২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বে প্রতি ছয়জনে একজন বন্ধ্যাত্বের শিকার: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 42

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বদলে গিয়েছে জীবনযাপন। এখন মানুষ একটু  আলাদাভাবে বাঁচার চেষ্টা করেন। খাদ্যাভ্যাস ও বেপরোয়া জীবনযাত্রার কারণে বিশ্বে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বন্ধ্যাত্ব। প্রতি ছয়জনের একজন  প্রাপ্ত-বয়স্করা এই সমস্যায় ভুগছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’।

প্রতিবেদনে ১৯৯০-২০২১ সালের পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে জানানো হয়েছে যে বিশ্বের প্রাপ্তবয়স্ক  জনসংখ্যার প্রায় ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ বন্ধ্যাত্বে আক্রান্ত। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বন্ধ্যাত্বের মধ্যে সামান্য তারতম্য রয়েছে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই সংখ্যা ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ৷

ঘটনাপ্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রেডাস আধানাম ঘেব্রেইসাস বলেছেন যে, বন্ধ্যাত্ব কোনও অসুখ নয়। সুষ্ঠু চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ এড়ানো সম্ভব । বন্ধ্যাত্ব কোনও বৈষম্য করে না। অর্থাৎ ধনী হোক বা গরীব, সর্বত্রই এই সমস্যার হার প্রায় কাছাকাছি।

তিনি আরও বলেন, এত মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে যে এখন এর চিকিৎসা আরও সহজলভ্য হওয়া প্রয়োজন। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে স্বাস্থ্য গবেষণার ক্ষেত্রেও যেন বন্ধ্যাত্ত্ব্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বন্ধ্যাত্ব প্রজননজনিত একটি রোগ। মহিলা-পুরুষ যে কারও এটা হতে পারে।  বন্ধ্যাত্ব অনেক সময় মানুষের সামাজিক ও মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়েও দাঁড়াও। একজন বন্ধ্যা মহিলাকে সমাজে অনেক গঞ্জনা সহ্য করতে হয় । কিন্তু হতাশার কিছু নেই। বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা রয়েছে। যথাসময়ে চিকিৎসা পেলে এর থেকে মুক্তিও মেলে। তবে এর চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অনেক দেশে প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষেরা এর চিকিৎসা সেবা পান না। তাই বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে গুরুত্বারোপ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বহু দেশেই  আইভিএফ চিকি‍ৎসার খরচ বহু মানুষের বার্ষিক গড় আয়ের চেয়ে বেশি। ফলে বন্ধ্যাত্ব কাটানোর মতো উন্নত চিকি‍ৎসার পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থাকছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিশ্বে প্রতি ছয়জনে একজন বন্ধ্যাত্বের শিকার: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  

আপডেট : ৪ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বদলে গিয়েছে জীবনযাপন। এখন মানুষ একটু  আলাদাভাবে বাঁচার চেষ্টা করেন। খাদ্যাভ্যাস ও বেপরোয়া জীবনযাত্রার কারণে বিশ্বে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বন্ধ্যাত্ব। প্রতি ছয়জনের একজন  প্রাপ্ত-বয়স্করা এই সমস্যায় ভুগছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’।

প্রতিবেদনে ১৯৯০-২০২১ সালের পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে জানানো হয়েছে যে বিশ্বের প্রাপ্তবয়স্ক  জনসংখ্যার প্রায় ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ বন্ধ্যাত্বে আক্রান্ত। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বন্ধ্যাত্বের মধ্যে সামান্য তারতম্য রয়েছে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই সংখ্যা ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ৷

ঘটনাপ্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রেডাস আধানাম ঘেব্রেইসাস বলেছেন যে, বন্ধ্যাত্ব কোনও অসুখ নয়। সুষ্ঠু চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ এড়ানো সম্ভব । বন্ধ্যাত্ব কোনও বৈষম্য করে না। অর্থাৎ ধনী হোক বা গরীব, সর্বত্রই এই সমস্যার হার প্রায় কাছাকাছি।

তিনি আরও বলেন, এত মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে যে এখন এর চিকিৎসা আরও সহজলভ্য হওয়া প্রয়োজন। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে স্বাস্থ্য গবেষণার ক্ষেত্রেও যেন বন্ধ্যাত্ত্ব্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বন্ধ্যাত্ব প্রজননজনিত একটি রোগ। মহিলা-পুরুষ যে কারও এটা হতে পারে।  বন্ধ্যাত্ব অনেক সময় মানুষের সামাজিক ও মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়েও দাঁড়াও। একজন বন্ধ্যা মহিলাকে সমাজে অনেক গঞ্জনা সহ্য করতে হয় । কিন্তু হতাশার কিছু নেই। বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা রয়েছে। যথাসময়ে চিকিৎসা পেলে এর থেকে মুক্তিও মেলে। তবে এর চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অনেক দেশে প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষেরা এর চিকিৎসা সেবা পান না। তাই বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে গুরুত্বারোপ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বহু দেশেই  আইভিএফ চিকি‍ৎসার খরচ বহু মানুষের বার্ষিক গড় আয়ের চেয়ে বেশি। ফলে বন্ধ্যাত্ব কাটানোর মতো উন্নত চিকি‍ৎসার পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থাকছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।