বিমান দুর্ঘটনায় চালককে আঙুল, আইনি পথে পাইলটরা

- আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার
- / 17
মারুফা খাতুন: গত ১২ই জুনের সেই ভয়াবহ ঘটনা এখনও আমরা কেউ ভুলতে পারিনি। সেই ঘটনার ক্ষত এখনও সকলের মনে দগ্ধ হয়ে রয়েছে। স্বজন হারানোর কষ্ট ভোলা অত সহজ নয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল ও সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বিমানবাহিনীর তীব্র সমালোচনা করেছেন। এটারই পরিপ্রেক্ষিতে পাইলটদের সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান পাইলটস তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে।
ফেডারেশনের দাবি কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া বিমান দুর্ঘটনার জন্য পাইলটদের দায়ী করা হয়েছে। তাই পাইলটদের ওই সংগঠন প্রকাশ্যে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ক্ষমা স্বীকার দাবি করেছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের দুই পাইলটের এই কথাবার্তা প্রকাশ্যে আসায় এক নতুন মোড় আসে আহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা কাণ্ডে। সংবাদমাধ্যমের দাবি দুই পাইলটই দায়ী এই ঘটনা ঘটার পেছনে। তাই সরাসরি আঙ্গুল তুলে কটাক্ষ করা হয় ওনাদেরকে। কিন্তু এই দাবি ধোপে টেকেনি।
তৎখনাতই খারিজ করে দেয় এএআইবি। আরও জানানো হয়, এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমান ভেঙে পড়ার কারণ সম্পর্কে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। তাহলে তাড়াহুড়ো করা হবে।
পাইলটদের সংগঠনের তরফ থেকেও যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এফআইপি তাদের এক বিবৃতিতে উল্লেখ করে জানিয়েছে যে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। বিশেষ করে যখন তদন্ত এখনও চলছে, সম্পূর্ণ হয়নি। কারণ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে এমন তথ্য, কখনই ছড়ানো উচিত নয়। পাইলটদের সংগঠন আরও জানিয়েছে কোন অনুমানের ভিত্তিতে এমন প্রতিবেদন কখনই প্রকাশ করা উচিৎ নয়। এটা একপ্রকার অপরাধ। যার কারণবশত শোকাহত পাইলটের পরিবারকে কষ্ট দিয়েছে রয়টার্স।
এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ভেঙে পড়া ও ২৪১ জন যাত্রী সহ মোট ২৭৫ জনের মৃত্যুর ঘটনার ঠিক এক মাসের মাথায় গত ১২ জুলাই প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে এএআইবি-এর তরফ থেকে। তদন্ত এখনও চলমান। আশা করা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি এর ফল পাওয়া যাবে।