ট্রেনের কামরায় দুষ্কৃতীদের মাস্তানিতে নাজেহাল সাধারণ যাত্রী

- আপডেট : ১৬ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
- / 142
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বজবজ শিয়ালদহ ট্রেনে আজ ব্রেসব্রিজ থেকে ওঠা একদল মদ্যপ যুবকের সঙ্গে রেলযাত্রীদের ব্যাপক মারপিট ও রক্তারক্তির ঘটনা ঘটে। ট্রেনের গেট আটকে গা জোয়ারি করে ঝুলে ঝুলে আসছিল ওই যুবকের দল। তাতে সাধারণ যাত্রীদের ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছিল।
সেখ রনি নামের একটি যাত্রী এই ঘটনার প্রতিবাদ করায়, গেটে ঝুলে থাকা যুবকদের দলের চারজন মিলে রনিকে টেনে নিয়ে সবার সমানে পেটে লাথি, নাকে ঘুষি, চুল ধরে ইচ্ছেমতো মারতে থাকে। ২-৩ মিনিট চারজন মিলে সেখ রনিকে মারতে থাকলে সাধারণ যাত্রীরা সহ্য করতে পারেন না। তখনই তারা ওই যুবকগুলোর ওপর চড়াও হয়।
কামরায় যাত্রীর উত্তেজনা দেখে দুষ্কৃতীদের তিনজন পালিয়ে গেলেও একজন যাত্রীদের হাতে ধরা পড়ে। সাধারণ যাত্রীরা চড়াও হয়ে তাকে গণপ্রহার দেয়। তারপর টালিগঞ্জ স্টেশনে ওই দুষ্কৃতীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দুর্ভাগ্যবশত ট্রেনটি ‘ক্যাস ট্রেন’ হওয়ায় স্টেশনে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। এই সুযোগটি কাজে লাগায় দুষ্কৃতীদের দল। তারা পুনরায় একজোট হয়ে রেললাইনে পাতা বড় বড় পাথর ও ইটের টুকরো ছুড়তে থাকে যাত্রীদের দিকে। বেশ কয়েক মিনিট ইট বৃষ্টি চলে।
কামরায় থাকা শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ প্রাণ ভয়ে সবাই সিটের তলায় হুড়মুড়িয়ে লুকাতে থাকে। কিন্তু কোনও লাভ হয় না। বেশ কিছু যাত্রীর মাথায়, ঘাড়ে ইট ও পাথর লেগে আহত হন। এই ঘটনায় সাধারণ যাত্রীরা রাগ ও ধিক্কার সহ রেল পুলিশকে দায়ী করে। সাধারণ যাত্রী জানায় বেশ কয়েক মাস যাবৎ ব্রেজব্রিজ থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত ওই ধরনের ছেলেরা ট্রেনের কামরায় উঠে মাস্তানি করে চলেছে। কিন্তু প্রাণ ভয়ে যাত্রীরা মুখ খুলতে পারে না।
আজকের ঘটনাটি বালিগঞ্জ স্টেশন মাস্টারের অফিসের প্রায় কাছে ঘটলেও কেন রেল পুলিশের নজরে এল না তা নিয়ে বিক্ষোভ জানায় সাধারণ যাত্রী। স্টেশনে সিসিটিভি ক্যামেরা, কামরায় পুলিশ গার্ড থাকা সত্ত্বেও কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? তারা আরও জানায়, এরকম চলতে থাকলে সাধারণ যাত্রীর নিরাপত্তা কোথায়? এই দাবিতে মুখর হল আজ বজবজ-শিয়ালদহ ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা।