০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমেরিকায় ল্যাবে উৎপাদিত মুরগির মাংস খেতে পারে মানুষ!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 40

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ল্যাবে বা গবেষণাগারে উৎপাদিত মুরগির মাংসকে মানুষের খাওয়ার যোগ্য বলে ঘোষণা করল আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনস্ট্রেশন (এফডিএ)। মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানায়, গবেষণাগারে তৈরি মাংস সম্পূর্ণ নিরাপদ, তাই মানুষের এটি ব্যবহারে কোনও বাধা নেই। বুধবার এক বিবৃতিতে এফডিএ জানায়, ল্যাবে তৈরি মাংসের উৎপাদন প্রক্রিয়া নিরাপদ, তবে এর মানে এই নয় যে এখনই এই মাংসকে বাজারজাত করা হবে। আপসাইড ফুডস নামক কোম্পানি ল্যাবে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মুরগির মাংস বানিয়েছে। এই মাংস তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘অ্যানিমাল সেল কালচার টেকনোলজি।’ সোজা কথায়, মুরগির দেহ থেকে কোষ সংগ্রহ করে গবেষণাগারের বিশেষ পরিবেশে সেই কোষ থেকে নয়া মাংস জন্ম দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।’ এই মাংস সম্পূর্ণরূপে স্বাদে ও বৈশিষ্ট্যে পোল্ট্রি মুরগির মতো। গবেষণাগারে তৈরি এই মুরগির মাংসকে বাজারে আনতে গেলে আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সেফ্টির অনুমতি লাগবে। আপসাইড ফুডসের সিইও উমা ভ্যালেতি অবশ্য এফডিএ-র ঘোষণাকে জয় হিসাবে দেখছেন। বলেন, ‘এটা খাবারের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত।’ ২০১৫ সালে মেম্ফিস ফুড নামে যাত্রা শুরু করে কোম্পানিটি। এরপর বহু ব্যবসায়ী ওই কোম্পানিতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখান। গত বছর কোম্পানিটি নাম বদলে নয়া নাম রাখে আপসাইড ফুডস। জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে কোম্পানিটি প্রতি বছর ল্যাবে ৫০ হাজার পাউন্ড মাংস উৎপাদন করতে পারবে।

 

আরও পড়ুন: ৪৭ বছর ধরে আমেরিকায় থাকা ইরানি নারীকে গ্রেফতার

আরও পড়ুন: আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের মুখ ফসকে মন্তব্য: ‘ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আমেরিকায় ল্যাবে উৎপাদিত মুরগির মাংস খেতে পারে মানুষ!

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ল্যাবে বা গবেষণাগারে উৎপাদিত মুরগির মাংসকে মানুষের খাওয়ার যোগ্য বলে ঘোষণা করল আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনস্ট্রেশন (এফডিএ)। মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানায়, গবেষণাগারে তৈরি মাংস সম্পূর্ণ নিরাপদ, তাই মানুষের এটি ব্যবহারে কোনও বাধা নেই। বুধবার এক বিবৃতিতে এফডিএ জানায়, ল্যাবে তৈরি মাংসের উৎপাদন প্রক্রিয়া নিরাপদ, তবে এর মানে এই নয় যে এখনই এই মাংসকে বাজারজাত করা হবে। আপসাইড ফুডস নামক কোম্পানি ল্যাবে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মুরগির মাংস বানিয়েছে। এই মাংস তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘অ্যানিমাল সেল কালচার টেকনোলজি।’ সোজা কথায়, মুরগির দেহ থেকে কোষ সংগ্রহ করে গবেষণাগারের বিশেষ পরিবেশে সেই কোষ থেকে নয়া মাংস জন্ম দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।’ এই মাংস সম্পূর্ণরূপে স্বাদে ও বৈশিষ্ট্যে পোল্ট্রি মুরগির মতো। গবেষণাগারে তৈরি এই মুরগির মাংসকে বাজারে আনতে গেলে আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সেফ্টির অনুমতি লাগবে। আপসাইড ফুডসের সিইও উমা ভ্যালেতি অবশ্য এফডিএ-র ঘোষণাকে জয় হিসাবে দেখছেন। বলেন, ‘এটা খাবারের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত।’ ২০১৫ সালে মেম্ফিস ফুড নামে যাত্রা শুরু করে কোম্পানিটি। এরপর বহু ব্যবসায়ী ওই কোম্পানিতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখান। গত বছর কোম্পানিটি নাম বদলে নয়া নাম রাখে আপসাইড ফুডস। জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে কোম্পানিটি প্রতি বছর ল্যাবে ৫০ হাজার পাউন্ড মাংস উৎপাদন করতে পারবে।

 

আরও পড়ুন: ৪৭ বছর ধরে আমেরিকায় থাকা ইরানি নারীকে গ্রেফতার

আরও পড়ুন: আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের মুখ ফসকে মন্তব্য: ‘ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে’