প্রশান্ত কিশোরের পূর্বাভাস ভরাডুবি, বিহার ভোটে মুখ থুবড়ে জন সুরাজ
- আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার
- / 161
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২০২০ সালে বাংলার ভোটে বিজেপি একশো আসন পেরোবে না—এই পূর্বাভাস মিলেছিল প্রশান্ত কিশোরের। কিন্তু পাঁচ বছর পর বিহার ভোটে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ভোটের আগে তিনি দাবি করেছিলেন, জেডিইউ পঁচিশের বেশি আসন পাবে না এবং নীতীশ কুমার আর মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। বাস্তবে ফলাফল বলছে ঠিক এর উল্টো ছবি। পাশাপাশি প্রশান্তের নিজস্ব দল জন সুরাজ পার্টি কার্যত কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি। তিনি নিজেও জয়ের মুখ দেখেননি।
ভোটকুশলী হিসাবে বিপুল সাফল্য থাকলেও সরাসরি রাজনীতির ময়দানে পিকে রীতিমতো ব্যর্থ। তিন বছর ধরে বিহারের গ্রামে ঘোরা, কর্পোরেট ভঙ্গিমায় দল ঘোষণা, কোটি টাকা খরচে প্রচার—কিছুই কাজে এল না। এনডিএ বনাম মহাজোটের চেনা লড়াইয়ের মাঝখানে তৃতীয় শক্তি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইলেও বাস্তবের মাটিতে কোনও জায়গা তৈরি করতে পারেননি তিনি। সোশাল মিডিয়ার হইচই বাস্তবে ফল দিল না।
প্রচারে একাধিক ভুলও তাঁর ব্যর্থতার বড় কারণ। তিনি ঘোষণা করেছিলেন অন্য দলের কাউকে নেবেন না, দুর্নীতিগ্রস্ত কাউকে টিকিট দেবেন না, প্রথম সভাপতি হবেন একজন দলিত—কোনও প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেননি। সবচেয়ে বড় বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ছিল নিজে ভোটে না দাঁড়ানো। যে পিকে অন্য নেতাদের কঠিন আসনে লড়াই করার পরামর্শ দেন, তিনি নিজে ভোটে না নেমে দলের সম্ভাবনাকেই খর্ব করেছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
বিহারের কঠিন রাজনীতিতে কেবল সোশাল মিডিয়া বা কর্পোরেট প্রচার যথেষ্ট নয়। সেখানে দরকার জাতপাতের জটিল সমীকরণ, তৃণমূল পর্যায়ের শক্ত সংগঠন এবং দীর্ঘ সময়ের পরিশ্রম। মাত্র তিন বছরে তা তৈরি হওয়া কঠিন। লালুপ্রসাদ যাদব বা নীতীশ কুমারও বহু বছর ধরে সংগ্রাম করে নিজেদের জায়গা গড়েছেন।
এখন প্রশ্ন—এই ব্যর্থতায় প্রশান্ত কিশোর কি পিছিয়ে যাবেন, নাকি ‘বিহার বদলাও’ কর্মসূচি নিয়ে আবার শুরু করবেন? সময়ই তার উত্তর দেবে।




































