২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইন মেনে ২০১২ প্রাইমারি টেট সার্টিফিকেট দেবে পর্ষদ

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
  • / 79

পুবের কলম প্রতিবেদক: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে সমস্ত শিক্ষকদের টেট পরীক্ষায় বসতে হবে। এই নিয়ে চিন্তিত শিক্ষকদের একাংশ। এ রাজ্যের শিক্ষকদের টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে কী না, এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এ’নও নেয়নি রাজ্য। তবে প্রাথমিকের  ২০১২ সালে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের টেট সার্টিফিকেট দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই সার্টিফিকেট বিতরণের আগে পর্ষদ আইনি পরামর্শ নেবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, শিক্ষকরা বিপদে পড়ুক এমনটা পর্ষদ চায় না। সার্টিফিকেট আমরা দেব ঠিকই, কিন্তু তার আগে ২০১২ সালের নিয়মকানুন কী ছিল, কেন সেই সময় সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি, এই সমস্ত বিষয় আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে খতিয়ে দেখা হবে।

আরও পড়ুন: ফের প্রাথমিকে আইনী জটিলতা, বঞ্চিত হতে পারেন কয়েক হাজার প্রার্থী

এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, পর্ষদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হবে কবে, কোথায় এবং কীভাবে এই সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের পর্ষদের ওয়েবসাইট বা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ গুলোর সাথে যোগাযোগ রেখে এই বিষয়ে নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: উৎকর্ষ বাংলার শংসাপত্র পেলেন ৪৬ জন মোয়া কারিগর

আইন মেনে ২০১২ প্রাইমারি টেট সার্টিফিকেট দেবে পর্ষদ

আরও পড়ুন: BREAKING NEWS: নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যেই আজ প্রাথমিকের টেটের ফলপ্রকাশ

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক একটি নির্দেশ অনুযায়ী, সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের অবশ্যই টেট উত্তীর্ণ হতে হবে এবং তার প্রমাণপত্র থাকা আবশ্যক। ২০১২ সালে টেট পাশ করে যারা শিক্ষকতা করছেন, তাদের কাছে কোনো সার্টিফিকেট না থাকায় তারা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। শিক্ষকদের দুশ্চিন্তা দূর করতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে পর্ষদ।

পশ্চিমবঙ্গে প্রথমবার প্রাথমিক টেট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১২ সালে। সেই পরীক্ষা নিয়ে একাধিক বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। এই মামলা প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলে। অবশেষে ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার রায় দেয়। বিচারপতিরা পর্যবেক্ষণ করেন যে, মামলা চলাকালীন শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আউট-অফ-সিলেবাস প্রশ্নের জন্য সবাইকে পূর্ণ নম্বর দিলে পুরো প্যানেলের ক্রম পরিবর্তন হয়ে যাবে, যা একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করবে।

সবদিক বিবেচনা করে এবং এটি রাজ্যের প্রথম টেট হওয়ায়, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কিছু ত্রুটি সত্ত্বেও ২০১২ সালের প্রাথমিক টেটকে বৈধতা দেয়। সুতরাং, এই পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে বর্তমানে আর কোনো প্রশ্ন থাকার কথা নয়।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আইন মেনে ২০১২ প্রাইমারি টেট সার্টিফিকেট দেবে পর্ষদ

আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে সমস্ত শিক্ষকদের টেট পরীক্ষায় বসতে হবে। এই নিয়ে চিন্তিত শিক্ষকদের একাংশ। এ রাজ্যের শিক্ষকদের টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে কী না, এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এ’নও নেয়নি রাজ্য। তবে প্রাথমিকের  ২০১২ সালে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের টেট সার্টিফিকেট দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই সার্টিফিকেট বিতরণের আগে পর্ষদ আইনি পরামর্শ নেবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, শিক্ষকরা বিপদে পড়ুক এমনটা পর্ষদ চায় না। সার্টিফিকেট আমরা দেব ঠিকই, কিন্তু তার আগে ২০১২ সালের নিয়মকানুন কী ছিল, কেন সেই সময় সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি, এই সমস্ত বিষয় আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে খতিয়ে দেখা হবে।

আরও পড়ুন: ফের প্রাথমিকে আইনী জটিলতা, বঞ্চিত হতে পারেন কয়েক হাজার প্রার্থী

এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, পর্ষদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হবে কবে, কোথায় এবং কীভাবে এই সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের পর্ষদের ওয়েবসাইট বা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ গুলোর সাথে যোগাযোগ রেখে এই বিষয়ে নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: উৎকর্ষ বাংলার শংসাপত্র পেলেন ৪৬ জন মোয়া কারিগর

আইন মেনে ২০১২ প্রাইমারি টেট সার্টিফিকেট দেবে পর্ষদ

আরও পড়ুন: BREAKING NEWS: নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যেই আজ প্রাথমিকের টেটের ফলপ্রকাশ

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক একটি নির্দেশ অনুযায়ী, সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের অবশ্যই টেট উত্তীর্ণ হতে হবে এবং তার প্রমাণপত্র থাকা আবশ্যক। ২০১২ সালে টেট পাশ করে যারা শিক্ষকতা করছেন, তাদের কাছে কোনো সার্টিফিকেট না থাকায় তারা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। শিক্ষকদের দুশ্চিন্তা দূর করতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে পর্ষদ।

পশ্চিমবঙ্গে প্রথমবার প্রাথমিক টেট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১২ সালে। সেই পরীক্ষা নিয়ে একাধিক বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। এই মামলা প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলে। অবশেষে ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার রায় দেয়। বিচারপতিরা পর্যবেক্ষণ করেন যে, মামলা চলাকালীন শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আউট-অফ-সিলেবাস প্রশ্নের জন্য সবাইকে পূর্ণ নম্বর দিলে পুরো প্যানেলের ক্রম পরিবর্তন হয়ে যাবে, যা একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করবে।

সবদিক বিবেচনা করে এবং এটি রাজ্যের প্রথম টেট হওয়ায়, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কিছু ত্রুটি সত্ত্বেও ২০১২ সালের প্রাথমিক টেটকে বৈধতা দেয়। সুতরাং, এই পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে বর্তমানে আর কোনো প্রশ্ন থাকার কথা নয়।