২৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডায়মন্ড হারবারে ডেঙ্গু সচেতনে রাষ্ট্রপতির সম্মানিত শিল্পী স্বপন দত্ত বাউল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার
  • / 23

কুতুব উদ্দিন মোল্লা,ক্যানিং: সারা বছর ধরেই নিঃস্বার্থ ভাবে সমাজ সচেতন, কুসংস্কার, কুপ্রথা দূরীকরণ, দেশে বিদেশে শান্তি সম্প্রীতির প্রচারে, বাউল গানের বার্তায় বিভোর রাজ্যের একমাএ বাউল লোক শিল্পী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন স্বপন দত্ত বাউল।

বর্ষাকালে এ বছর প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে সব জেলাতেই তার ফলে অনেক জায়গা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এবং রাস্তা ঘাট্‌ খানা, ডোবায় বিভিন্ন জায়গায় জল জমে ডেঙ্গু মশা জন্মাচ্ছে। তাই ডেঙ্গু মশার কামড় থেকে মানুষকে বাঁচাতে আগেভাগেই জেলায় জেলায় পথে পথে বাউল গানে ডেঙ্গু সচেতনে ঘুরছেন রাষ্ট্রপতির প্রশংসিত সম্মানিত শিল্পী ডক্টর স্বপন দত্ত বাউল।

আরও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবার ও বারাসত শাখায় অতিরিক্ত ৫ লোকাল ট্রেন, স্বস্তির মুখে যাত্রীরা

ডায়মন্ড হারবারে ডেঙ্গু সচেতনে রাষ্ট্রপতির সম্মানিত শিল্পী স্বপন দত্ত বাউল

বুধবার ডায়মন্ড হারবারের পথে পথে ঘুরতে দেখা গেলো পূর্ব বর্ধমান থেকে ছুটে আসা নিঃস্বার্থ বিনা পারিশ্রমিকের উদাস বাউল স্বপন দত্তকে। তিনি রাষ্ট্রপতির দেওয়া একতারা, কোল ডুগী বাজিয়ে নেচে নেচে নিজের লেখা নিজের সুরেই ডেঙ্গু নিয়ে বাউল গানে মানুষকে সচেতন করে বোঝাচ্ছেন জমা জলই মশা বাহিত রোগের কারণ। বাড়ির আশে পাশে আনাচে কানাচে গর্তে ডোবায় জল জমিয়ে ডেকে এনো নাগো মরন।।

গানে ও বক্তব্যে স্বপন দত্ত বাউল বলেছেন, মশা কামড়ালে জ্বর হলেই সেটা কিন্তু ডেঙ্গু জ্বর বলে কেউ অযথা আতঙ্কিত হবেন না। রক্তে এলাইজা টেস্ট করলে তবেই ডেঙ্গু হয়েছে কিনা ধরা পড়বে। প্রচণ্ড জ্বর বাড়ছে-কমছে, পেট খারাপ, গায়ে ,হাতে, পায়ে, গিটে গিটে ব্যথ্যা, গা বমিবমি ভাব, গায়ে লাল কালো ছোপ দাগ দেখলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে কেউ ভুলবেন না ।

ডায়মন্ড হারবারে ডেঙ্গু সচেতনে রাষ্ট্রপতির সম্মানিত শিল্পী স্বপন দত্ত বাউল

পাশা পাশি মহানগরীর কর্পোরেশন, জেলার পৌরসভা , গ্রামের পঞ্চায়েত , স্বাস্থ্যদপ্তর গুলিকে ও রাজ্য সরকারকেও সচেতন করে বলছেন নিয়মিত রাস্তা ঘাট,ড্রেন, আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে, মশা মারার কিট নাশক তেল স্প্রে করতে হবে, মশা মারার কিট নাশক ওষুধ ছড়াতে হবে । শুধু মাত্র একটু গ্যমাকসিন পাউডার ছড়িয়ে দিলে চলবে না। কামান দেগে মশা মারতে ধোঁয়া দিতে হবে।

রোড ও আবাসন ফ্ল্যাট নির্মাতা দের বলছেন রাস্তা ও বাড়ি তৈরি করতে দীর্ঘদিন গর্ত করে রেখে জল জমানো চলবে না। এছাড়া আবাসনের জলের ট্যাংকে, ফুলদানীতে, ঠাকুরের ঘটে, খাবারের দোকানে হাত ধোয়ার জলের জায়গায় ও ডাবের খোলায়, প্লাস্টিকের ছেঁড়া প্যাকেটে , চৌবাচ্চায় ও পরিত্যক্ত গাড়ির টায়ারে জল জমিয়ে রাখা চলবে না, কারণ ওখানেও ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

স্বপন বাউল গানে গানে বার বার বলছেন যেহেতু ডেঙ্গু রোগের এখনো কোনো ভালো ওষুধ বেরোয় নেই , সুতরাং জনগণকে ডেঙ্গু মশার কামড় থেকে বাঁচতে হলে দিনে রাতে শোবার সময় মশারিটা টাঙাতে কেউ ভুলবেন না।। এমন সুন্দর করে বাউল গানে ও বক্তব্যে ডেঙ্গু সচেতনতা দেখে ডায়মন্ড হারবারের মানুষ মুগ্ধ । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে সারা রাজ্যের জেলায় জেলায় নিঃস্বার্থ ভাবে বিনা পারিশ্রমিকে বেশ কয়েক বছর ধরেই ডেঙ্গু সচেতন করে অনেক ক্ষেত্রেই ডেঙ্গু বিজয় করে সফলতা পেয়েছেন।

ডেঙ্গু বিজয়ের বাউল শিল্পী বলেও লোক সমাজে পরিচিতি পেয়েছেন। রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়্‌, স্বপন দত্ত বাউলকে তিনবার সম্মানিত করেছে্‌, তার নিজ চেষ্টায় মহতী উদ্যোগ দেখে ,সুষ্ঠ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে নিঃস্বার্থ বিনা পারিশ্রমিকে সমাজসেবায় জীবন উৎসর্গ করার জন্য।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ডায়মন্ড হারবারে ডেঙ্গু সচেতনে রাষ্ট্রপতির সম্মানিত শিল্পী স্বপন দত্ত বাউল

আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার

কুতুব উদ্দিন মোল্লা,ক্যানিং: সারা বছর ধরেই নিঃস্বার্থ ভাবে সমাজ সচেতন, কুসংস্কার, কুপ্রথা দূরীকরণ, দেশে বিদেশে শান্তি সম্প্রীতির প্রচারে, বাউল গানের বার্তায় বিভোর রাজ্যের একমাএ বাউল লোক শিল্পী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন স্বপন দত্ত বাউল।

বর্ষাকালে এ বছর প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে সব জেলাতেই তার ফলে অনেক জায়গা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এবং রাস্তা ঘাট্‌ খানা, ডোবায় বিভিন্ন জায়গায় জল জমে ডেঙ্গু মশা জন্মাচ্ছে। তাই ডেঙ্গু মশার কামড় থেকে মানুষকে বাঁচাতে আগেভাগেই জেলায় জেলায় পথে পথে বাউল গানে ডেঙ্গু সচেতনে ঘুরছেন রাষ্ট্রপতির প্রশংসিত সম্মানিত শিল্পী ডক্টর স্বপন দত্ত বাউল।

আরও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবার ও বারাসত শাখায় অতিরিক্ত ৫ লোকাল ট্রেন, স্বস্তির মুখে যাত্রীরা

ডায়মন্ড হারবারে ডেঙ্গু সচেতনে রাষ্ট্রপতির সম্মানিত শিল্পী স্বপন দত্ত বাউল

বুধবার ডায়মন্ড হারবারের পথে পথে ঘুরতে দেখা গেলো পূর্ব বর্ধমান থেকে ছুটে আসা নিঃস্বার্থ বিনা পারিশ্রমিকের উদাস বাউল স্বপন দত্তকে। তিনি রাষ্ট্রপতির দেওয়া একতারা, কোল ডুগী বাজিয়ে নেচে নেচে নিজের লেখা নিজের সুরেই ডেঙ্গু নিয়ে বাউল গানে মানুষকে সচেতন করে বোঝাচ্ছেন জমা জলই মশা বাহিত রোগের কারণ। বাড়ির আশে পাশে আনাচে কানাচে গর্তে ডোবায় জল জমিয়ে ডেকে এনো নাগো মরন।।

গানে ও বক্তব্যে স্বপন দত্ত বাউল বলেছেন, মশা কামড়ালে জ্বর হলেই সেটা কিন্তু ডেঙ্গু জ্বর বলে কেউ অযথা আতঙ্কিত হবেন না। রক্তে এলাইজা টেস্ট করলে তবেই ডেঙ্গু হয়েছে কিনা ধরা পড়বে। প্রচণ্ড জ্বর বাড়ছে-কমছে, পেট খারাপ, গায়ে ,হাতে, পায়ে, গিটে গিটে ব্যথ্যা, গা বমিবমি ভাব, গায়ে লাল কালো ছোপ দাগ দেখলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে কেউ ভুলবেন না ।

ডায়মন্ড হারবারে ডেঙ্গু সচেতনে রাষ্ট্রপতির সম্মানিত শিল্পী স্বপন দত্ত বাউল

পাশা পাশি মহানগরীর কর্পোরেশন, জেলার পৌরসভা , গ্রামের পঞ্চায়েত , স্বাস্থ্যদপ্তর গুলিকে ও রাজ্য সরকারকেও সচেতন করে বলছেন নিয়মিত রাস্তা ঘাট,ড্রেন, আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে, মশা মারার কিট নাশক তেল স্প্রে করতে হবে, মশা মারার কিট নাশক ওষুধ ছড়াতে হবে । শুধু মাত্র একটু গ্যমাকসিন পাউডার ছড়িয়ে দিলে চলবে না। কামান দেগে মশা মারতে ধোঁয়া দিতে হবে।

রোড ও আবাসন ফ্ল্যাট নির্মাতা দের বলছেন রাস্তা ও বাড়ি তৈরি করতে দীর্ঘদিন গর্ত করে রেখে জল জমানো চলবে না। এছাড়া আবাসনের জলের ট্যাংকে, ফুলদানীতে, ঠাকুরের ঘটে, খাবারের দোকানে হাত ধোয়ার জলের জায়গায় ও ডাবের খোলায়, প্লাস্টিকের ছেঁড়া প্যাকেটে , চৌবাচ্চায় ও পরিত্যক্ত গাড়ির টায়ারে জল জমিয়ে রাখা চলবে না, কারণ ওখানেও ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

স্বপন বাউল গানে গানে বার বার বলছেন যেহেতু ডেঙ্গু রোগের এখনো কোনো ভালো ওষুধ বেরোয় নেই , সুতরাং জনগণকে ডেঙ্গু মশার কামড় থেকে বাঁচতে হলে দিনে রাতে শোবার সময় মশারিটা টাঙাতে কেউ ভুলবেন না।। এমন সুন্দর করে বাউল গানে ও বক্তব্যে ডেঙ্গু সচেতনতা দেখে ডায়মন্ড হারবারের মানুষ মুগ্ধ । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে সারা রাজ্যের জেলায় জেলায় নিঃস্বার্থ ভাবে বিনা পারিশ্রমিকে বেশ কয়েক বছর ধরেই ডেঙ্গু সচেতন করে অনেক ক্ষেত্রেই ডেঙ্গু বিজয় করে সফলতা পেয়েছেন।

ডেঙ্গু বিজয়ের বাউল শিল্পী বলেও লোক সমাজে পরিচিতি পেয়েছেন। রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়্‌, স্বপন দত্ত বাউলকে তিনবার সম্মানিত করেছে্‌, তার নিজ চেষ্টায় মহতী উদ্যোগ দেখে ,সুষ্ঠ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে নিঃস্বার্থ বিনা পারিশ্রমিকে সমাজসেবায় জীবন উৎসর্গ করার জন্য।