২২ জুন ২০২৫, রবিবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Pahalgam Terror attack:ভোটার ও আধার কার্ড রয়েছে! ৩৫ বছর ধরে ওড়িশার বাসিন্দা, তারপরও দেশ ছাড়ার নির্দেশ সারদা কুকরেজাকে

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার
  • / 161

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  সারদা কুকরেজা, বয়স ৫৩। ৩৫ বছর ধরে ওড়িশার বোলাঙ্গিরে থাকেন তিনি। সারদা কুকরেজাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ প্রশাসনের। ৩৫ বছর ধরে ওড়িশার থাকার পরও তিনি ভারতীয় নাগরিক নন। তাঁর কাছে পাকিস্তানের পাসপোর্ট রয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। নোটিস পেয়ে চিন্তায় সারদা কুকরেজা। নোটিস পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচন্দ্র মাঝির কাছে তাড়িয়ে না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন:Pahalgam Terror attack: পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলের ডাক তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আরও পড়ুন: বাবা সাহেব বিতর্কে উত্তাল বিহার রাজনীতি, কংগ্রেস-আরজেডিকে একযোগে নিশানা মোদির

সারদার জন্ম পাকিস্তানের শুক্কুর শহরে। ১৯৮৭ সালে বাবার হাতে ধরে চার বোন ও পাঁচ ভাই ভারতে চলে আসে। প্রথমে তাঁদের ৬০ দিনের ভিসা ছিল। এরপর আর পাকিস্তানে ফিরে যাননি তাঁরা। সারদার ভাই-বোনেরা ভারতের বিভিন্ন শহরে রয়েছে। প্রত্যেকেই বিবাহিত। ৩৫ বছর আগে ওড়িশার কোরাপুট জেলায় থাকতেন। তখন বয়স মাত্র ১৮ বছর। সেই সময়ে বোলাঙ্গিরের মহেশকুমার কুকরেজার সঙ্গে বিয়ে হয় সারদার। পরিবারে রয়েছেন ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিরা। তবে নোটিসে শুধুমাত্র সারদাকেই দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির ৬৭তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা, দরিদ্রদের ক্ষমতায়নে তাঁর ভূমিকার প্রশংসা মোদির

দেশে থাকতে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন সারদা।  তাঁর দাবি আধার কার্ড রয়েছে। ভোটও দেন। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে ভারতে আসা প্রত্যেকেই নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সারদার কাছে পাকিস্তানের পাসপোর্ট রয়েছে। তাঁর দাবি, “আমার আধার কার্ড আছে। বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটও দিয়েছি। তবে আমাকে ভারতীয় নাগরিত্ব দেওয়া হয়নি।” তিনি অন্য দেশের নাগরিক হয়ে কীভাবে ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড পেলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিরোধ চাই: মোদি

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror attack:’মন কি বাতে’ পহেলগাঁও হামলার বদলার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর

এই নোটিস পাওয়ার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন সারদা ও তাঁর পরিবার। সারদা বলেন, “যদি কোনও সরকার আমার আবেদন না মেনে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়,  আমি কোথায় যাব? কার সঙ্গে দেখা করব? ওই দেশে আমার কেউ নেই। ১৯৮৭ সালের পর আমি আর পাকিস্তানে ফিরে যাইনি। কারও সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। এত বছরে কাউকে ফোন করিনি।”  বোলাঙ্গির জেলার এসপি জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সারদাকে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও একজন কাশ্মীরি মারা গেছেন। এরপর ভারত পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওড়িশা সরকার সারদা-সহ ১২ জন পাকিস্তানিকে দেশ ছাড়ার নোটিস দিয়েছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Pahalgam Terror attack:ভোটার ও আধার কার্ড রয়েছে! ৩৫ বছর ধরে ওড়িশার বাসিন্দা, তারপরও দেশ ছাড়ার নির্দেশ সারদা কুকরেজাকে

আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  সারদা কুকরেজা, বয়স ৫৩। ৩৫ বছর ধরে ওড়িশার বোলাঙ্গিরে থাকেন তিনি। সারদা কুকরেজাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ প্রশাসনের। ৩৫ বছর ধরে ওড়িশার থাকার পরও তিনি ভারতীয় নাগরিক নন। তাঁর কাছে পাকিস্তানের পাসপোর্ট রয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। নোটিস পেয়ে চিন্তায় সারদা কুকরেজা। নোটিস পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচন্দ্র মাঝির কাছে তাড়িয়ে না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন:Pahalgam Terror attack: পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলের ডাক তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আরও পড়ুন: বাবা সাহেব বিতর্কে উত্তাল বিহার রাজনীতি, কংগ্রেস-আরজেডিকে একযোগে নিশানা মোদির

সারদার জন্ম পাকিস্তানের শুক্কুর শহরে। ১৯৮৭ সালে বাবার হাতে ধরে চার বোন ও পাঁচ ভাই ভারতে চলে আসে। প্রথমে তাঁদের ৬০ দিনের ভিসা ছিল। এরপর আর পাকিস্তানে ফিরে যাননি তাঁরা। সারদার ভাই-বোনেরা ভারতের বিভিন্ন শহরে রয়েছে। প্রত্যেকেই বিবাহিত। ৩৫ বছর আগে ওড়িশার কোরাপুট জেলায় থাকতেন। তখন বয়স মাত্র ১৮ বছর। সেই সময়ে বোলাঙ্গিরের মহেশকুমার কুকরেজার সঙ্গে বিয়ে হয় সারদার। পরিবারে রয়েছেন ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিরা। তবে নোটিসে শুধুমাত্র সারদাকেই দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির ৬৭তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা, দরিদ্রদের ক্ষমতায়নে তাঁর ভূমিকার প্রশংসা মোদির

দেশে থাকতে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন সারদা।  তাঁর দাবি আধার কার্ড রয়েছে। ভোটও দেন। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে ভারতে আসা প্রত্যেকেই নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সারদার কাছে পাকিস্তানের পাসপোর্ট রয়েছে। তাঁর দাবি, “আমার আধার কার্ড আছে। বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটও দিয়েছি। তবে আমাকে ভারতীয় নাগরিত্ব দেওয়া হয়নি।” তিনি অন্য দেশের নাগরিক হয়ে কীভাবে ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড পেলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিরোধ চাই: মোদি

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror attack:’মন কি বাতে’ পহেলগাঁও হামলার বদলার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর

এই নোটিস পাওয়ার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন সারদা ও তাঁর পরিবার। সারদা বলেন, “যদি কোনও সরকার আমার আবেদন না মেনে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়,  আমি কোথায় যাব? কার সঙ্গে দেখা করব? ওই দেশে আমার কেউ নেই। ১৯৮৭ সালের পর আমি আর পাকিস্তানে ফিরে যাইনি। কারও সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। এত বছরে কাউকে ফোন করিনি।”  বোলাঙ্গির জেলার এসপি জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সারদাকে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও একজন কাশ্মীরি মারা গেছেন। এরপর ভারত পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওড়িশা সরকার সারদা-সহ ১২ জন পাকিস্তানিকে দেশ ছাড়ার নোটিস দিয়েছে।