শুধু সরকারি কর্মীরাই ভোটার লিস্ট তৈরি করবেন, বাদ ১১১ বিএলও

- আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 217
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিধানসভা নির্বাচন। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় আর ভোটার তালিকায় গরমিল নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে। শনিবার সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক সেরেছেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের নির্দেশে ১১১ জন বুথ লেভেল অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হল। আসানসোল দক্ষিণ ছাড়া সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকার কাজের সঙ্গে যুক্তদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সরকারি বা আধা সরকারি কর্মী ছাড়া আর কাউকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে না। আসানসোলের মহকুমাশাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘আরও নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর এই নির্দেশ জারি করে নির্বাচন কমিশন। এতদিন পরে তা কেন কার্যকর করা হচ্ছে তা নিয়ে কোনও উত্তর মেলেনি।
মাসখানেক আগেও ভুয়ো ভোটার নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ভোটার তালিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ভূতুড়ে ভোটার’ খুঁজতে আসরে নামে শাসকদল তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। একাধিক জেলায় ভোটার তালিকায় বাংলাদেশি ভোটারের নাম পাওয়া যাওয়ার শোরগোল পড়ে যায়। মঙ্গলবার ভোটার তালিকায় ফের বাংলাদেশি ভোটারের নাম ঢোকানো নয়ে দুই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ ওঠায় কি বিএলও-দের সরিয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় যে ১১১ জন বিএলও-কে সরানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে শুধু বারাবনি বিধানসভাতেই ৪৯ জনকেই পরিবর্তন করা হয়েছে। সালানপুর ব্লকে ৩১, বারাবনি ব্লকে ১৮, জামুড়িয়ায় ২১ জন, পাণ্ডবেশ্বরে ১৭ জন, আসানসোল উত্তরে ১৪ জনকে সরানো হয়েছে।
এ ছাড়া কুলটিতে পরিবর্তন হয়েছেন চার জন, রানিগঞ্জে তিন জন, দুর্গাপুর পশ্চিমে দু’জন এবং দুর্গাপুর পূর্বে একজন। এ প্রসঙ্গে আসানসোলের মহকুমাশাসক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে ১৩টি ক্যাটাগরির সরকারি কর্মী ছাড়া বিএলও পদে কাউকেই রাখা যাবে না। সেই নির্দেশ জেলায় কার্যকর করতে গিয়েই একবারে এত জনকে সরাতে হয়েছে।’