২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নার্সিংহোম, বেসরকারি হাসপাতাল রোগীর টাকা চুষতে ব্যস্ত: হাইকোর্ট

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 28

ইলাহাবাদ : এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি মামলা খারিজের আর্জি নাকচ করে দিয়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের এক বেঞ্চ বলেছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলি এটিএম মেশিনের মতো রোগীদের মনে করে। তাদের থেকে কীভাবে টাকা চুষে নেওয়া যায় সেই বিদ্যায় পারদর্শী বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমগুলি।

 

আরও পড়ুন: এটিএমে টাকা তুলতে গিয়ে প্রতারিত এক বৃদ্ধ বারুইপুরের চম্পাহাটিতে

বিচারপতি প্রশান্ত কুমার বলেছেন, যে ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি ডাক্তার অশোককুমার রাই এবং একটি নার্সিং হোমের মালিক। ওই নার্সিং হোমে এক গর্ভবতী মহিলা ভর্তি হয়েছিলেন অস্ত্রোপচারের জন্য। কিন্তু নার্সিং হোমে সার্জন থাকলেও কোনও অ্যানাস্থেথিস্ট নেই। বাইরে থেকে ডেকে আনা হয়। সেই অ্যানাস্থেথিস্ট সময়মতো না আসায় অস্ত্রোপচারে দেরি হয় এবং ওই মহিলার মৃত্যু হয়। এই ধরনের হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমের কৌশল হল, আগে রোগী ভর্তি করে তারপর ডাক্তারের খোঁজ করা।

আরও পড়ুন: বিচারপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল টাকা, উৎস কি! মেলেনি সদুত্তর

 

আরও পড়ুন: ফ্লুর প্রাদুর্ভাব: উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে রোগী, সরকারকে সতর্ক করল বিশেষজ্ঞরা

তাদের কোনও পরিকাঠামোই নেই।অথচ রোগী ভর্তি করে নেয়। কারণ ওরা রোগীদের গিনিপিগ বলে মনে করে। তাদের নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে বাঁচে তো বাঁচল, নয়তো মৃত্যু। বিচারপতি বলেন, চিকিৎসাবিদ্যায় যাঁরা সত্যিকারের পরিশ্রম করে মেধা খাটিয়ে পেশাদারিত্ব দেখান, তাঁদের কোর্ট নিশ্চয়ই সুরক্ষা দেবে। কিন্তু যাঁরা ডাক্তারি পাশ করে পরিকাঠামোহীন, অব্যবস্থাপূর্ণ নার্সিংহোম খুলে টাকা কামানোকে লক্ষ্য করে নিয়েছেন তাঁদের পক্ষে আদালত দাঁড়াবে না।

 

ওই নার্সিং হোমের তরফে দাবি করা হয়, যখন অস্ত্রোপচার করার দরকার ছিল তখন রোগীর বাড়ির লোক সম্মতি দেয়নি। সে যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, এটা পুরোপুরি দু:সাহসিকতার কাজ। ডাক্তার রোগী ভর্তি করে নিয়েছেন। রোগীর পরিবার অস্ত্রোপচারে সম্মতিও দিয়েছে। কিন্তু ডাক্তারের অভাবে তিনি অস্ত্রোপচার করতে পারেননি এবং রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

 

কেন অ্যানাস্থেথিস্ট থাকবে না হাসপাতালে? ভাবা যায়! দুপুর ১২ টার সময়ে রোগীর পরিবার অস্ত্রোপচার এর অনুমতি দিয়েছে। সেই রোগীর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বিকেল সাড়ে ৫ টার সময়ে। তখনই রোগীর মৃত্যু হয়।

 

আদালত মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশও খারিজ করে দিয়ে বলেছে, মেডিক্যাল বোর্ড অভিযুক্ত ডাক্তারের পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছে। এর আগে হতভাগ্য পরিবারের পক্ষে ক্রেতা আদালতে যাওয়া হয়। কিন্তু ক্রেতা আদালত ১৬ বছর ধরে সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেনি। এতে হাইকোর্ট বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নার্সিংহোম, বেসরকারি হাসপাতাল রোগীর টাকা চুষতে ব্যস্ত: হাইকোর্ট

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

ইলাহাবাদ : এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি মামলা খারিজের আর্জি নাকচ করে দিয়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের এক বেঞ্চ বলেছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলি এটিএম মেশিনের মতো রোগীদের মনে করে। তাদের থেকে কীভাবে টাকা চুষে নেওয়া যায় সেই বিদ্যায় পারদর্শী বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমগুলি।

 

আরও পড়ুন: এটিএমে টাকা তুলতে গিয়ে প্রতারিত এক বৃদ্ধ বারুইপুরের চম্পাহাটিতে

বিচারপতি প্রশান্ত কুমার বলেছেন, যে ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি ডাক্তার অশোককুমার রাই এবং একটি নার্সিং হোমের মালিক। ওই নার্সিং হোমে এক গর্ভবতী মহিলা ভর্তি হয়েছিলেন অস্ত্রোপচারের জন্য। কিন্তু নার্সিং হোমে সার্জন থাকলেও কোনও অ্যানাস্থেথিস্ট নেই। বাইরে থেকে ডেকে আনা হয়। সেই অ্যানাস্থেথিস্ট সময়মতো না আসায় অস্ত্রোপচারে দেরি হয় এবং ওই মহিলার মৃত্যু হয়। এই ধরনের হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমের কৌশল হল, আগে রোগী ভর্তি করে তারপর ডাক্তারের খোঁজ করা।

আরও পড়ুন: বিচারপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল টাকা, উৎস কি! মেলেনি সদুত্তর

 

আরও পড়ুন: ফ্লুর প্রাদুর্ভাব: উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে রোগী, সরকারকে সতর্ক করল বিশেষজ্ঞরা

তাদের কোনও পরিকাঠামোই নেই।অথচ রোগী ভর্তি করে নেয়। কারণ ওরা রোগীদের গিনিপিগ বলে মনে করে। তাদের নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে বাঁচে তো বাঁচল, নয়তো মৃত্যু। বিচারপতি বলেন, চিকিৎসাবিদ্যায় যাঁরা সত্যিকারের পরিশ্রম করে মেধা খাটিয়ে পেশাদারিত্ব দেখান, তাঁদের কোর্ট নিশ্চয়ই সুরক্ষা দেবে। কিন্তু যাঁরা ডাক্তারি পাশ করে পরিকাঠামোহীন, অব্যবস্থাপূর্ণ নার্সিংহোম খুলে টাকা কামানোকে লক্ষ্য করে নিয়েছেন তাঁদের পক্ষে আদালত দাঁড়াবে না।

 

ওই নার্সিং হোমের তরফে দাবি করা হয়, যখন অস্ত্রোপচার করার দরকার ছিল তখন রোগীর বাড়ির লোক সম্মতি দেয়নি। সে যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, এটা পুরোপুরি দু:সাহসিকতার কাজ। ডাক্তার রোগী ভর্তি করে নিয়েছেন। রোগীর পরিবার অস্ত্রোপচারে সম্মতিও দিয়েছে। কিন্তু ডাক্তারের অভাবে তিনি অস্ত্রোপচার করতে পারেননি এবং রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

 

কেন অ্যানাস্থেথিস্ট থাকবে না হাসপাতালে? ভাবা যায়! দুপুর ১২ টার সময়ে রোগীর পরিবার অস্ত্রোপচার এর অনুমতি দিয়েছে। সেই রোগীর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বিকেল সাড়ে ৫ টার সময়ে। তখনই রোগীর মৃত্যু হয়।

 

আদালত মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশও খারিজ করে দিয়ে বলেছে, মেডিক্যাল বোর্ড অভিযুক্ত ডাক্তারের পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছে। এর আগে হতভাগ্য পরিবারের পক্ষে ক্রেতা আদালতে যাওয়া হয়। কিন্তু ক্রেতা আদালত ১৬ বছর ধরে সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেনি। এতে হাইকোর্ট বিস্ময় প্রকাশ করেছে।