০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোযা ধর্মীয় বিধান হলেও বিজ্ঞান ভিত্তিক

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার
  • / 29

প্রদীপ ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ। সবধর্মের এবং সবজাতির মানুষকে নিয়েই চলতে ভালবাসেন। একশভাগ ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শে বিশ্বাসী। পবিত্র রমযান মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে তাঁর ধারণার কথা শুনলেন প্রদীপ মজুমদার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পাট ভাঙা ধুতি-পাঞ্জাবিতে কেতাদূরস্ত মানুষ হলেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে ভালবাসেন। সাবেকিয়ানার রাজনীতিকদের পরম্পরা মেনে বাংলায় এখন যে তিন-চার জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখনও ধুতি-পাজাবিতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তাঁদের অন্যতম প্রদীপ ভট্টাচার্য। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িত। কখনও দল ছেড়ে বাড়তি সুবিধার আশায় অন্য দলে যাননি। মাঠে-ময়দানে নেমে রাজনীতি করতে পছন্দ করেন। ভেদাভেদ দেখেন না হিন্দু-মুসলমানে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, একজন হিন্দু ব্রাহ্মণ সন্তান হয়ে কি ভাবে ব্যাখ্যা করবেন পবিত্র রমযান মাসের মাহাত্ম্যকে? সামান্যতম সময়ক্ষেপণ না করেই প্রদীপ ভট্টাচার্য বলতে শুরু করেন, ইসলাম অনুসারীদের কাছে রমযান পবিত্রতম মাস। এই মাসে ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরিফের আবির্ভাব হয়েছিল। এটা কোনও মানুষের লেখা নয়, ইসলাম অনুসারীরা বিশ্বাস করেন, এটা ঐশিকবাণী। মানুষের জীবনযাপন কেমন হওয়া উচিত তারই দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে ওই মহাগ্রন্থে। সেই হিসাবে রমযান মাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ইসলাম ধর্মের পদ্ধতি ও বিধি মেনে এই গোটা মাস ধরে যে রোযা বা উপবাস পালন করা হয়, তা শরীর মন ও আত্মার জন্য খুবই জরুরী। রোযা ধর্মীয় বিধান হলেও বিজ্ঞান ভিত্তিক। দীর্ঘ সময়ের উপবাস শরীরকে রেস্ট দেয়, এর ফলে মনের ভেতর প্রশান্তির সৃষ্টি হয়। এটি শুধু ব্যক্তির আত্ম সংযম নয়, সবাই যদি আত্মসংযম করে, তা হলে পরিবর্তন হয় সমাজ ব্যবস্থার। ইসলাম পুরোপুরি নিয়মানুবর্তিতার ধর্ম ইসলাম মানে শান্তি। অথচ সেই ইসলাম অনুসারীদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ জুড়ে দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মুসলমানদের উপর অত্যাচার ধর্মীয় আচরণে বাধা এমনকি তাদের ঘর-বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁনিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভারতে অবাক লাগে, এই পবিত্র রমযান মাসে, যখন মুসলমানরা রোযা রেখে সংযম ব্রত পালন করছেন, ঠিক সেই সময় মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি সহ একাধিক স্থানে মুসলমানদের ঘর-বাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আমরা তীব্র ভাষায় এর প্রতিবাদ জানাই।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রোযা ধর্মীয় বিধান হলেও বিজ্ঞান ভিত্তিক

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পাট ভাঙা ধুতি-পাঞ্জাবিতে কেতাদূরস্ত মানুষ হলেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে ভালবাসেন। সাবেকিয়ানার রাজনীতিকদের পরম্পরা মেনে বাংলায় এখন যে তিন-চার জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখনও ধুতি-পাজাবিতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তাঁদের অন্যতম প্রদীপ ভট্টাচার্য। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িত। কখনও দল ছেড়ে বাড়তি সুবিধার আশায় অন্য দলে যাননি। মাঠে-ময়দানে নেমে রাজনীতি করতে পছন্দ করেন। ভেদাভেদ দেখেন না হিন্দু-মুসলমানে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, একজন হিন্দু ব্রাহ্মণ সন্তান হয়ে কি ভাবে ব্যাখ্যা করবেন পবিত্র রমযান মাসের মাহাত্ম্যকে? সামান্যতম সময়ক্ষেপণ না করেই প্রদীপ ভট্টাচার্য বলতে শুরু করেন, ইসলাম অনুসারীদের কাছে রমযান পবিত্রতম মাস। এই মাসে ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরিফের আবির্ভাব হয়েছিল। এটা কোনও মানুষের লেখা নয়, ইসলাম অনুসারীরা বিশ্বাস করেন, এটা ঐশিকবাণী। মানুষের জীবনযাপন কেমন হওয়া উচিত তারই দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে ওই মহাগ্রন্থে। সেই হিসাবে রমযান মাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ইসলাম ধর্মের পদ্ধতি ও বিধি মেনে এই গোটা মাস ধরে যে রোযা বা উপবাস পালন করা হয়, তা শরীর মন ও আত্মার জন্য খুবই জরুরী। রোযা ধর্মীয় বিধান হলেও বিজ্ঞান ভিত্তিক। দীর্ঘ সময়ের উপবাস শরীরকে রেস্ট দেয়, এর ফলে মনের ভেতর প্রশান্তির সৃষ্টি হয়। এটি শুধু ব্যক্তির আত্ম সংযম নয়, সবাই যদি আত্মসংযম করে, তা হলে পরিবর্তন হয় সমাজ ব্যবস্থার। ইসলাম পুরোপুরি নিয়মানুবর্তিতার ধর্ম ইসলাম মানে শান্তি। অথচ সেই ইসলাম অনুসারীদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ জুড়ে দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মুসলমানদের উপর অত্যাচার ধর্মীয় আচরণে বাধা এমনকি তাদের ঘর-বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁনিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভারতে অবাক লাগে, এই পবিত্র রমযান মাসে, যখন মুসলমানরা রোযা রেখে সংযম ব্রত পালন করছেন, ঠিক সেই সময় মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি সহ একাধিক স্থানে মুসলমানদের ঘর-বাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আমরা তীব্র ভাষায় এর প্রতিবাদ জানাই।