কেন্দ্রীয় সরকার ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে দেশকে বিভ্রান্ত করছে! সেনা প্রধানের মন্তব্যের পর ফের সরব কংগ্রেস

- আপডেট : ১ জুন ২০২৫, রবিবার
- / 77
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল অনিল চৌহানের সাম্প্রতিক মন্তব্য সামনে আসতেই ফের সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি তুললেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রকে অবিলম্বে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকতে হবে।
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘সাংগ্রিলা ডায়লগ’-এর মাঝে ব্লুমবার্গ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল অনিল চৌহান জানান, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষের সময় ভারতীয় যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ভারতীয় বিমানবাহিনী সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে অভিযান করেছে এবং পাকিস্তানের সামরিক আগ্রাসনেরও উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) সিঙ্গাপুরে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। তবে সে বিষয়ে প্রশ্ন তখনই তোলা সম্ভব যদি সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। মোদি সরকার দেশকে বিভ্রান্ত করছে। যুদ্ধের কুয়াশা এখন ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘সরকার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সত্য গোপন করেছে এবং সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে।’ কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেছেন যে, কার্গিল যুদ্ধের পর যেমন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি সামরিক প্রস্তুতি এবং ব্যর্থতা খতিয়ে দেখেছিল, ঠিক তেমনই একটি কমিটি গঠন করে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা উচিত।
মল্লিকার্জুন খর্গের অভিযোগ, “দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি আড়াল করতে মোদী সরকার সংসদকে এড়িয়ে যেতে চাইছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বিভিন্ন দলের সাংসদদের পাঠানো হলেও, দেশের অভ্যন্তরে সংসদে আলোচনা থেকে সরে আসা আসলে জনমতকে বিভ্রান্ত করার কৌশল। যুদ্ধের ধোঁয়াশা দিনে দিনে ঘনীভূত হচ্ছে।”
কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য, দেশের সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনওরকম লুকোচুরি বা অস্পষ্টতা থাকা উচিত নয়। তিনি সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যে, দেশের সামরিক সক্ষমতা এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করা হোক।
প্রসঙ্গত, শুধু কংগ্রেস নয়, প্রায় সব বিরোধী দলই এখন সংসদের বিশেষ অধিবেশন চেয়ে সরব হয়েছে। সরকারের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।