০৫ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গান্ধির আশ্রম থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে দুই শতাধিক দলিত পরিবার , রায় গুজরাত হাই কোর্টের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 52

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ গান্ধির সবরমতি আশ্রম চত্বর ঘিরে থাকা দু’শোরও বেশি দলিত পরিবারকে উচ্ছেদ করা হবে, এমনটাই রায় দিল গুজরাত হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, গান্ধির এই সবরমতি আশ্রমকে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ‘বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছা পূরণেই এই সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে গুজরাতের বিজেপি সরকারের উদ্যোগের বিরোধিতা করে গান্ধিজির প্রপৌত্র তুষার গান্ধি যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন, আদালত শুক্রবার তা খারিজ করে দিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: তিন মাসের জামিন আশারামের

তবে এই বিষয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছে গান্ধিজির বংশধর তুষার গান্ধি। তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমের দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সরকার নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেটি গান্ধির আদর্শ ও জীবনধারার বিরুদ্ধে। যদিও এই আবেদন খারিজ করে কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছা টাকেই প্রাধান্য দিয়েছে গুজরাত হাই কোর্ট। এদিনের আবেদন খারিজ করে গুজরাত হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার জানিয়েছে, পরিকল্পিত প্রস্তাবটি কোনওভাবেই গান্ধির আদর্শ ও জীবনধারাকে আঘাত করবে না, বরং পরিকল্পিত প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে এটি সমাজ ও সাধরন জনগণের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবে, এবং এটি সবার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই জানিয়েছে তিনি।

আরও পড়ুন: ভোট হিংসায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

 

আরও পড়ুন: ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা,ক্লেইমের নিয়ম সহজ করল এলআইসি

উল্লেখ্য, ১৯১৭ সালে মোহনদাস করম চাঁদ গান্ধির উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল সবরমতি আশ্রম। আর ওই আশ্রমে পাঁচ প্রজন্ম ধরে বসবাস করছে হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদেরকেই অন্যত্রে সরিয়ে দেওয়ার কথা বিরোধিতা করেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন গান্ধি বংশধর।

 

প্রসঙ্গত, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধির তৈরি ওই আশ্রমে পাঁচ প্রজন্ম ধরে বসবাসকারী হরিজন পরিবারগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার জন্য গুজরাত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গান্ধির তৈরি আশ্রমে দলিত পরিবার গুলি ছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দফতরও। গান্ধির আদর্শের অনুপ্রেরণায় তারা নানান গঠনমূলক কর্মসূচী চালায় বলেই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। তবে পাঁচটি সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত একটি উপদেষ্টা কমিটির মাথায় রয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বপ্ন পূরণে ওই সংস্থাগুলিকে উচ্ছেদ করা হতে পারে বলেই খবর। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সাবরমতীর ‘উন্নয়ন’ পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গান্ধির আশ্রম থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে দুই শতাধিক দলিত পরিবার , রায় গুজরাত হাই কোর্টের

আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ গান্ধির সবরমতি আশ্রম চত্বর ঘিরে থাকা দু’শোরও বেশি দলিত পরিবারকে উচ্ছেদ করা হবে, এমনটাই রায় দিল গুজরাত হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, গান্ধির এই সবরমতি আশ্রমকে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ‘বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছা পূরণেই এই সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে গুজরাতের বিজেপি সরকারের উদ্যোগের বিরোধিতা করে গান্ধিজির প্রপৌত্র তুষার গান্ধি যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন, আদালত শুক্রবার তা খারিজ করে দিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: তিন মাসের জামিন আশারামের

তবে এই বিষয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছে গান্ধিজির বংশধর তুষার গান্ধি। তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমের দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সরকার নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেটি গান্ধির আদর্শ ও জীবনধারার বিরুদ্ধে। যদিও এই আবেদন খারিজ করে কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছা টাকেই প্রাধান্য দিয়েছে গুজরাত হাই কোর্ট। এদিনের আবেদন খারিজ করে গুজরাত হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার জানিয়েছে, পরিকল্পিত প্রস্তাবটি কোনওভাবেই গান্ধির আদর্শ ও জীবনধারাকে আঘাত করবে না, বরং পরিকল্পিত প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে এটি সমাজ ও সাধরন জনগণের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবে, এবং এটি সবার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই জানিয়েছে তিনি।

আরও পড়ুন: ভোট হিংসায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

 

আরও পড়ুন: ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা,ক্লেইমের নিয়ম সহজ করল এলআইসি

উল্লেখ্য, ১৯১৭ সালে মোহনদাস করম চাঁদ গান্ধির উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল সবরমতি আশ্রম। আর ওই আশ্রমে পাঁচ প্রজন্ম ধরে বসবাস করছে হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদেরকেই অন্যত্রে সরিয়ে দেওয়ার কথা বিরোধিতা করেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন গান্ধি বংশধর।

 

প্রসঙ্গত, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধির তৈরি ওই আশ্রমে পাঁচ প্রজন্ম ধরে বসবাসকারী হরিজন পরিবারগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার জন্য গুজরাত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গান্ধির তৈরি আশ্রমে দলিত পরিবার গুলি ছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দফতরও। গান্ধির আদর্শের অনুপ্রেরণায় তারা নানান গঠনমূলক কর্মসূচী চালায় বলেই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। তবে পাঁচটি সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত একটি উপদেষ্টা কমিটির মাথায় রয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বপ্ন পূরণে ওই সংস্থাগুলিকে উচ্ছেদ করা হতে পারে বলেই খবর। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সাবরমতীর ‘উন্নয়ন’ পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি।