প্রাইমারি TET: প্রশ্ন পত্র ভুল মামলায় ত্রুটি শোধরাবে বোর্ড

- আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার
- / 16
পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ প্রাইমারি টেট মামলায় নয়া মোড়। প্রশ্ন পত্র ভুল মামলায় ত্রুটি শোধরাবে বোর্ড। অভিযোগ সেল খুলে ত্রুটি জানানোর প্রস্তাব প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। ১৫ দিনের মধ্যে বোর্ডের অনলাইন পোর্টালে জানানো যাবে ত্রুটি’ হাইকোর্টে প্রস্তাব দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ত্রুটি শোধরাতে যথাযথ পদক্ষেপ করবে বোর্ড।
বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে হাই কোর্টে জানানো হয় , নম্বর দেওয়া ও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু ভুল থেকে গেছে। প্রশ্ন ভুল মামলায় পুনর্মূল্যায়নে ত্রুটি স্বীকার করে পর্ষদ।
২০ ডিসেম্বর প্রাইমারি টেটে ৭৩৮ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে বোর্ড। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব প্রাইমারি এডুকেশন এই তালিকা প্রকাশ করেছে। ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে প্রশ্নপত্র ভুল সংক্রান্ত যে মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের নিরিখে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই যে ৭৩৮ জনের তালিকা যে প্রকাশ করা হল, তাঁরা এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ পাবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়, তাতে প্রশ্নভুলের একটা বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকে অকৃতকার্য হন। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে যান বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী। সেই মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারেই পর্ষদ এই তালিকা প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত, ২০ ডিসেম্বর ইন্টারভিউয়ের জন্য ৭৩৮ জনের তালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। সেটাকেই চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুল ছিল। তার প্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
২০১৫ সালে টেট পাস করেন তাঁরা। এরপর সরকারি উদ্যোগে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন বা DLEd-এর প্রশিক্ষণ নেন তাঁরা। তাঁদের আরও দাবি, গত বছরের নভেম্বরে প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সেই নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। বাকি সাড়ে ৪ হাজার পদে এখনও নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার জন্য ২০১৮ সালে হাই কোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ভুল প্রশ্নের উত্তর যারা দিয়েছেন তাদের পূর্ণাঙ্গ নম্বর দিতে হবে। কিন্তু পর্ষদ তা করেনি। যা আদালত অবমাননার শামিল বলেই মনে করে আদালত। এ নিয়ে মামলাও হয়।