০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জার্মান চার্চে শিশুদের যৌন নিপীড়ন ৫৭০০টি ঘটনায় অভিযুক্ত পাদ্রিরা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 57

REPRESENTATIVE IMAGE

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ জার্মানির মানস্টার অঞ্চলে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান পাদ্রিদের হাতে শিশু যৌন হয়রানির ভয়াবহ খবর মিলল। ওই অঞ্চলে গির্জাসহ খ্রিষ্টানদের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৬০০টি যৌন নিপীড়নের ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে ১০ গুণ বেশি হতে পারে। সোমবার জার্মানির মানস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানস্টার অঞ্চলে ৬১০টি যৌন হয়রানির ঘটনা আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত রয়েছে। তবে এই অঞ্চলে আসলে ১৯৬ খ্রিস্টান যাজকের হাতে পৃথকভাবে অন্তত ৫ হাজার ৭০০টি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। ৫ শতাংশ যাজকের বিরুদ্ধে একাধিক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠলেও অভিযুক্ত যাজকদের মধ্যে ১০ শতাংশেরও কম আইনের মুখোমুখি হয়েছেন। জার্মানির ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি যৌন নিপীড়ন হয়েছে গত শতকের ষাট ও সত্তরের দশকে। ওই সময়ে মানস্টার অঞ্চলে প্রতি সপ্তাহে গড়ে দুটি করে এমন ঘটনা ঘটেছে। হয়রানির শিকার চারজনের মধ্যে তিনজনই বালক। তাদের বেশির ভাগের বয়স ১০ থেকে ১৪ বছর। এই শিশুরা পরে মানসিক নানা সমস্যায় ভুগেছে বলে জানা যায়। যৌন হয়রানির কারণে ২৭ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। মানস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদনে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে ফেলিক্স জেনের দিকে। তিনি ২০০৯ সাল থেকে মানস্টার অঞ্চলের বিশপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বলা হচ্ছে, যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ফেলিক্স জেন বলেন, যৌন হয়রানি সামাল দিতে তিনি যেসব ভুল করেছেন, সেগুলোর দায় নেবেন। এ নিয়ে আগামী শুক্রবার বিস্তারিত কথা বলবেন বলে জানান তিনি। এর আগে ২০১৮ সালে জার্মান বিশপ কনফারেন্সে যৌন হয়রানি-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৪৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জার্মানিতে ৩ হাজার ৬৭৭ জন অপ্রাপ্তবয়স্ককে কোনও না কোনওভাবে যৌন হয়রানির শিকার করা হয়েছে। এতে জড়িত ১৬৭০ জন ধর্মযাজক। এর আগে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রাক্তন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট অভিযুক্ত হন। বলা হয়, তাঁর নজরদারিতে গির্জায় শিশুদের যৌন নিপীড়ন করা হতো।

আরও পড়ুন: ‘মোস্ট হোলি রোজারি’ চার্চকে কেন্দ্র করে ক্যালকাটা সিড ও আইএইচএ ফাউন্ডেশনের মানবিক প্রচেষ্টা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জার্মান চার্চে শিশুদের যৌন নিপীড়ন ৫৭০০টি ঘটনায় অভিযুক্ত পাদ্রিরা

আপডেট : ১৬ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ জার্মানির মানস্টার অঞ্চলে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান পাদ্রিদের হাতে শিশু যৌন হয়রানির ভয়াবহ খবর মিলল। ওই অঞ্চলে গির্জাসহ খ্রিষ্টানদের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৬০০টি যৌন নিপীড়নের ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে ১০ গুণ বেশি হতে পারে। সোমবার জার্মানির মানস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানস্টার অঞ্চলে ৬১০টি যৌন হয়রানির ঘটনা আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত রয়েছে। তবে এই অঞ্চলে আসলে ১৯৬ খ্রিস্টান যাজকের হাতে পৃথকভাবে অন্তত ৫ হাজার ৭০০টি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। ৫ শতাংশ যাজকের বিরুদ্ধে একাধিক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠলেও অভিযুক্ত যাজকদের মধ্যে ১০ শতাংশেরও কম আইনের মুখোমুখি হয়েছেন। জার্মানির ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি যৌন নিপীড়ন হয়েছে গত শতকের ষাট ও সত্তরের দশকে। ওই সময়ে মানস্টার অঞ্চলে প্রতি সপ্তাহে গড়ে দুটি করে এমন ঘটনা ঘটেছে। হয়রানির শিকার চারজনের মধ্যে তিনজনই বালক। তাদের বেশির ভাগের বয়স ১০ থেকে ১৪ বছর। এই শিশুরা পরে মানসিক নানা সমস্যায় ভুগেছে বলে জানা যায়। যৌন হয়রানির কারণে ২৭ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। মানস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদনে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে ফেলিক্স জেনের দিকে। তিনি ২০০৯ সাল থেকে মানস্টার অঞ্চলের বিশপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বলা হচ্ছে, যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ফেলিক্স জেন বলেন, যৌন হয়রানি সামাল দিতে তিনি যেসব ভুল করেছেন, সেগুলোর দায় নেবেন। এ নিয়ে আগামী শুক্রবার বিস্তারিত কথা বলবেন বলে জানান তিনি। এর আগে ২০১৮ সালে জার্মান বিশপ কনফারেন্সে যৌন হয়রানি-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৪৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জার্মানিতে ৩ হাজার ৬৭৭ জন অপ্রাপ্তবয়স্ককে কোনও না কোনওভাবে যৌন হয়রানির শিকার করা হয়েছে। এতে জড়িত ১৬৭০ জন ধর্মযাজক। এর আগে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রাক্তন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট অভিযুক্ত হন। বলা হয়, তাঁর নজরদারিতে গির্জায় শিশুদের যৌন নিপীড়ন করা হতো।

আরও পড়ুন: ‘মোস্ট হোলি রোজারি’ চার্চকে কেন্দ্র করে ক্যালকাটা সিড ও আইএইচএ ফাউন্ডেশনের মানবিক প্রচেষ্টা