০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এখন অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসেই নাস্তানাবুদ মার্কিন সরকার!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 154

৯/১১ হামলার ২১তম বার্ষিকী 

বিশেষ প্রতিবেদন: ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১। ইতিহাসের ভয়াবহতম আক্রমণের শিকার হয়েছিল আমেরিকা। সেদিন ১৯ জন  সন্ত্রাসী মোট ৪টি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে বিভিন্ন শহরে একযোগে আঘাত হানে। ধ্বংস হয়ে যায় মার্কিন অর্থনৈতিক  আধিপত্যের প্রতীক নিউইয়র্কের ট্যুইন টাওয়ার। নিহত হয় প্রায় ৩,০০০ মানুষ। তৃতীয় একটি বিমান বিধ্বস্ত হয় ওয়াশিংটন ডিসির পেন্টাগন ভবনে। আরও একটি বিমান আছড়ে পড়ে পেনসিলভানিয়ার এক মাঠে। সেই ঘটনা বদলে দিয়েছিল মার্কিন  ইতিহাস। বদলে গিয়েছিল বিশ্বের গতিপ্রবাহ।

 

আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী

৯/১১ ছিল একটি বাইরের হামলা, সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত আক্রমণ। তবে আজ বাইরের লোকেদের চেয়ে দেশের মধ্যে থাকা শত্রুদের নিয়ে বেশি চিন্তায় সরকার। আজ আমেরিকা এক ভিন্ন আক্রমণের মুখে, যার প্রভাবে দ্রুত বদলে যাচ্ছে দেশটির রাজনীতি, নাগরিক সম্পর্ক, এমনকি আইন ও বিচারব্যবস্থা। বাইরের শত্রু নয়, এ হামলা চলছে দেশের ভেতর থেকে। সশস্ত্র বাহিনী সংগঠিত হচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে।

আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে আপস নয়’, নাম না করে সাইপ্রাস থেকে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের

 

আরও পড়ুন: সউদির সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করবে আমেরিকা সরকার

তাদের মুখে শোনা যাচ্ছে আমেরিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার হুমকি। সিআইএ এই তৎপরতার নাম দিয়েছে ‘অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস’। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হুমকি ৯/১১–এর চেয়েও বিপজ্জনক। অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসের পাশাপাশি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ও উগ্র ডানপন্থী দলগুলির উত্থানে মার্কিন গণতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ৯/১১-এর পর থেকে মার্কিন সরকার বিদেশি সন্ত্রাসীদের টার্গেট করলেও এখন দেখা যাচ্ছে যে তারা দেশের অভ্যন্তরেই সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ, আমেরিকার বুকে বন্দুক হামলা, জাতিগত বৈষম্যমূলক প্রচার, অভ্যন্তরীণ উগ্রপন্থা, শ্বেত-সন্ত্রাস ক্রমাগত বেড়েই চলেছে৷

উল্লেখ্য, ৯/১১ নামে পরিচিত ওই ঘটনার পর ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ শামিল হয় পশ্চিমা দুনিয়া। ওই হামলার জন্য আল-কায়দাকে দায়ী করে দলটির নেতা বিন লাদেনের ঘাঁটি আফগানিস্তানে হামলা চালায় ওয়াশিংটন। ক্ষমতাচ্যুত করা হয় লাদেনের মিত্র তৎকালীন তালিবান সরকারকে। তবে গত ২০ বছরে পরিবর্তন এসেছে সেই দৃশ্যপটেও। ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার দুই দশকের মাথায় গত বছর আফগানিস্তান ছাড়ে আমেরিকা। ফের কাবুলের দখল নেয় তালিবান। এই পরিস্থিতিতেই এবার ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার ২১তম বার্ষিকী পালন করেছে আমেরিকা। বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় নিহতদের স্মরণ করেছেন মার্কিনিরা। হোয়াইট হাউস জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৯/১১ হামলার ২১তম বার্ষিকীতে ভাষণ দেন এবং পেন্টাগনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। নিহতদের স্মরণে ও শ্রদ্ধায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নিহতদের স্মরণে নিউ ইয়র্কের ৯/১১ মেমোরিয়াল অ্যান্ড মিউজিয়ামেও বিভিন্ন আয়োজন করা হয়।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এখন অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসেই নাস্তানাবুদ মার্কিন সরকার!

আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার

বিশেষ প্রতিবেদন: ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১। ইতিহাসের ভয়াবহতম আক্রমণের শিকার হয়েছিল আমেরিকা। সেদিন ১৯ জন  সন্ত্রাসী মোট ৪টি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে বিভিন্ন শহরে একযোগে আঘাত হানে। ধ্বংস হয়ে যায় মার্কিন অর্থনৈতিক  আধিপত্যের প্রতীক নিউইয়র্কের ট্যুইন টাওয়ার। নিহত হয় প্রায় ৩,০০০ মানুষ। তৃতীয় একটি বিমান বিধ্বস্ত হয় ওয়াশিংটন ডিসির পেন্টাগন ভবনে। আরও একটি বিমান আছড়ে পড়ে পেনসিলভানিয়ার এক মাঠে। সেই ঘটনা বদলে দিয়েছিল মার্কিন  ইতিহাস। বদলে গিয়েছিল বিশ্বের গতিপ্রবাহ।

 

আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী

৯/১১ ছিল একটি বাইরের হামলা, সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত আক্রমণ। তবে আজ বাইরের লোকেদের চেয়ে দেশের মধ্যে থাকা শত্রুদের নিয়ে বেশি চিন্তায় সরকার। আজ আমেরিকা এক ভিন্ন আক্রমণের মুখে, যার প্রভাবে দ্রুত বদলে যাচ্ছে দেশটির রাজনীতি, নাগরিক সম্পর্ক, এমনকি আইন ও বিচারব্যবস্থা। বাইরের শত্রু নয়, এ হামলা চলছে দেশের ভেতর থেকে। সশস্ত্র বাহিনী সংগঠিত হচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে।

আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে আপস নয়’, নাম না করে সাইপ্রাস থেকে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের

 

আরও পড়ুন: সউদির সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করবে আমেরিকা সরকার

তাদের মুখে শোনা যাচ্ছে আমেরিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার হুমকি। সিআইএ এই তৎপরতার নাম দিয়েছে ‘অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস’। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হুমকি ৯/১১–এর চেয়েও বিপজ্জনক। অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসের পাশাপাশি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ও উগ্র ডানপন্থী দলগুলির উত্থানে মার্কিন গণতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ৯/১১-এর পর থেকে মার্কিন সরকার বিদেশি সন্ত্রাসীদের টার্গেট করলেও এখন দেখা যাচ্ছে যে তারা দেশের অভ্যন্তরেই সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ, আমেরিকার বুকে বন্দুক হামলা, জাতিগত বৈষম্যমূলক প্রচার, অভ্যন্তরীণ উগ্রপন্থা, শ্বেত-সন্ত্রাস ক্রমাগত বেড়েই চলেছে৷

উল্লেখ্য, ৯/১১ নামে পরিচিত ওই ঘটনার পর ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ শামিল হয় পশ্চিমা দুনিয়া। ওই হামলার জন্য আল-কায়দাকে দায়ী করে দলটির নেতা বিন লাদেনের ঘাঁটি আফগানিস্তানে হামলা চালায় ওয়াশিংটন। ক্ষমতাচ্যুত করা হয় লাদেনের মিত্র তৎকালীন তালিবান সরকারকে। তবে গত ২০ বছরে পরিবর্তন এসেছে সেই দৃশ্যপটেও। ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার দুই দশকের মাথায় গত বছর আফগানিস্তান ছাড়ে আমেরিকা। ফের কাবুলের দখল নেয় তালিবান। এই পরিস্থিতিতেই এবার ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার ২১তম বার্ষিকী পালন করেছে আমেরিকা। বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় নিহতদের স্মরণ করেছেন মার্কিনিরা। হোয়াইট হাউস জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৯/১১ হামলার ২১তম বার্ষিকীতে ভাষণ দেন এবং পেন্টাগনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। নিহতদের স্মরণে ও শ্রদ্ধায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নিহতদের স্মরণে নিউ ইয়র্কের ৯/১১ মেমোরিয়াল অ্যান্ড মিউজিয়ামেও বিভিন্ন আয়োজন করা হয়।