জীবনের হাফ সেঞ্চুরি মাস্টার ব্লাস্টারের
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিনটা ছিল ১৫ ই নভেম্বর সালটা ছিল ১৯৮৯। করাচি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অভিষেক হল চাকরা চুলের এক কিশোরের। কিশোর বলাই ভালো, কারণ তখনও তার বয়স ১৮ হয়নি। মাত্র ১৬ বছর সাত মাস বয়সেই ভারতীয় ক্রিকেটে অভিষিক্ত হলেন মুম্বইয়ের এক কিশোর।
প্রথম টেস্টে তেমন কিছু করতে পারেননি। কিন্তু নিজের টেস্ট সেঞ্চুরি পেতে খুব একটা বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে। কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রম তাকে বল করতে গিয়ে বুঝেছিলেন ১৬ বছরের এই ছেলেটির বিরুদ্ধে বোলিং করা কতটা কঠিন কাজ। বলেছিলেন, এই ছেলেই একদিন বিশ্ব মাতাবে। সত্যিই মাতিয়েছিলেন । টেস্ট ক্রিকেটে ৫১ টি সেঞ্চুরি এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪৯ টি সেঞ্চুরি তার নামের পাশে।
১০০ সেঞ্চুরির সেই মালিক শচীন তেন্ডুলকর জীবনের অর্ধশতাব্দী পার করলেন সোমবার। ৫০ বছরে পা দিলেন লিটল মাস্টার। আর নিজের ৫০ তম জন্মদিনে বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতিতে ডুব দিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। ওটা ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়াম কিভাবে সেদিন ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে সঙ্গে শচীন শচীন বলে চিৎকার করেছিলেন সে কথাই নিজের জন্মদিনে ব্যক্ত করলেন আধুনিক ক্রিকেটের ডন।
জানালেন,’আমি সেদিন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি । ছুটে গিয়েছিলাম ড্রেসিং রুমে এবং আমার চোখ পড়েছিল বড় তোয়ালেটার দিকে। সেটাকে নিজের মুখে নিয়ে নিই। কিছুক্ষণের জন্য সেটা মুখে দিয়েই বসেছিলাম। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি।’
এমনকি নিজের প্রথম টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা ও শেয়ার করলেন জীবনের অর্থ শতাব্দী পূরণ করার দিনে। বললেন, ‘আমি যখন টেস্টে প্রথম খেলি, আমার মনে কোন সন্দেহ ছিল না যে আমি ভারতীয় দলে সুযোগ পাবোই।’
নিচের ৫০ তম জন্মদিনে গরু রমাকান্ত আচরেকরকেও স্মরণ করলেন শচীন। কিভাবে রমাকান্ত স্যার শচীনকে তৈরি করেছেন সেই তথ্য জানালেন নিজের জন্মদিনে। নিজের ৫০ তম জন্মদিনে এমনই সব স্মৃতি রোমন্থন করে শচীন দুটি ছবি পোস্ট করেছেন নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছবি দুটি মুম্বইয়ের পাহাড়ি এলাকার ছবি। আসলে জন্মদিনটা একটু অন্যভাবে কাটাতে চেয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার।