১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধান চাষের বিকল্প হিসেবে রাগী চাষের পরামর্শ বীরভূমের লালমাটিতে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার
  • / 32

কৌশিক সালুই, বীরভূম: ধান চাষের বিকল্প হিসেবে রাগী দানা শস্য চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। রাগীও ধানের মতো অর্থকরী ফসল। সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত জেলায় এই রাগী চাষের উপযুক্ত পরিবেশ আছে সেখানে চাষ করার জন্য চাষীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। পরীক্ষামূলক হিসাবে বীরভূমের কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে এই চাষ শুরু হয়েছে বিগত বছর থেকে।

 

আরও পড়ুন: বন দফতরের আপত্তিতে বসন্ত উৎসব নিষিদ্ধ বোলপুরের সোনাঝুরিতে

শ্রীনিকেতন রথীন্দ্র কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রর  

আরও পড়ুন: সুড়ঙ্গে এখনও আটকে ৮জন, উদ্ধারের কাজে বিকল্প পথের খোঁজ

বিষয় বস্তু বিশেষজ্ঞ (কৃষি – আবহাওয়া), সায়ক মাহাতো বলেন, ‘   বীরভূম,বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মতো লাল কাকুড়ে মাটির জমিতে উত্তর-পশ্চিম ভারত ও দক্ষিণ ভারতের অন্যতম অর্থকরী দানাশস্য রাগী চাষ করার পরিবেশ রয়েছে। যেখানে ধান চাষের বিকল্প হিসেবে রাগী দানা শস্য চাষ করা যেতে পারে। ভাতের বিকল্প হিসেবে এই রাগী দানা শস্য খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত ভাত খেলে শরীরে মেদের পরিমাণ বাড়ে যেখানে তার বিকল্প হিসেবে রাগী খেলে সেই সমস্যা হয় না। তা থেকেই কৃষি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সারা দেশ জুড়ে যাতে রাগী চাষ হয় তার জন্য বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সমস্ত কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মাধ্যমে রাগী চাষ করা হচ্ছে এবং সেই চাষ কিভাবে করতে হয় তার হাতে কলমে প্রশিক্ষণ স্থানীয় কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের গাজা প্ল্যান ঠেকানোর উদ্যোগ সৌদি আরবের

সেই মতো বীরভূমের রথীন্দ্র কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে বিগত বছরে এই রাগী চাষ করা হয়েছিল এবং এ বছরও তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া চলছে। ভারতবর্ষের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু প্রভৃতি রাজ্যে এই রাগী নানা শস্য অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে চাষ করে থাকেন চাষিরা। সেই সমস্ত রাজ্যগুলি থেকেই অন্যান্য রাজ্যে রাগী দানাশস্যের চাহিদা মেটানো হয়। ভিন রাজ্যের থেকে নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যে সারাদেশেই যাতে এই রাগী দানাশস্য চাষ হয় তার জন্য নজরদারি চালানো হচ্ছে। জুন জুলাই মাস অর্থাৎ বর্ষাকালে রাগী চাষের উপযুক্ত সময়। সাধারণত ১০০ থেকে ১১০ দিন এই দানাশস্য ফলতে সময় লাগে। বিঘা প্রতি সাড়ে সাতশ থেকে এক কিলোগ্রাম বীজ হিসেবে ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়।

কিন্তু বীরভূম জেলার যে সমস্ত চাষিরা বোরো ধান চাষ করেন তারাও এই সময় বিকল্প হিসাবে রাগী দানা শস্য চাষ করতে পারেন। এই দানাশস্য শুধু মানুষের খাবার নয়, গবাদি পশুর খাবার হিসেবেও গাছের অবশিষ্ট অংশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে”।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ধান চাষের বিকল্প হিসেবে রাগী চাষের পরামর্শ বীরভূমের লালমাটিতে

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার

কৌশিক সালুই, বীরভূম: ধান চাষের বিকল্প হিসেবে রাগী দানা শস্য চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। রাগীও ধানের মতো অর্থকরী ফসল। সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত জেলায় এই রাগী চাষের উপযুক্ত পরিবেশ আছে সেখানে চাষ করার জন্য চাষীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। পরীক্ষামূলক হিসাবে বীরভূমের কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে এই চাষ শুরু হয়েছে বিগত বছর থেকে।

 

আরও পড়ুন: বন দফতরের আপত্তিতে বসন্ত উৎসব নিষিদ্ধ বোলপুরের সোনাঝুরিতে

শ্রীনিকেতন রথীন্দ্র কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রর  

আরও পড়ুন: সুড়ঙ্গে এখনও আটকে ৮জন, উদ্ধারের কাজে বিকল্প পথের খোঁজ

বিষয় বস্তু বিশেষজ্ঞ (কৃষি – আবহাওয়া), সায়ক মাহাতো বলেন, ‘   বীরভূম,বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মতো লাল কাকুড়ে মাটির জমিতে উত্তর-পশ্চিম ভারত ও দক্ষিণ ভারতের অন্যতম অর্থকরী দানাশস্য রাগী চাষ করার পরিবেশ রয়েছে। যেখানে ধান চাষের বিকল্প হিসেবে রাগী দানা শস্য চাষ করা যেতে পারে। ভাতের বিকল্প হিসেবে এই রাগী দানা শস্য খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত ভাত খেলে শরীরে মেদের পরিমাণ বাড়ে যেখানে তার বিকল্প হিসেবে রাগী খেলে সেই সমস্যা হয় না। তা থেকেই কৃষি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সারা দেশ জুড়ে যাতে রাগী চাষ হয় তার জন্য বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সমস্ত কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মাধ্যমে রাগী চাষ করা হচ্ছে এবং সেই চাষ কিভাবে করতে হয় তার হাতে কলমে প্রশিক্ষণ স্থানীয় কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের গাজা প্ল্যান ঠেকানোর উদ্যোগ সৌদি আরবের

সেই মতো বীরভূমের রথীন্দ্র কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে বিগত বছরে এই রাগী চাষ করা হয়েছিল এবং এ বছরও তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া চলছে। ভারতবর্ষের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু প্রভৃতি রাজ্যে এই রাগী নানা শস্য অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে চাষ করে থাকেন চাষিরা। সেই সমস্ত রাজ্যগুলি থেকেই অন্যান্য রাজ্যে রাগী দানাশস্যের চাহিদা মেটানো হয়। ভিন রাজ্যের থেকে নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যে সারাদেশেই যাতে এই রাগী দানাশস্য চাষ হয় তার জন্য নজরদারি চালানো হচ্ছে। জুন জুলাই মাস অর্থাৎ বর্ষাকালে রাগী চাষের উপযুক্ত সময়। সাধারণত ১০০ থেকে ১১০ দিন এই দানাশস্য ফলতে সময় লাগে। বিঘা প্রতি সাড়ে সাতশ থেকে এক কিলোগ্রাম বীজ হিসেবে ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়।

কিন্তু বীরভূম জেলার যে সমস্ত চাষিরা বোরো ধান চাষ করেন তারাও এই সময় বিকল্প হিসাবে রাগী দানা শস্য চাষ করতে পারেন। এই দানাশস্য শুধু মানুষের খাবার নয়, গবাদি পশুর খাবার হিসেবেও গাছের অবশিষ্ট অংশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে”।