০৪ জুন ২০২৫, বুধবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমগ্র দোনবাসের দখল চান পুতিন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 24

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ একসময় ‘রাশিয়ার হৃদপিণ্ড ছিল দোনবাস’। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর নব্বইয়ের দশকে এলাকাটি যখন ইউক্রেনের হয়– তখন সেখানকার বিভিন্ন শহরে ‘ইউক্রেনের হৃদপিণ্ড দোনবাস’ লেখা দেখা যায়। আজও দোনবাসের বহু জায়গায় পোস্টার মারা রয়েছে। তাতে লেখা, ‘দোনবাস ইউক্রেনের’। তবে এখন এই অঞ্চল আর কতদিন ইউক্রেনের অধীনে থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক- এ দুই প্রদেশের সমন্বয়ে ইউক্রেনের পূর্বের এই অঞ্চলটি নিয়েই কিয়েভ ও মস্কোর যুদ্ধ চলছে। গত ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পরপরই দোনবাস অঞ্চলটি তথাকথিত ‘নব্য নাৎসিদের’ হাত থেকে মুক্ত করার ঘোষণা দেয় মস্কো। এমনিতেই ২০১৪ সাল থেকে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা দোনবাসের প্রায় অর্ধেকটা নিয়ন্ত্রণ করছে। এখন পুরো অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে রাশিয়া। লুহানস্ক প্রদেশের সর্বশেষ যে শহরটি ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল, সেই লিসিচানস্কেরও দখল নিয়েছে রাশিয়া।

আরও পড়ুন: পহেলগাঁও হামলার নিন্দা জানিয়ে মোদিকে ফোন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের

 

আরও পড়ুন: Pahalgam terror attack: ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

পর্যবেক্ষকদের মতে, রুশ বাহিনীর এখন মূল লক্ষ্য দোনবাসের অন্য প্রদেশ দোনেৎস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের তাড়ানো। এর লক্ষণ এরই মধ্যে স্পষ্ট। কারণ, দোনেৎস্কের প্রধান দুই শহর- স্লোভিয়ানস্ক ও বাখমুটে তীব্র আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া। দোনেৎস্কের বহু এলাকা এরই মধ্যে রুশ দখলে। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনাকে আক্রমণের তীব্রতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

 

পুতিন তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে বলেন, এখন রাশিয়ান বাহিনী যেখানে অবস্থান করছে সেখান থেকে তাদের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। পূর্ব দল এবং পশ্চিম দলসহ সামরিক ইউনিটগুলো পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। এদিকে রুশ সেনার হামলায় বাধ্য হয়েই অনেক এলাকা থেকে হটে যেতে হয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘শত্রু বাহিনী সুমি সীমান্ত অঞ্চল, খারকিভ সিটি এবং দোনবাস অঞ্চলে হামলা অব্যাহত রেখেছে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সমগ্র দোনবাসের দখল চান পুতিন

আপডেট : ৭ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ একসময় ‘রাশিয়ার হৃদপিণ্ড ছিল দোনবাস’। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর নব্বইয়ের দশকে এলাকাটি যখন ইউক্রেনের হয়– তখন সেখানকার বিভিন্ন শহরে ‘ইউক্রেনের হৃদপিণ্ড দোনবাস’ লেখা দেখা যায়। আজও দোনবাসের বহু জায়গায় পোস্টার মারা রয়েছে। তাতে লেখা, ‘দোনবাস ইউক্রেনের’। তবে এখন এই অঞ্চল আর কতদিন ইউক্রেনের অধীনে থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক- এ দুই প্রদেশের সমন্বয়ে ইউক্রেনের পূর্বের এই অঞ্চলটি নিয়েই কিয়েভ ও মস্কোর যুদ্ধ চলছে। গত ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পরপরই দোনবাস অঞ্চলটি তথাকথিত ‘নব্য নাৎসিদের’ হাত থেকে মুক্ত করার ঘোষণা দেয় মস্কো। এমনিতেই ২০১৪ সাল থেকে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা দোনবাসের প্রায় অর্ধেকটা নিয়ন্ত্রণ করছে। এখন পুরো অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে রাশিয়া। লুহানস্ক প্রদেশের সর্বশেষ যে শহরটি ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল, সেই লিসিচানস্কেরও দখল নিয়েছে রাশিয়া।

আরও পড়ুন: পহেলগাঁও হামলার নিন্দা জানিয়ে মোদিকে ফোন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের

 

আরও পড়ুন: Pahalgam terror attack: ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

পর্যবেক্ষকদের মতে, রুশ বাহিনীর এখন মূল লক্ষ্য দোনবাসের অন্য প্রদেশ দোনেৎস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের তাড়ানো। এর লক্ষণ এরই মধ্যে স্পষ্ট। কারণ, দোনেৎস্কের প্রধান দুই শহর- স্লোভিয়ানস্ক ও বাখমুটে তীব্র আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া। দোনেৎস্কের বহু এলাকা এরই মধ্যে রুশ দখলে। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনাকে আক্রমণের তীব্রতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

 

পুতিন তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে বলেন, এখন রাশিয়ান বাহিনী যেখানে অবস্থান করছে সেখান থেকে তাদের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। পূর্ব দল এবং পশ্চিম দলসহ সামরিক ইউনিটগুলো পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। এদিকে রুশ সেনার হামলায় বাধ্য হয়েই অনেক এলাকা থেকে হটে যেতে হয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘শত্রু বাহিনী সুমি সীমান্ত অঞ্চল, খারকিভ সিটি এবং দোনবাস অঞ্চলে হামলা অব্যাহত রেখেছে।’