রাহুলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের
ভোট-চুরি হয়েছ, নিজের দাবিতে অনড় রাহুল

- আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
- / 22
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: বিজেপি-কমিশনের যোগসাজশে ‘ভোট-চুরি’র অভিযোগে অনড় রাহুল গান্ধি। শুক্রবার ব্যাঙ্গালুরুর ‘ভোট অধিকার র্যাালি’ তে নিজের অবস্থান আরও জোরালো করলেন কংগ্রেস নেতা। এদিনও নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে তিনি বলেন,২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে লক্ষাধিক ভোট চুরি হয়েছে। রীতিমতো ৭০ থেকে ৮০ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। আর তা না হলে ‘ প্রধানমন্ত্রী-জি’ এবার তাঁর পদ খোয়াতেন। আর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমি ইতিমধ্যেই প্রমাণ- পত্র সবার সামনে তুলে ধরেছি। আর এই ভোট চুরি ভারতীয় সংবিধানের অসম্মান। এই সংবিধানই আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিককে ভোটাধিকার দিয়েছে। তবে বর্তমানে সংবিধান নিয়ে কাটাছেঁড়া করা হচ্ছে। তবে সময় বদলাবেই। তখন অপরাধীরা
সমস্ত অপরাধের শাস্তি পাবে।’ আর এদিকে রাহুলের দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশের রাজনীতিতে। আর শুক্রবার এই নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া দিল নির্বাচন কমিশন।
সূত্রের খবর, কমিশনের পক্ষ রাহুলকে থেকে ২টি অপশন দেওয়া হয়েছে । যদি কংগ্রেস সাংসদ নিজের প্রকাশিত তথ্য এবং ব্যাখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত প্রমাণ রাখেন তবে তিনি যেন একটি ডিক্লারেশনে সই করেন। আর যদি তিনি এমন না করেন, তবে বোঝা যাবে তাঁর সমস্ত দাবি ভিত্তিহীন এবং ওঁর কাছে এই তথ্যের কোনও ব্যাখ্যাও নেই। সেক্ষেত্রে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অর্থাৎ হয় নিজের দাবির পক্ষে ডিক্লারেশনে সই করুন নয় দেশের কাছে ক্ষমা চান।
যদিও নির্বাচন কমিশনের জবাবকে হওয়ায় উড়িয়ে দেন রাহুল গান্ধি। পাল্টা জানান, ইসি আমার কাছে এফিডেফিট চেয়েছে। আমি ইতিমধ্যেই সংসদের অন্দরে সংবিধানের উপর হাত রেখে শপথ নিয়েছি। এখন দেশের জনগণ যখন নির্বাচন কমিশনকে এই ভোট চুরির তথ্য নিয়ে জবাব চাইছে তখন ওরা ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন রাজস্থান এবং বিহারে নিজেদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে রেখেছে। কারণ ওরা বুঝে গেছে এবার ওদের পোল খুলে যাবে।’
‘আমাদের দাবি, কমিশন আগে ইলেকট্রনিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করুক। আমি দেশে ভোট চুরি প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই একাধিক তথ্য প্রমাণ করে দিয়েছি। এবার
কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটার তালিকা দিলে আমরা প্রমাণ করে দেব মোদিজি ‘ভোট চুরি করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।’
আর এই প্রেক্ষিতে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও নির্বাচন কমিশনের ভাষায় রাহুলকে আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, যে ভুয়ো ভোটারের দাবি বিরোধী দলনেতা করছেন, সেই তালিকা হলফনামা আকারে কমিশনে জমা দিতে হবে তাঁকে। আর সেটা করতে ব্যর্থ হলে বুঝতে হবে কংগ্রেস সংসদ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছেন। আর মানুষের মনে সন্দেহের বীজ বপন করা হচ্ছে। এই ধরনের আচরণ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক।