০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবিধান পরিবর্তনের গণভোট ইস্যুতে বিক্ষোভ তিউনিসিয়ায়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ জুন ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 50

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ তিউনিসিয়ায় সংবিধান পরিবর্তনের জন্য আসন্ন গণভোটকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। একনায়ক প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ দ্বারা আয়োজিত হতে চলা গণভোটের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেছে দেশটির ৫টি রাজনৈতিক দল। এই বিক্ষোভে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

 

আরও পড়ুন: বিদ্যুতের একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ কর্মসূচি দক্ষিন বারাশত ও রায়দীঘিতে

বিরোধীরা বলছেন, আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের বিরোধিতাকারীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে সাইদ সরকার। ২৫ জুলাই নতুন সংবিধানের ওপর গণভোটের দিন ঘোষণা করেছেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, গণভোটের তারিখ প্রেসিডেন্ট একতরফাভাবে নির্ধারণ করেছেন।

আরও পড়ুন: মোদির শাসনে সবচেয়ে বেশি সংবিধানের ওপরই আঘাত: খাড়গে

 

আরও পড়ুন: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফেরাতে সওয়াল মীরওয়াইজের

গত শনিবার দেশটির সোসে শহরে গণভোটের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভের সময় সরকার পক্ষের লোকজন ৫টি দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই তিউনিসীয় সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। বিক্ষোভে নামা রাজনৈতিক দলগুলো হল- রিপাবলিকান পার্টি, ডেমোক্র্যাটিক কারেন্ট, ডেমোক্র্যাটিক ফোরাম ফর লেবার অ্যান্ড লিবার্টিজ, ডেমোক্র্যাটিক মডার্নিস্ট পোল এবং ওয়ার্কার্স পার্টি।

 

দলগুলির দাবি, এ হামলা রাজনেতিক বিরোধীদের দমন করার প্রচেষ্টা। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হলে সাইদের হাতে চলে যাবে সব ক্ষমতা। এটি তিউনিসিয়াকে কর্তৃত্ববাদের দিকে ঠেলে দেবে। এর ফলে প্রভাবিত হবে উত্তর আফ্রিকান অঞ্চলও। গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন হলে রাষ্ট্রধর্ম থেকে ইসলামকে বাদ দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ।

 

এ নিয়ে দেশে তীব্র বিতর্ক চলছে। ইসলামপন্থী দলগুলি ও তার সমর্থকরা প্রেসিডেন্ট আয়োজিত গণভোট বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে। কারণ সংবিধান পরিবর্তিত হলে সর্বেসর্বা হয়ে উঠবেন প্রেসিডেন্ট সাইদ। ২০১১ সালে আরব বসন্ত বিপ্লবের পর দেশটির গৃহীত সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদে ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, ‘তিউনিসিয়া একটি মুক্ত, স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র যার ধর্ম ইসলাম এবং ভাষা আরবি।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সংবিধান পরিবর্তনের গণভোট ইস্যুতে বিক্ষোভ তিউনিসিয়ায়

আপডেট : ২৮ জুন ২০২২, মঙ্গলবার

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ তিউনিসিয়ায় সংবিধান পরিবর্তনের জন্য আসন্ন গণভোটকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। একনায়ক প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ দ্বারা আয়োজিত হতে চলা গণভোটের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেছে দেশটির ৫টি রাজনৈতিক দল। এই বিক্ষোভে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

 

আরও পড়ুন: বিদ্যুতের একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ কর্মসূচি দক্ষিন বারাশত ও রায়দীঘিতে

বিরোধীরা বলছেন, আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের বিরোধিতাকারীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে সাইদ সরকার। ২৫ জুলাই নতুন সংবিধানের ওপর গণভোটের দিন ঘোষণা করেছেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, গণভোটের তারিখ প্রেসিডেন্ট একতরফাভাবে নির্ধারণ করেছেন।

আরও পড়ুন: মোদির শাসনে সবচেয়ে বেশি সংবিধানের ওপরই আঘাত: খাড়গে

 

আরও পড়ুন: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফেরাতে সওয়াল মীরওয়াইজের

গত শনিবার দেশটির সোসে শহরে গণভোটের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভের সময় সরকার পক্ষের লোকজন ৫টি দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই তিউনিসীয় সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। বিক্ষোভে নামা রাজনৈতিক দলগুলো হল- রিপাবলিকান পার্টি, ডেমোক্র্যাটিক কারেন্ট, ডেমোক্র্যাটিক ফোরাম ফর লেবার অ্যান্ড লিবার্টিজ, ডেমোক্র্যাটিক মডার্নিস্ট পোল এবং ওয়ার্কার্স পার্টি।

 

দলগুলির দাবি, এ হামলা রাজনেতিক বিরোধীদের দমন করার প্রচেষ্টা। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হলে সাইদের হাতে চলে যাবে সব ক্ষমতা। এটি তিউনিসিয়াকে কর্তৃত্ববাদের দিকে ঠেলে দেবে। এর ফলে প্রভাবিত হবে উত্তর আফ্রিকান অঞ্চলও। গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন হলে রাষ্ট্রধর্ম থেকে ইসলামকে বাদ দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ।

 

এ নিয়ে দেশে তীব্র বিতর্ক চলছে। ইসলামপন্থী দলগুলি ও তার সমর্থকরা প্রেসিডেন্ট আয়োজিত গণভোট বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে। কারণ সংবিধান পরিবর্তিত হলে সর্বেসর্বা হয়ে উঠবেন প্রেসিডেন্ট সাইদ। ২০১১ সালে আরব বসন্ত বিপ্লবের পর দেশটির গৃহীত সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদে ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, ‘তিউনিসিয়া একটি মুক্ত, স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র যার ধর্ম ইসলাম এবং ভাষা আরবি।’