০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখল পাকিস্তান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 63

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান। একপ্রকার মুখ থুবড়ে পরেছে দেশটির  অর্থনীতি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছে ২৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। যা ১৯৭৫ সালের মে মাসের পর থেকে সর্বোচ্চ।

অর্থাৎ পাকিস্তানে ৪৮ বছরের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বুধবার দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো এ কথা নিশ্চিত করেছে। এহেন অবস্থায় নাভিশ্বাস আম জনতার।

আরও পড়ুন: পাক সীমান্ত লঙ্ঘন করলে ফের হামলা চলবে: তালিবানকে হুঁশিয়ারি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

বর্তমানে দেশটির অর্থনীতি মারাত্মক সংকটের মধ্যে রয়েছে। সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যথাসাধ্য বৈদেশিক ঋণ  সংগ্রহের চেষ্টা করছে দেশটি। তারজন্য একমাত্র ভরসা আইএমএফ।

আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের সংঘর্ষবিরতি ভাঙল পাকিস্তান, লিপা ভ্যালিতে গুলি চালনা

উল্লেখ্য,গতবছরও মোটা অঙ্কের ঋণ দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার পাকিস্তানকে দুরবস্থা থেকে বাঁচিয়ে তুলেছিল। কিন্তু এবছর সেটাও সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

আরও পড়ুন: ভারতে আসছে না পাকিস্তান হকি দল

আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তান সরকার আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে অবস্থা এই জায়গায় গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। আমদানি বন্ধ এবং রুপির ব্যাপক অবমূল্যায়নের কারণে শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি নির্মাণ প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, টেক্সটাইল কারখানাগুলো আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে এবং অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ধীর হয়ে গেছে।

বন্দর নগরী করাচির জাফর ইকবাল নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘সড়কে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে, শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে। মুদ্রাস্ফীতি এতটাই বেড়েছে যে খাদ্যপণ্য কেনার মতো অর্থ হাতে থাকছে না।’

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখল পাকিস্তান

আপডেট : ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান। একপ্রকার মুখ থুবড়ে পরেছে দেশটির  অর্থনীতি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছে ২৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। যা ১৯৭৫ সালের মে মাসের পর থেকে সর্বোচ্চ।

অর্থাৎ পাকিস্তানে ৪৮ বছরের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বুধবার দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো এ কথা নিশ্চিত করেছে। এহেন অবস্থায় নাভিশ্বাস আম জনতার।

আরও পড়ুন: পাক সীমান্ত লঙ্ঘন করলে ফের হামলা চলবে: তালিবানকে হুঁশিয়ারি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

বর্তমানে দেশটির অর্থনীতি মারাত্মক সংকটের মধ্যে রয়েছে। সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যথাসাধ্য বৈদেশিক ঋণ  সংগ্রহের চেষ্টা করছে দেশটি। তারজন্য একমাত্র ভরসা আইএমএফ।

আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের সংঘর্ষবিরতি ভাঙল পাকিস্তান, লিপা ভ্যালিতে গুলি চালনা

উল্লেখ্য,গতবছরও মোটা অঙ্কের ঋণ দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার পাকিস্তানকে দুরবস্থা থেকে বাঁচিয়ে তুলেছিল। কিন্তু এবছর সেটাও সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

আরও পড়ুন: ভারতে আসছে না পাকিস্তান হকি দল

আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তান সরকার আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে অবস্থা এই জায়গায় গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। আমদানি বন্ধ এবং রুপির ব্যাপক অবমূল্যায়নের কারণে শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি নির্মাণ প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, টেক্সটাইল কারখানাগুলো আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে এবং অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ধীর হয়ে গেছে।

বন্দর নগরী করাচির জাফর ইকবাল নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘সড়কে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে, শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে। মুদ্রাস্ফীতি এতটাই বেড়েছে যে খাদ্যপণ্য কেনার মতো অর্থ হাতে থাকছে না।’