১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জীবনের শুদ্ধতায় মাহে রমযান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 18

মুহাম্মদ খালিদ হোসেন: পবিত্র মাহে রমযানের এক মাস সিয়াম (রোযা) সাধনা মানব জীবনে শুদ্ধতা লাভের সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়। মহত্তর চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন ও সত্যবোধকে জাগ্রত করার জন্য সংযম ও কৃচ্ছ্র সাধনার ভূমিকা ব্যাপক। ‘সাওম’ মানে ‘বিরত থাকা’। কুকর্ম, কুচিন্তা ও ইন্দ্রিয় পরিচর্যা পরিহার করে সংযমী হওয়াই রোযার শিক্ষা। ‘রমযান’-এর শাব্দিক অর্থ ‘দগ্ধ করা’। সিয়াম সাধনার উত্তাপে; ধৈর্যের অগ্নিদহনে মুসলমান মাত্রই  এই মাসে কুপ্রবৃত্তিকে দগ্ধ করে শুদ্ধ পরিশোধিত মানুষে পরিণত হয়। তাই রমযানুল মুবারক দৈহিক, আত্মিক, নৈতিক ও সামাজিক পরিশুদ্ধির প্রশিক্ষণের মাস। দিনে রোযা ও রাতে ইবাদাতের মাধ্যমে মানুষ দেহ-মনকে পরিশুদ্ধ করতে পারে এই রমযান মাসে। পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধতার জন্য সিয়াম পালিত হয়ে থাকে। সিয়াম পালিত হয় চিত্তশুদ্ধি, পরিচ্ছন্নতা, সত্যবোধ জাগ্রত রাখা, পার্থিব আকাঙ্খাকে নিবৃত্ত রাখা, বিনয় ও নম্রতা প্রতিষ্ঠা, সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্যের চেতনা উজ্জীবন সর্বোপরি মহান প্রভু আল্লাহ্র কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য।

সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষ আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক পবিত্রতা অর্জন করে থাকে। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম আল-জাওজি বলেন: ‘মানুষের আত্মিক ও দৈহিক শক্তি সংরক্ষণে রোযা অত্যন্ত কার্যকর। একদিকে তা মানুষের পাশবিক চাহিদার প্রাবল্য থেকে মুক্ত করে তার দৈহিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চিয়তা বিধান করে, অপরদিকে তা নৈতিক উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে আত্মিক সুস্থতা সাধন করে।’ মাসব্যাপী রোযার মাধ্যমে মানুষের জৈবিক চাহিদা ও পাশব প্রবৃত্তি দুর্বল হয়ে যায়, মনুষ্যত্ব ও রূহানিয়াত সজীব ও জাগ্রত হয়। রিপুর তাড়নামুক্ত হয়ে মানুষ আল্লাহ্-প্রদত্ত বিবেক ও প্রজ্ঞার সদ্ব্যবহার করে সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী হতে পারে।

আরও পড়ুন: ৩ বছরের সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করল বাবা

আরও পড়ুন: শুধু রমযান নয়, কখনোই অনুমতি দেওয়া হবে না: ফ্যাশন শো নিয়ে আবদুল্লাহ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জীবনের শুদ্ধতায় মাহে রমযান

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার

মুহাম্মদ খালিদ হোসেন: পবিত্র মাহে রমযানের এক মাস সিয়াম (রোযা) সাধনা মানব জীবনে শুদ্ধতা লাভের সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়। মহত্তর চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন ও সত্যবোধকে জাগ্রত করার জন্য সংযম ও কৃচ্ছ্র সাধনার ভূমিকা ব্যাপক। ‘সাওম’ মানে ‘বিরত থাকা’। কুকর্ম, কুচিন্তা ও ইন্দ্রিয় পরিচর্যা পরিহার করে সংযমী হওয়াই রোযার শিক্ষা। ‘রমযান’-এর শাব্দিক অর্থ ‘দগ্ধ করা’। সিয়াম সাধনার উত্তাপে; ধৈর্যের অগ্নিদহনে মুসলমান মাত্রই  এই মাসে কুপ্রবৃত্তিকে দগ্ধ করে শুদ্ধ পরিশোধিত মানুষে পরিণত হয়। তাই রমযানুল মুবারক দৈহিক, আত্মিক, নৈতিক ও সামাজিক পরিশুদ্ধির প্রশিক্ষণের মাস। দিনে রোযা ও রাতে ইবাদাতের মাধ্যমে মানুষ দেহ-মনকে পরিশুদ্ধ করতে পারে এই রমযান মাসে। পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধতার জন্য সিয়াম পালিত হয়ে থাকে। সিয়াম পালিত হয় চিত্তশুদ্ধি, পরিচ্ছন্নতা, সত্যবোধ জাগ্রত রাখা, পার্থিব আকাঙ্খাকে নিবৃত্ত রাখা, বিনয় ও নম্রতা প্রতিষ্ঠা, সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্যের চেতনা উজ্জীবন সর্বোপরি মহান প্রভু আল্লাহ্র কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য।

সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষ আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক পবিত্রতা অর্জন করে থাকে। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম আল-জাওজি বলেন: ‘মানুষের আত্মিক ও দৈহিক শক্তি সংরক্ষণে রোযা অত্যন্ত কার্যকর। একদিকে তা মানুষের পাশবিক চাহিদার প্রাবল্য থেকে মুক্ত করে তার দৈহিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চিয়তা বিধান করে, অপরদিকে তা নৈতিক উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে আত্মিক সুস্থতা সাধন করে।’ মাসব্যাপী রোযার মাধ্যমে মানুষের জৈবিক চাহিদা ও পাশব প্রবৃত্তি দুর্বল হয়ে যায়, মনুষ্যত্ব ও রূহানিয়াত সজীব ও জাগ্রত হয়। রিপুর তাড়নামুক্ত হয়ে মানুষ আল্লাহ্-প্রদত্ত বিবেক ও প্রজ্ঞার সদ্ব্যবহার করে সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী হতে পারে।

আরও পড়ুন: ৩ বছরের সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করল বাবা

আরও পড়ুন: শুধু রমযান নয়, কখনোই অনুমতি দেওয়া হবে না: ফ্যাশন শো নিয়ে আবদুল্লাহ