০৭ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝাঁড়ফুক করার নামে নাবালিকাকে ধর্ষণ তান্ত্রিকের, অভিযুক্তের খোঁজে পুলিশ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 64

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মানুষ যতই বিজ্ঞান মনস্ক, আধুনিক বলে নিজেকে দাবি করুক না কেন, এখনও একশ্রেণির সমাজ কুসংস্কারের ঘেরাটোপে বন্ধী। ফের এক নাবালিকার ওপরে ঝাঁড়ফুক করে তাকে ধর্ষণ করল এক তান্ত্রিক। এই ঘটনায় নাবালিকার শরীরের একাধিকস্থানে দাঁতের কামড়ের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। বিহারের মজঃফরপুরের এই নারকীয় ঘটনায় হতবাক সভ্য সমাজ।

নির্যাতিতার বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সঞ্জয় শাহ নামের এক ব্যক্তি গ্রামে গ্রামে গিয়ে ঝাড়ফুঁক করেন। গত ৯ নভেম্বর হঠাৎ করেই নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছয় সঞ্জয় শাহ। তার দাবি নির্যাতিতা শরীরে অশুভ আত্মা ঘরে বাস করছে। এখনই এই অশুভ আত্মাকে দূর করতে হবে না হলে নির্যাতিতার ক্ষতি হতে পারে। বেশ কিছুদিন ধরে নির্যাতিতা অসুস্থ থাকায়, তান্ত্রিকের কথা বিশ্বাস করতে বাধ্য হয় নির্যাতিতার পরিবার। এর পরে নানা ধরনের আদব কায়দা করতে থাকে ওই তান্ত্রিক। নির্যাতিতার সামনে ধূপ, ধুনো, জ্বালিয়ে কাজ কর্ম করতে থাকে তান্ত্রিক সঞ্জয় শাহ। সেই সময় পরিবারের সব লোককে সেই ঘরের বাইরে চলে যেতে বলা হয়।  আদিম প্রবৃত্তি জেগে ওঠে তান্ত্রিকের মধ্যে। নির্যাতিতাকে বিবস্ত্র করে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। নাবালিকার চিৎকারে পরিবারের লোক এসে হাজির হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে  নাবালিকার চোখে ছাই দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত তান্ত্রিক সঞ্জয় শাহ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মজঃফরপুর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে’, বিহারে লাঠিচার্জ নিয়ে এনডিএ সরকারকে আক্রমণ রাহুল গান্ধির

 

আরও পড়ুন: বিহারে ৩ লাখ ভোটারকে ‘সন্দেহজনক নাগরিক’ ঘোষণা

আরও পড়ুন: Bihar SIR row hearing: ‘AADHAR CARD’ আইনত স্বীকৃত নথি’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ঝাঁড়ফুক করার নামে নাবালিকাকে ধর্ষণ তান্ত্রিকের, অভিযুক্তের খোঁজে পুলিশ

আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মানুষ যতই বিজ্ঞান মনস্ক, আধুনিক বলে নিজেকে দাবি করুক না কেন, এখনও একশ্রেণির সমাজ কুসংস্কারের ঘেরাটোপে বন্ধী। ফের এক নাবালিকার ওপরে ঝাঁড়ফুক করে তাকে ধর্ষণ করল এক তান্ত্রিক। এই ঘটনায় নাবালিকার শরীরের একাধিকস্থানে দাঁতের কামড়ের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। বিহারের মজঃফরপুরের এই নারকীয় ঘটনায় হতবাক সভ্য সমাজ।

নির্যাতিতার বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সঞ্জয় শাহ নামের এক ব্যক্তি গ্রামে গ্রামে গিয়ে ঝাড়ফুঁক করেন। গত ৯ নভেম্বর হঠাৎ করেই নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছয় সঞ্জয় শাহ। তার দাবি নির্যাতিতা শরীরে অশুভ আত্মা ঘরে বাস করছে। এখনই এই অশুভ আত্মাকে দূর করতে হবে না হলে নির্যাতিতার ক্ষতি হতে পারে। বেশ কিছুদিন ধরে নির্যাতিতা অসুস্থ থাকায়, তান্ত্রিকের কথা বিশ্বাস করতে বাধ্য হয় নির্যাতিতার পরিবার। এর পরে নানা ধরনের আদব কায়দা করতে থাকে ওই তান্ত্রিক। নির্যাতিতার সামনে ধূপ, ধুনো, জ্বালিয়ে কাজ কর্ম করতে থাকে তান্ত্রিক সঞ্জয় শাহ। সেই সময় পরিবারের সব লোককে সেই ঘরের বাইরে চলে যেতে বলা হয়।  আদিম প্রবৃত্তি জেগে ওঠে তান্ত্রিকের মধ্যে। নির্যাতিতাকে বিবস্ত্র করে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। নাবালিকার চিৎকারে পরিবারের লোক এসে হাজির হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে  নাবালিকার চোখে ছাই দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত তান্ত্রিক সঞ্জয় শাহ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মজঃফরপুর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে’, বিহারে লাঠিচার্জ নিয়ে এনডিএ সরকারকে আক্রমণ রাহুল গান্ধির

 

আরও পড়ুন: বিহারে ৩ লাখ ভোটারকে ‘সন্দেহজনক নাগরিক’ ঘোষণা

আরও পড়ুন: Bihar SIR row hearing: ‘AADHAR CARD’ আইনত স্বীকৃত নথি’