মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান পুনমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, জওয়ানকে ছাড়াতে বিএসএফ ডিজির সঙ্গে কথা কল্যাণের

- আপডেট : ১১ মে ২০২৫, রবিবার
- / 174
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাক সেনার হাতে বন্দি বাংলার ছেলে বিএসএফ জওয়ান পুনম কুমার সাউ। স্বামীকে খবর জানতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পাঠানকোট যান। সেখান থেকে আশ্বাস নিয়ে ফিরতে হয়। তবে এখনও কোনও খবর নেই বিএসএফ জওয়ানের। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান পুনম সাউয়ের স্ত্রী রজনী সাউ। ১০ মিনিটের জন্য সময় চেয়েছেন তিনি। স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। কল্যাণ জানিয়েছেন বিষয়টি দেখবেন। জওয়ানকে ফিরিয়ে আনতে শনিবার রাতে বিএসএফরের ডিজি ও প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার পাকিস্তানের আবেদন মেনে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত। এবার পাকিস্তানের হাতে আটক হুগলির জওয়ান পুনম সাউকে ফিরিয়ে আনার জন্য আবেদন করেছে পরিবার। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে পুনমের স্ত্রী রজনী সাউ বলেন, “১০ মিনিটের জন্য কথা বলতে চাই। কল্যাণদাকে জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী চাইলেই দেখা করতে পারবেন। এখনও কোনও জবাব পাইনি।”
জওয়ানের বাবা বলেন, “দিদি বিষয়টি দেখুক। আমরা দেখা করতে চাই। ১০ মিনিটের বেশি সময় নেব না।” প্রায় তিন সপ্তাহ হতে চলল পাকিস্তানের হাতে আটক বাংলার ছেলে। এ নিয়ে তাঁর বাবা বলেন, “২০ দিন ধরে ও পাকিস্তানে আটকে। দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ ওকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনা হোক। ছেলে ঘরে ফিরুক। আবার সেনায় যোগ দিক। দেশের সেবা করুক।”
এর আগে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেছিলেন। শনিবার ফের সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘কোনও ভাবনা বা পরিকল্পনার কথা আর শোনা হবে না। এবার কাজ করতে হবে।’ রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “গতকাল রাতে বিএসএফের ডিজির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। পিএমওর অফিসারের সঙ্গেও কথা হয়েছে।” তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পার্ক রেঞ্জার্সের হাতে গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের ফিরোজপুর বর্ডারে হাতে আটক হয় রিষড়ার বাসিন্দা ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের বিএসএফ জওয়ান পুনম কুমার সাউ। তার আগের দিনই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। তাঁর মুক্তির জন্য একাধিক বার ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পুনমের মুক্তির ব্যাপারে কোনও উত্তর মেলেনি। এর মধ্যে ভারত-পাক সংঘর্ষ শুরু হতেই আশা কমতে থাকে। সংঘর্ষবিরতি হওয়ায় নতুন আশার আলো দেখছেন জওয়ানের পরিবার।