০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির প্রতিষ্ঠাদিবস উদযাপন

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৬ জানুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার
  • / 163

মোল্লা জসিমউদ্দিন: ৭৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপিত হল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গনে অবস্থিত রবীন্দ্রভারতী সোসাইটিতে। ১৫ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় সাড়ম্বরের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠিত হয় রথীন্দ্রমঞ্চে। কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই সোসাইটির প্রতিষ্ঠা ও সূচনা করেন ১৯৪৭ সালের ১৫ই জানুয়ারি তারিখে। সোসাইটির প্রতিষ্ঠাকল্পে তাঁর স্মরণীয় অবদান মাথায় রেখে রথীন্দ্রমঞ্চের প্রবেশদ্বারে স্থাপিত রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষমূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন সোসাইটির সভাপতি বিচারপতি শ্রী চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়। সম্মানীয় অতিথিরূপে আমন্ত্রিত ও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রী গৌতম মিত্র ও বাংলার খ্যাতনামা নাট্যব্যক্তিত্ব শ্রী মেঘনাদ ভট্টাচার্য্য। সোসাইটির তরফে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি বিচারপতি শ্রী চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়, কার্য্যকরী সভাপতি ড. সুজিত কুমার বসু, সহ সভাপতি বিচারপতি শ্রী সৌমিত্র পাল, সাধারণ সম্পাদক শ্রী সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় ও কর্মপরিচালন সমিতির সদস্য শ্রী ধীমান দাশ। উদ্বোধনী সঙ্গীত ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।

 

আরও পড়ুন: খুসবুপ্রেমী নজরুলের বিশেষ পছন্দ ছিল আতর, দু’শো বছরের প্রাচীন আতরের দোকানে আসতেন নজরুল

স্বাগত ভাষণ দেন সাধারণ সম্পাদক শ্রী সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়। মঞ্চে উপবিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ববর্গ তাঁদের ভাষণে রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির বছরভর নানা কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন করেন, সমাজে রবীন্দ্রভাবনা ও রবীন্দ্রচেতনার বিকাশ এবং বিস্তারে সোসাইটির ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই অনুষ্ঠানে বর্ষীয়ান রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রী গৌতম মিত্র ও বাংলা নাট্যজগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব শ্রী মেঘনাদ ভট্টাচার্য্য মহাশয়দ্বয়কে তাঁদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সম্বর্ধনা ও সম্মাননা দেওয়া হয়। শ্রী গৌতম মিত্র কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন। শেষলগ্নে পরিবেশিত হয় একটি নৃত্যালেখ্য ‘বাশী’, নিবেদনে আনন্দ চন্দ্রিকা সংস্থা, পরিচালনায় নৃত্যগুরু শ্রীমতী অমিতা দত্ত। মনোমুগ্ধকর এই উপস্থাপনা প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত সকল শ্রোতৃদর্শকবৃন্দকে আবিষ্ট করে রাখে। মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে সকল দর্শক অভিনন্দিত করেন নৃত্যারতা কলাকুশলীদের। অনুষ্ঠান শেষে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় একযোগে সমবেতভাবে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রঞ্জনা কর্মকার।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথকে অমর্যাদা নয়, কাছারি বাড়িতে হামলা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের হৃদয়ে ইসলামদর্শন

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির প্রতিষ্ঠাদিবস উদযাপন

আপডেট : ১৬ জানুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: ৭৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপিত হল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গনে অবস্থিত রবীন্দ্রভারতী সোসাইটিতে। ১৫ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় সাড়ম্বরের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠিত হয় রথীন্দ্রমঞ্চে। কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই সোসাইটির প্রতিষ্ঠা ও সূচনা করেন ১৯৪৭ সালের ১৫ই জানুয়ারি তারিখে। সোসাইটির প্রতিষ্ঠাকল্পে তাঁর স্মরণীয় অবদান মাথায় রেখে রথীন্দ্রমঞ্চের প্রবেশদ্বারে স্থাপিত রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষমূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন সোসাইটির সভাপতি বিচারপতি শ্রী চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়। সম্মানীয় অতিথিরূপে আমন্ত্রিত ও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রী গৌতম মিত্র ও বাংলার খ্যাতনামা নাট্যব্যক্তিত্ব শ্রী মেঘনাদ ভট্টাচার্য্য। সোসাইটির তরফে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি বিচারপতি শ্রী চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়, কার্য্যকরী সভাপতি ড. সুজিত কুমার বসু, সহ সভাপতি বিচারপতি শ্রী সৌমিত্র পাল, সাধারণ সম্পাদক শ্রী সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় ও কর্মপরিচালন সমিতির সদস্য শ্রী ধীমান দাশ। উদ্বোধনী সঙ্গীত ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।

 

আরও পড়ুন: খুসবুপ্রেমী নজরুলের বিশেষ পছন্দ ছিল আতর, দু’শো বছরের প্রাচীন আতরের দোকানে আসতেন নজরুল

স্বাগত ভাষণ দেন সাধারণ সম্পাদক শ্রী সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়। মঞ্চে উপবিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ববর্গ তাঁদের ভাষণে রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির বছরভর নানা কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন করেন, সমাজে রবীন্দ্রভাবনা ও রবীন্দ্রচেতনার বিকাশ এবং বিস্তারে সোসাইটির ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই অনুষ্ঠানে বর্ষীয়ান রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রী গৌতম মিত্র ও বাংলা নাট্যজগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব শ্রী মেঘনাদ ভট্টাচার্য্য মহাশয়দ্বয়কে তাঁদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সম্বর্ধনা ও সম্মাননা দেওয়া হয়। শ্রী গৌতম মিত্র কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন। শেষলগ্নে পরিবেশিত হয় একটি নৃত্যালেখ্য ‘বাশী’, নিবেদনে আনন্দ চন্দ্রিকা সংস্থা, পরিচালনায় নৃত্যগুরু শ্রীমতী অমিতা দত্ত। মনোমুগ্ধকর এই উপস্থাপনা প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত সকল শ্রোতৃদর্শকবৃন্দকে আবিষ্ট করে রাখে। মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে সকল দর্শক অভিনন্দিত করেন নৃত্যারতা কলাকুশলীদের। অনুষ্ঠান শেষে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় একযোগে সমবেতভাবে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রঞ্জনা কর্মকার।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথকে অমর্যাদা নয়, কাছারি বাড়িতে হামলা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের হৃদয়ে ইসলামদর্শন