২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেপথ হলেই হস্তক্ষেপ, কমিশনকে নিবিড় সংস্কার নিয়ে শীর্ষ কোর্ট

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 29

নয়াদিল্লি : মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং জয়মাল্য বাগচি নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিলেন, বিহারে বিশেষ নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের যে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কাজ করছে কমিশন তার বিন্দুমাত্র অন্যথা হলে শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করবে। এই নিয়ে যত মামলা হয়েছে তার শুনানি ১২ এবং ১৩ আগস্ট হবে বলে জানিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

বিচারপতিরা বলেন, উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে এবং বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে তাঁরা এই নিয়ে ১২ এবং ১৩ আগস্ট শুনানি করে চুড়ান্ত নিষ্পত্তি করতে আগ্রহী। এদিন আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে কৌঁসুলিরা সওয়াল করে বলেন, কমিশন সংবিধানের ১৪, ১৯, ২১, ৩২৫ এবং ৩২৬ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করছে। তাছাড়া ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধি আইন এবং ১৯৬০ সালের রেজিস্ট্রেশন অফ ইলেকট্ররস রুলস অমান্য করে কাজ করছে কমিশন।

আরও পড়ুন: ভুয়ো ভোটারদের আবেদন মঞ্জুরের অভিযোগ, দুই ERO-র বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

তখন কমিশনের আইনজীবী বলেন, সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ এবং ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের ২১(৩) অনুচ্ছেদে কমিশনকে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে তার বলেই তারা কাজ করছে। শহরগুলিতে যেভাবে মানুষজন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন এবং তার ফলে জনসংখ্যার যে ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে, তার প্রকৃত চিত্র ভোটার তালিকায় প্রতিফলিত করার দাবি দীর্ঘদিনের।

আরও পড়ুন: কুকুরের নামে ভোটার কার্ড! কমিশনকে তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

গত ২০ বছরে ভোটার তালিকায় এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করা হয় নি। উপর উপর সংক্ষিপ্ত সংশোধন হয়েছে মাত্র। সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে আধার কার্ড এবং এপিক কার্ড বৈধ নথি হিসেবে মানতে বলার পরও এদিন কমিশনের আইনজীবী দ্বিবেদী বলেন, আধার কার্ড, রেশন কার্ড ভুরি ভুরি জাল হচ্ছে। সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেছিলেন, কমিশন যে নথিগুলি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে সেগুলিও জাল হতে পারে। জাল করা যায় না এমন কিছু আছে?

আরও পড়ুন: আইআইটিতে এত আত্মহত্যা কেন? সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ

এদিন এডি আর এর তরফে সওয়াল করে আইনজীবী প্রশান্তভূষণ বলেন, ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ যাচ্ছে বিহারে। কমিশনের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, খসড়া তালিকায় যে আপত্তি উঠবে তার নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত তালিকা বের না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না কত নাম বাদ যাবে। সেটা করতে ১৫ সেপ্টেম্বর হয়ে যাবে।

তখন বিচারপতিরা বলেন, প্রথম দফায় আগস্টে দুদিন শুনানির পর ফের সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত তালিকা বের হলে শুনানি হবে। এই মামলায় আবেদনকারীদের আইনজীবীদের মধ্যে থেকে নেহা রথীকে এদিন বিচারপতিরা এই মামলার সমন্বয়কারী উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেন। তাঁকে ৮ আগস্টের মধ্যে কে কী সওয়াল করেছেন তার পুরো বিবরণী তৈরি করে জমা দিতে বলা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বেপথ হলেই হস্তক্ষেপ, কমিশনকে নিবিড় সংস্কার নিয়ে শীর্ষ কোর্ট

আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

নয়াদিল্লি : মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং জয়মাল্য বাগচি নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিলেন, বিহারে বিশেষ নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের যে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কাজ করছে কমিশন তার বিন্দুমাত্র অন্যথা হলে শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করবে। এই নিয়ে যত মামলা হয়েছে তার শুনানি ১২ এবং ১৩ আগস্ট হবে বলে জানিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

বিচারপতিরা বলেন, উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে এবং বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে তাঁরা এই নিয়ে ১২ এবং ১৩ আগস্ট শুনানি করে চুড়ান্ত নিষ্পত্তি করতে আগ্রহী। এদিন আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে কৌঁসুলিরা সওয়াল করে বলেন, কমিশন সংবিধানের ১৪, ১৯, ২১, ৩২৫ এবং ৩২৬ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করছে। তাছাড়া ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধি আইন এবং ১৯৬০ সালের রেজিস্ট্রেশন অফ ইলেকট্ররস রুলস অমান্য করে কাজ করছে কমিশন।

আরও পড়ুন: ভুয়ো ভোটারদের আবেদন মঞ্জুরের অভিযোগ, দুই ERO-র বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

তখন কমিশনের আইনজীবী বলেন, সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ এবং ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের ২১(৩) অনুচ্ছেদে কমিশনকে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে তার বলেই তারা কাজ করছে। শহরগুলিতে যেভাবে মানুষজন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন এবং তার ফলে জনসংখ্যার যে ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে, তার প্রকৃত চিত্র ভোটার তালিকায় প্রতিফলিত করার দাবি দীর্ঘদিনের।

আরও পড়ুন: কুকুরের নামে ভোটার কার্ড! কমিশনকে তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

গত ২০ বছরে ভোটার তালিকায় এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করা হয় নি। উপর উপর সংক্ষিপ্ত সংশোধন হয়েছে মাত্র। সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে আধার কার্ড এবং এপিক কার্ড বৈধ নথি হিসেবে মানতে বলার পরও এদিন কমিশনের আইনজীবী দ্বিবেদী বলেন, আধার কার্ড, রেশন কার্ড ভুরি ভুরি জাল হচ্ছে। সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেছিলেন, কমিশন যে নথিগুলি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে সেগুলিও জাল হতে পারে। জাল করা যায় না এমন কিছু আছে?

আরও পড়ুন: আইআইটিতে এত আত্মহত্যা কেন? সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ

এদিন এডি আর এর তরফে সওয়াল করে আইনজীবী প্রশান্তভূষণ বলেন, ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ যাচ্ছে বিহারে। কমিশনের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, খসড়া তালিকায় যে আপত্তি উঠবে তার নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত তালিকা বের না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না কত নাম বাদ যাবে। সেটা করতে ১৫ সেপ্টেম্বর হয়ে যাবে।

তখন বিচারপতিরা বলেন, প্রথম দফায় আগস্টে দুদিন শুনানির পর ফের সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত তালিকা বের হলে শুনানি হবে। এই মামলায় আবেদনকারীদের আইনজীবীদের মধ্যে থেকে নেহা রথীকে এদিন বিচারপতিরা এই মামলার সমন্বয়কারী উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেন। তাঁকে ৮ আগস্টের মধ্যে কে কী সওয়াল করেছেন তার পুরো বিবরণী তৈরি করে জমা দিতে বলা হয়েছে।