মার্কিন কাঁটা সত্বেও বিকল্প পথে রফতানি চলবে: Piyush Goyal

- আপডেট : ২৫ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
- / 209
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মার্কিন কাঁটা সত্বেও বিকল্প পথে রফতানি চলবে, মন্তব্য Piyush Goyal-এর। বাণিজ্যের প্রশ্নে আমেরিকার প্রভূত চাপের মুখে পড়েও ভারত সরকারের দুই মন্ত্রী জানালেন যে, রাশিয়া থেকে পেট্রোপণ্য কেনা থেকে শুরু করে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি যা কিছুই করা হোক না কেন, জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন কাঁটা সত্বেও বিকল্প পথে ভারত রফতানি চালিয়ে যাবে। ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী ২৭ আগস্ট থেকে ভারতের রফতানির উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপছে।
এর মধ্যে ৭ আগস্ট থেকেই উভয় দেশের মধ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক চেপেছে। ভারতীয় পণ্য আমেরিকায় গেলে যেমন এই ২৫ শতাংশ শুল্ক লাগছে, তেমনই আমেরিকার পণ্য ভারতে এলেও একই পরিমাণ শুল্ক লাগছে। এর উপর ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক রাশিয়া থেকে তেল কেনার অপরাধে। ইকনমিক টাইমস বিশ্বনেতাদের সম্মেলনে ভাষণে বাণিজ্য মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল এবং বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, জাতীয় স্বার্থরক্ষা করার অধিকার রয়েছে ভারতের।
আমেরিকা যে অভিযোগ করেছে , ভারত রাশিয়ার তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে এবং রাশিয়ার তেল অন্য দেশকে বিক্রি করে মুনাফা করছে, তার জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, এটা মজার কথা যে দেশ ব্যাবসায়িক স্বার্থ ছাড়া কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্কই করে না সেই দেশ এই সব কথা বলছে। জয়শঙ্কর বলেন, কোনও দেশ যদি মনে করে ভারতের পণ্য কিনবে না, কিনবে না। সবাই কিনছে।
কোনও দেশকে তো ভারত পণ্য কিনতে বাধ্য করতে পারে না। ভারত যে রাশিয়া থেকে তেল কিনছে তা আন্তর্জাতিক মহল সমর্থন করেছে। আমরা রাশিয়ার তেল কিনছি আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে স্থিরতা বজায় রাখতে। আবার আমাদের চাহিদাও মিটছে। আমরা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। আমরা মোটেই ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চলুক তা চাই না। বাণিজ্যমন্ত্রী গোয়েল বলেন, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। কিন্তু বাণিজ্য চুক্তি করতে হলে আগে দেশের মানুষের কথা ভাবতে হবে। কোনও ক্ষেত্রের বাজার অন্য দেশের জন্য খুলে দেওয়ার আগে সেই ক্ষেত্রে জড়িত লোকজন কী বলছেন তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কৃষক, ছোট ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখতে হবে না? মন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, চুক্তি নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগ সবসময়ই সচল থাকবে। আমেরিকা এবং চিনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে অতীতেও বহুবার মতবিরোধ হয়েছে, কিন্তু সম্পর্ক বজায় রয়েছে। কোয়াড যেমন ছিল তেমনই আছে, ব্রিকস যেমন ছিল তেমনই আছে।
২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচনে কি বামেদের সঙ্গে জোট? Biman Bose-কে চিঠি নওশাদ সিদ্দিকীর
আমাদের মতো দেশের হয় এসপার নয় উসপার নীতি নিয়ে চলা যায় না। মন্ত্রী গোয়েল বলেন, আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধি সত্বেও ভারতের বাণিজ্য টিকে থাকবে। ব্যবসায়ীরা আমায় জানিয়েছেন, তাঁরা বিকল্প রুটে রফতানি করবেন। তাঁরা এমনও বলছেন যে, গত বছরের চেয়ে বেশি রফতানি করবেন তাঁরা। সরকার তাঁদের সাহায্য করবে। আমরা তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিই না। আমরা অন্য অনেক দেশের সঙ্গে কথা বলে দেখছি, কিভাবে রফতানির গতি সচল রাখা যায়। হয়তো যে দেশ থেকে আমাদের যতটা দরকার তার চেয়ে বেশি জিনিস কিনতে হবে। যতটা বিক্রি করলে সমস্যা মিটত, হয়তো তার থেকে বেশি পণ্য বিক্রি করতে হবে। এভাবেই বিকল্প পথ বেরিয়ে আসছে।