০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানবতার টানে দেড়শো বছর পার করল ভারত বাংলাদেশের নো ম্যানস ল্যান্ডে দুর্গা পুজো

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২১, সোমবার
  • / 13
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ অসমের করিমগঞ্জের কাছে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ড। এই নো ম্যানস ল্যান্ডে ১৫০ বছর ধরে পূজিতা হয়ে আসছেন দেবী দুর্গা।দেশ ভাগের সময় মন্দিরটি কোন দেশের সীমানার মধ্যেই পড়েনি। 
 
শোনা যায় আজ যে অঞ্চল নো ম্যানস ল্যান্ড একদা সেই অঞ্চলের মালিক ছিলেন নরেন্দ্র মালাকার নামে এক স্থানীয় জমিদার।ব্রিটিশ শাসনের সময় তিনি এই মন্দির নির্মান করেন। ২০০৮ সালে এই মন্দিরের চারপাশে দেওয়া হয় বেড়া। ২০০৮ সালে বিএসএফ এই মন্দিরটিকে খুজে পায়।
দুর্গা পুজোর দিনগুলোতে বিএসফ প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সীমান্তের গেট খোলা রাখে। 
 
স্থানীয়দের পাশাপাশি জওয়ানরাও এই মন্দিরে পুজো দিয়ে নবরাত্রি পালন করেন। 
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন কড়া প্রহরায় চলে পুজোর আচার পালন।শুধু মাত্র পুজোর কটা দিন এই নো ম্যানসের গেট খোলা রাখা হয়। কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না তৈরি হয় তার জন্য সদা সতর্ক প্রহরায় থাকেন জওয়ানরা। 
সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষরাও দেবী মাহাত্ম্যে বিশ্বাসী। ১৫০ বছর ধরে বহমান  এই ঐতিহ্য। 
স্থানীয় প্রবীণরা আজও বেশ মনে করতে পারেন ঢাকা এবং কলকাতার শিল্পীরা এক সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন।
এখানেই শেষ নয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নির্দশন এই অসমের করিমপুরের লাগোয়া এই নোম্যানস ল্যান্ডের পুজো। হিন্দুদের পুজোতে সমভাবে অংশ নেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। মানবতার এক উজ্বল নিদর্শন অসমের করিমপুরের এই পুজো। 

আরও পড়ুন: কাছাড় জেলায় সরকারি দফতরে বাংলা বাধ্যতামূলক

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মানবতার টানে দেড়শো বছর পার করল ভারত বাংলাদেশের নো ম্যানস ল্যান্ডে দুর্গা পুজো

আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২১, সোমবার
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ অসমের করিমগঞ্জের কাছে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ড। এই নো ম্যানস ল্যান্ডে ১৫০ বছর ধরে পূজিতা হয়ে আসছেন দেবী দুর্গা।দেশ ভাগের সময় মন্দিরটি কোন দেশের সীমানার মধ্যেই পড়েনি। 
 
শোনা যায় আজ যে অঞ্চল নো ম্যানস ল্যান্ড একদা সেই অঞ্চলের মালিক ছিলেন নরেন্দ্র মালাকার নামে এক স্থানীয় জমিদার।ব্রিটিশ শাসনের সময় তিনি এই মন্দির নির্মান করেন। ২০০৮ সালে এই মন্দিরের চারপাশে দেওয়া হয় বেড়া। ২০০৮ সালে বিএসএফ এই মন্দিরটিকে খুজে পায়।
দুর্গা পুজোর দিনগুলোতে বিএসফ প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সীমান্তের গেট খোলা রাখে। 
 
স্থানীয়দের পাশাপাশি জওয়ানরাও এই মন্দিরে পুজো দিয়ে নবরাত্রি পালন করেন। 
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন কড়া প্রহরায় চলে পুজোর আচার পালন।শুধু মাত্র পুজোর কটা দিন এই নো ম্যানসের গেট খোলা রাখা হয়। কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না তৈরি হয় তার জন্য সদা সতর্ক প্রহরায় থাকেন জওয়ানরা। 
সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষরাও দেবী মাহাত্ম্যে বিশ্বাসী। ১৫০ বছর ধরে বহমান  এই ঐতিহ্য। 
স্থানীয় প্রবীণরা আজও বেশ মনে করতে পারেন ঢাকা এবং কলকাতার শিল্পীরা এক সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন।
এখানেই শেষ নয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নির্দশন এই অসমের করিমপুরের লাগোয়া এই নোম্যানস ল্যান্ডের পুজো। হিন্দুদের পুজোতে সমভাবে অংশ নেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। মানবতার এক উজ্বল নিদর্শন অসমের করিমপুরের এই পুজো। 

আরও পড়ুন: কাছাড় জেলায় সরকারি দফতরে বাংলা বাধ্যতামূলক