একমাত্র পুত্রের প্রাণ বাঁচাতে লাগবে ১৭ কোটির ইনজেকশন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্জি বাবা-মায়ের

- আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
- / 26
মুহাম্মদ রাকিব, উলুবেড়িয়া: উলুবেড়িয়ার মহেশপুরের বাসিন্দা বছর দুয়েক বয়সের ঈশান ঘোষ এসএমএতে (জিনঘটিত অসুখ স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রোফিতে) আক্রান্ত। একমাত্র পুত্র এই বিরল জিনঘটিত অসুখে আক্রান্ত এ খবর শুনে মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে তাঁর বাবা-মার। ছেলেকে অসুখ থেকে সারিয়ে তোলার আর্জি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দারস্থ হয়েছেন ঈশানের বাবা কৌশিক ঘোষ ও মা শিল্পা ঘোষ।
উলুবেড়িয়া থানা এলাকার মহেশপুর ঘোষপাড়ায় বাড়ি ঈশানের। ঈশানের বাবা কৌশিক ঘোষ, চটকল শ্রমিক। যৎ সামান্য আয়ে এত ব্যয় বহুল চিকিৎসা ছেলের জন্য করাবেন তা কল্পনাতীত। বর্তমানে ঈশান কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
ঈশানের বাবা কৌশিক ঘোষ বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই বিরল রোগের চিকিৎসার জন্য যে ইনজেকশন দরকার তারজন্য ব্যয় হবে ১৭ কোটি টাকা।’ তিনি বলেন, ‘এত পরিমান টাকা কোথা থেকে আসবে জানি না। এই ভেবে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। তারা সোশ্যাল মিডিয়ার দারস্থ হয়েছেন।’
কৌশিক বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই ঈশান প্রায়শই সর্দি ও কাশীতে ভুগত। দু’বছর বয়সে যে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা ও বসা দরকার তা সে ঠিকমতো করতে পারত না। তাই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার পর কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা করতে এলে চিকিৎসকরা একটি পরীক্ষা করার কথা বলেন। তখন সেই পরীক্ষা করতে ১৫ হাজার টাকা খরচ হবার কথা জানানো হয়। সেটাই তখন জোগাড় করে উঠতে পারিনি।
পরে টাকা জমিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যায় ঈশান স্পাইনাল মাসকিউলার এট্রোফিতে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা জানায় এই জিনঘটিত রোগ প্রতিরোধে যে ইনজেকশন দরকার তা ব্যয়-বহুল।’ কৌশিক আরও বলেন, ‘এরপর কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে যোগাযোগ করি।
সেখান থেকে তাকে কলকাতার পুলিশ হাসপাতালে এই রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানোর কথা বলা হয়। এই অবস্থায় এখন আমাদের ভরসা সাধারণ ও সহৃদয় মানুষ। সমাজ মাধ্যমে ছেলের রোগের কথা জানিয়েছি।’