২১ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাফসকে নিয়ন্ত্রণ করার মাস রমযান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার
  • / 341

মাওলানা ইসহাক মাদানী: মহান আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে বিবেকসম্পন্ন স্বাধীনতাভোগী প্রাণী হচ্ছে মানুষ। মানুষের মধ্যে বিবিধ প্রবৃত্তি বর্তমান রয়েছে, যা সঙ্গত ও অসঙ্গত কারণে ব্যবহার করার বা আদৌ ব্যবহার না করার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়েছে।

উক্ত প্রবৃত্তিগুলিকে পবিত্র কুরআনের ভাষায় তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

এক. নাফসে আম্মারা- যা মানুষকে পাপের কাজে প্ররোচিত করে।

দুই. নাফসে লাওয়ামা- পাপকাজ সংঘটিত হলে হৃদয়ে গ্লানিবোধ, অনুতাপ ও পরিতাপের ভাব জাগ্রত করে।

 তিন. নাফসে মুৎমাইন্না- পাপ-পরবর্তী অনুতাপ ও পরিতাপকে কাজে লাগিয়ে নাফসে আম্মারা নামক প্রবৃত্তিকে দমন করতে সক্ষম হলে অনাবিল শান্তি অনুভূত হয় তাকে নাফসে মুৎমাইন্না বলা হয়। মুৎমাইন্না প্রবৃত্তি পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য সংকল্প ও সাধনার প্রয়োজন হয়।

মানুষের মধ্যে ন্যায় ও অন্যায় করার ক্ষমতা বিরাজমান যা পরিবর্তনশীল। পৃথিবীতে এরূপ উদাহরণ বিরল নয় যে, যার অপরাধমূলক কাজ করা চরিত্রগত পেশা ছিল সেই ব্যক্তি পরিবর্তিত হয়ে ন্যায়, নিষ্ঠাবান ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছে।

এক সময় যে অসৎ, পরবর্তীতে সেই ব্যক্তি যেমন সৎ-এ পরিণত হয়, অনুরূপ বিপরীত ব্যাপারটিও লক্ষ করা যায়। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ন্যায়-অন্যায় গ্রহণ করার ক্ষমতা মানুষের মাঝে বিরাজমান। অন্যায়কারী প্রবৃত্তিকে দমন করতে হলে সংকল্প ও সাধনা অতি-আবশ্যক। সংকল্প ও সাধনার দ্বারাই প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নাফসকে নিয়ন্ত্রণ করার মাস রমযান

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার

মাওলানা ইসহাক মাদানী: মহান আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে বিবেকসম্পন্ন স্বাধীনতাভোগী প্রাণী হচ্ছে মানুষ। মানুষের মধ্যে বিবিধ প্রবৃত্তি বর্তমান রয়েছে, যা সঙ্গত ও অসঙ্গত কারণে ব্যবহার করার বা আদৌ ব্যবহার না করার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়েছে।

উক্ত প্রবৃত্তিগুলিকে পবিত্র কুরআনের ভাষায় তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

এক. নাফসে আম্মারা- যা মানুষকে পাপের কাজে প্ররোচিত করে।

দুই. নাফসে লাওয়ামা- পাপকাজ সংঘটিত হলে হৃদয়ে গ্লানিবোধ, অনুতাপ ও পরিতাপের ভাব জাগ্রত করে।

 তিন. নাফসে মুৎমাইন্না- পাপ-পরবর্তী অনুতাপ ও পরিতাপকে কাজে লাগিয়ে নাফসে আম্মারা নামক প্রবৃত্তিকে দমন করতে সক্ষম হলে অনাবিল শান্তি অনুভূত হয় তাকে নাফসে মুৎমাইন্না বলা হয়। মুৎমাইন্না প্রবৃত্তি পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য সংকল্প ও সাধনার প্রয়োজন হয়।

মানুষের মধ্যে ন্যায় ও অন্যায় করার ক্ষমতা বিরাজমান যা পরিবর্তনশীল। পৃথিবীতে এরূপ উদাহরণ বিরল নয় যে, যার অপরাধমূলক কাজ করা চরিত্রগত পেশা ছিল সেই ব্যক্তি পরিবর্তিত হয়ে ন্যায়, নিষ্ঠাবান ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছে।

এক সময় যে অসৎ, পরবর্তীতে সেই ব্যক্তি যেমন সৎ-এ পরিণত হয়, অনুরূপ বিপরীত ব্যাপারটিও লক্ষ করা যায়। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ন্যায়-অন্যায় গ্রহণ করার ক্ষমতা মানুষের মাঝে বিরাজমান। অন্যায়কারী প্রবৃত্তিকে দমন করতে হলে সংকল্প ও সাধনা অতি-আবশ্যক। সংকল্প ও সাধনার দ্বারাই প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব।