০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি থেকে বেকারত্ব, সর্বদলীয় বৈঠকে ১০ ইস্যুতে সোমবার সরব হবে তৃণমূল

পুবের কলম
  • আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২১, রবিবার
  • / 61

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সোমবার শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে আজ, রবিবার সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছে কেন্দ্র। তবে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত হননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের হই-হট্টগোলের জেরে বাদল অধিবেশনে বার বার ভেস্তে গিয়েছিল। অধিবেশন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় তা নিশ্চিত করতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে খবর। এদিনের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করে আম আদমি পার্টি। তাদের অভিযোগ যে বেঠিকে কিছু বলতে দেওয়া হয় না, সেখানে যোগ দিয়ে কী লাভ। মিডিয়ার সামনে এমনই উষ্মা প্রকাশ করেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং।

রবিবার কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এ দিন সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন। বৈঠকে কংগ্রেস, শিবসেনা, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস সহ একাধিক রাজনৈতিক দল উপস্থিত ছিল। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন অধিবেশন চলাকালীন ১০ টি বিষয়ে আলোচনার দাবি করেন।

আরও পড়ুন: সংসদের বাদল অধিবেশনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল কেন্দ্র

তৃণমূলের তরফে যে ১০টি বিষয়ে আলোচনার দাবি করা হয়েছে, সেগুলি হল – ১. বেকারত্ব, ২. জ্বালানি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ৩. ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য়কে আইনের অন্তর্ভুক্ত করা, ৪. যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়া, ৫. লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাগুলিকে যে বিনিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে, তা চালু করা, ৬. বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি, ৭. পেগাসাস ইস্যু, ৮. করোনা পরিস্থিতি, ৯. নারী সংরক্ষণ বিল এবং, ১০. ২০১৪ সাল থেকে যে বিলগুলি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তা বন্ধ করা।

আরও পড়ুন: সিডিএস-র স্বীকারোক্তির পর সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি

শীতকালীন অধিবেশন মোট ২৬টি নতুন বিল আনতে চলেছে মোদি সরকার৷ তালিকার ২৫ নম্বর রয়েছে ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল ২০২১’৷ শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই এই বিল পেশ করা হবে৷ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিন কৃষি বিল সংসদে আনা হয়৷ এক প্রকার জোর করে পাস করিয়ে নেওয়া হয়৷ তার পরই রাষ্ট্রপতির সাক্ষর করে আইনে পরিণত করা হয়৷ কিন্তু, প্রথম থেকেই এই বিল বা পরবর্তীতে আইনের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে তুমুল কৃষক আন্দোলন শুরু করে৷ শেষ পর্যন্ত তীব্র আন্দোলনের চাপে তিন কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন: সর্বদলীয় প্রতিনিধিরা বিদেশ থেকে ফিরলেই সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার আর্জি মমতার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি থেকে বেকারত্ব, সর্বদলীয় বৈঠকে ১০ ইস্যুতে সোমবার সরব হবে তৃণমূল

আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২১, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সোমবার শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে আজ, রবিবার সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছে কেন্দ্র। তবে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত হননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের হই-হট্টগোলের জেরে বাদল অধিবেশনে বার বার ভেস্তে গিয়েছিল। অধিবেশন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় তা নিশ্চিত করতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে খবর। এদিনের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করে আম আদমি পার্টি। তাদের অভিযোগ যে বেঠিকে কিছু বলতে দেওয়া হয় না, সেখানে যোগ দিয়ে কী লাভ। মিডিয়ার সামনে এমনই উষ্মা প্রকাশ করেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং।

রবিবার কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এ দিন সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন। বৈঠকে কংগ্রেস, শিবসেনা, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস সহ একাধিক রাজনৈতিক দল উপস্থিত ছিল। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন অধিবেশন চলাকালীন ১০ টি বিষয়ে আলোচনার দাবি করেন।

আরও পড়ুন: সংসদের বাদল অধিবেশনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল কেন্দ্র

তৃণমূলের তরফে যে ১০টি বিষয়ে আলোচনার দাবি করা হয়েছে, সেগুলি হল – ১. বেকারত্ব, ২. জ্বালানি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ৩. ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য়কে আইনের অন্তর্ভুক্ত করা, ৪. যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়া, ৫. লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাগুলিকে যে বিনিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে, তা চালু করা, ৬. বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি, ৭. পেগাসাস ইস্যু, ৮. করোনা পরিস্থিতি, ৯. নারী সংরক্ষণ বিল এবং, ১০. ২০১৪ সাল থেকে যে বিলগুলি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তা বন্ধ করা।

আরও পড়ুন: সিডিএস-র স্বীকারোক্তির পর সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি

শীতকালীন অধিবেশন মোট ২৬টি নতুন বিল আনতে চলেছে মোদি সরকার৷ তালিকার ২৫ নম্বর রয়েছে ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল ২০২১’৷ শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই এই বিল পেশ করা হবে৷ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিন কৃষি বিল সংসদে আনা হয়৷ এক প্রকার জোর করে পাস করিয়ে নেওয়া হয়৷ তার পরই রাষ্ট্রপতির সাক্ষর করে আইনে পরিণত করা হয়৷ কিন্তু, প্রথম থেকেই এই বিল বা পরবর্তীতে আইনের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে তুমুল কৃষক আন্দোলন শুরু করে৷ শেষ পর্যন্ত তীব্র আন্দোলনের চাপে তিন কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন: সর্বদলীয় প্রতিনিধিরা বিদেশ থেকে ফিরলেই সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার আর্জি মমতার