বাংলা বলতেই মুম্বইয়ে আটক গোপালনগরের পারভিনা, হেনস্থার পর মুক্তি

- আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার
- / 11
এম এ হাকিম, বনগাঁ : বাংলায় কথা বলায় বাংলাদেশি সন্দেহে এবার মুম্বই পুলিশের হাতে হেনস্থার শিকার হলেন উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার খাবরাপোতা গ্রামের বাসিন্দা পারভিনা মণ্ডল (৩৫)। পরিচারিকার কাজের জন্য গত ৫ জুলাই মুম্বইয়ের অমরনাথ এলাকায় যান পারভিনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্ধবীদের সঙ্গে বাংলায় কথা বলার সময়ে তাকে সাদা পোশাকের পুলিশ আটক করে। সমস্ত ভারতীয় পরিচয়পত্র দেখালেও তা মানতে অস্বীকার করে পুলিশ।
পরবর্তীতে খবর যায় গোপালনগর থানায়। মুম্বই পুলিশের অনুরোধে পারভিনার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছয় গোপালনগর থানার পুলিশ। পারভিনার বাবা-মা মুহাম্মদ মণ্ডল ও পরিছন মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলে এবং প্রয়োজনীয় নথি খতিয়ে দেখে মুম্বই পুলিশকে জানানো হয়, তিনি ভারতীয় নাগরিক। এরপর গভীর রাতে থানা থেকে মুক্তি দেওয়া হয় পারভিনাকে।
পারভিনা জানান, ‘আমি আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, শ্রমিক কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সবই দেখাই, কিন্তু পুলিশ কিছু মানতে চায়নি। শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার জন্য আমাকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়।’ তার প্রশ্ন, আমরা ভারতীয়, বাঙালি হওয়াটাই কি অপরাধ?’
এ বিষয়ে পারবিনা বিবি জানান, বাংলায় কথা বলায় তাকে বাংলাদেশি সন্দেহে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ি হওয়ায় অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাকে। স্থানীয় পুলিশ বাড়িতে গিয়ে নথিপত্র যাচাই করে। তারপরই তাকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। বর্তমানে তিনি মুম্বইতেই আছেন।
পারভিনার মুক্তির পর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে তার পরিবার। পারভিনার মতো এর আগেও গোপালনগরের আকাইপুর গ্রামের এক যুবককেও একই কারণে গ্রেফতার করেছিল মুম্বই পুলিশ। শুধু মুম্বই নয়, হরিয়ানা, ওড়িশা, রাজস্থান-সহ বিভিন্ন রাজ্যে বার বার বাংলাভাষীদের বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেফতার করার ঘটনা প্রশাসনের অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।