোগ পিকের

https://t.me/puberkalompatrika

আরও পড়ুন: দলবিরোধী কার্যকলাপ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিংকে বহিষ্কার করল বিজেপি

শুক্রবার উত্তর বিহার জেলায় ‘সমাজ সংস্কার’ শীর্ষক এক প্রচার অভিযান সভায় এভাবেই মদ্যপানের বিরুদ্ধে আরও একবার কড়া অবস্থান নিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। নীতীশের কথায়– ‘আমি মদ নিষিদ্ধ করায় অনেকেই আমার উপর ক্ষুব্ধ। তারা এখন চায়– অন্তত বাইরের রাজ্যগুলি থেকে বিহারে আসা লোকদের মদ্যপানে কিছুটা ছাড় দেওয়া হোক।’

আরও পড়ুন: বিহারে মুসলিম বিধায়কের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গেল!

নীতীশ বলেন, তাহলে বিহারে কি লোকেরা মদ্যপান করার জন্যই আসে?

উল্লেখ্য, বাপুজির নিজের প্রদেশ গুজরাতে ভিনরাজ্য থেকে আসা লোকেদের জন্য মদ্যপানে ছাড় রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এপ্রিলে রাজ্যে মদ্যপান ও মদ বিক্রির উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নীতীশ কুমার সরকার। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জোর দেন মদ্যপান থেকে বিরত থাকার সুফলগুলির উপর। পাশাপাশি–মদ্যপান নিষিদ্ধ করা নিয়ে আইনের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন তিনি।

বাল্যবিবাহ– পণপ্রথার মতো সামাজিক কু-রীতির বিরুদ্ধেও এ দিন সরব হন নীতীশ। মদ নিষিদ্ধ করা নিয়ে নিজের যুক্তির স্বপক্ষে মহাত্মা গান্ধির উদ্ধৃতি তুলে ধরে নীতীশ বলেন, ‘বাপু আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, তিনি নিশ্চিত সারা দেশে একটিও মদের দোকান অবশিষ্ট থাকবে না।’

নীতীশ এই যুক্তিও খণ্ডন করেন যে, বিহারে মদ নিষিদ্ধ থাকায় পর্যটন ব্যবসা ক্ষতি হচ্ছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য পরিসংখ্যান রয়েছে, বিহারে বরং পর্যটন শিল্পে উন্নতি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দীপাবলির সময়ে বিষমদে বিহারে একাধিক জেলায় মোট ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শুধু গোপালগঞ্জ জেলাতেই মৃত্যু  হয়েছিল ১০ জনের বেশি মানুষের।