০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিসাস’ই হত্যাকারীদের সমাধান: শায়খ আহমাদুল্লাহ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, রবিবার
  • / 183

কিসাস’ই অপরাধ দমনের একমাত্র উপায়

 

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কিসাস’ই অপরাধ দমনের একমাত্র উপায়। একের পর এক খুনের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ। শান্তির লেশ টুকু নেই।  সে দেশে নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে ৮ থেকে ৮০ সবাই। বিশেষ করে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর মেরে হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সারাদেশ। এই আবহে হত্যাকারীদের কঠোর বিচার দাবি করেছেন প্রখ্যাত ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি কিসাস (প্রাণের বদলে প্রাণ) আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান।’

ইসলামে কিসাসের বিধান

পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারায় (আয়াত ১৭৮-১৭৯) বলা হয়েছে- ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য কিসাসের বিধান দেওয়া হলো হত্যার বদলে হত্যা… আর কিসাসের মধ্যে তোমাদের জীবন নিহীত রয়েছে।’

কিসাস কীভাবে কার্যকর করতে হয়

শায়খ আহমাদুল্লাহ তার পোস্টে কিসাসের ব্যাখ্যায় বলেন- ‘কিসাস অর্থ সমপরিমাণ শাস্তি। যেভাবে যতটুকু জুলুম করা হয়েছে, ঠিক সেভাবে ততটুকু প্রতিকার করা হলো কিসাস।’ তিনি বলেন, ‘কুরআন বর্ণনিএই বিধান অপরাধ দমনের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।’

শায়খ এদিন আরও বলেন, বর্তমান আইন অনুযায়ী বছরের পর বছর ধরে একটা মামলা চললেও কোনও সুরাহা হয় না। শুধু তারিখের পর তারিখ এসে যায়। এক সময় আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে অপরাধীরা বেড়িয়ে যায়। এতে অপরাধ কমে তো না উল্টে অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে সবার সামনে ঘুরে বেড়ায়। ‘এ ধরনের চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের বিচার সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে শেষ করতে পারলে অপরাধের প্রবণতা কমে যাবে।’

শায়খ আহমাদুল্লাহর এই বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই তার সঙ্গে  একমত পোষণ করে বলেছেন, কিসাসের মতো কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা গেলে হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ কমে আসবে। অন্যথায় হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে না।

উল্লেখ্যগত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনাটি জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।  ইতিমধ্যেই পুলিশ পাঁচ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কিসাস’ই হত্যাকারীদের সমাধান: শায়খ আহমাদুল্লাহ

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, রবিবার

কিসাস’ই অপরাধ দমনের একমাত্র উপায়

 

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কিসাস’ই অপরাধ দমনের একমাত্র উপায়। একের পর এক খুনের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ। শান্তির লেশ টুকু নেই।  সে দেশে নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে ৮ থেকে ৮০ সবাই। বিশেষ করে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর মেরে হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সারাদেশ। এই আবহে হত্যাকারীদের কঠোর বিচার দাবি করেছেন প্রখ্যাত ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি কিসাস (প্রাণের বদলে প্রাণ) আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান।’

ইসলামে কিসাসের বিধান

পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারায় (আয়াত ১৭৮-১৭৯) বলা হয়েছে- ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য কিসাসের বিধান দেওয়া হলো হত্যার বদলে হত্যা… আর কিসাসের মধ্যে তোমাদের জীবন নিহীত রয়েছে।’

কিসাস কীভাবে কার্যকর করতে হয়

শায়খ আহমাদুল্লাহ তার পোস্টে কিসাসের ব্যাখ্যায় বলেন- ‘কিসাস অর্থ সমপরিমাণ শাস্তি। যেভাবে যতটুকু জুলুম করা হয়েছে, ঠিক সেভাবে ততটুকু প্রতিকার করা হলো কিসাস।’ তিনি বলেন, ‘কুরআন বর্ণনিএই বিধান অপরাধ দমনের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।’

শায়খ এদিন আরও বলেন, বর্তমান আইন অনুযায়ী বছরের পর বছর ধরে একটা মামলা চললেও কোনও সুরাহা হয় না। শুধু তারিখের পর তারিখ এসে যায়। এক সময় আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে অপরাধীরা বেড়িয়ে যায়। এতে অপরাধ কমে তো না উল্টে অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে সবার সামনে ঘুরে বেড়ায়। ‘এ ধরনের চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের বিচার সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে শেষ করতে পারলে অপরাধের প্রবণতা কমে যাবে।’

শায়খ আহমাদুল্লাহর এই বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই তার সঙ্গে  একমত পোষণ করে বলেছেন, কিসাসের মতো কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা গেলে হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ কমে আসবে। অন্যথায় হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে না।

উল্লেখ্যগত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনাটি জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।  ইতিমধ্যেই পুলিশ পাঁচ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে।