০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আত্মসমালোচনা ও সংযমের শিক্ষা দেয় রমযান: অলিফিয়া

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার
  • / 44

সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের ইফতার মজলিশে বক্তব্য রাখছেন আলিফিয়া টুন্ডাওয়ালা। রয়েছেন পি বি সালিম, মাওলানা শফিক কাসেমী, আহমদ হাসান ইমরান, নাদিমুল হক, ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি। (ছবি-খালিদুর রহিম)

পুবের কলম প্রতিবেদক: শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যা  উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের উদ্যোগে দাওয়াত-এ-ইফতার মজলিশের আয়োজন করা হয়। এ দিনের ইফতার মজলিশে বিশিষ্টদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।  মজলিশে রমযান সম্পর্কে এ দিন এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি, পুবের কলম-এর সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ এবং বিত্ত নিগমের বোর্ড মেম্বার আহমদ হাসান ইমরান, মন্ত্রী সুজিত বসু, বৌদ্ধ ধর্মের ইন্দ্রনীল বড়ুয়া, অধ্যাপিকা ড. অলিফিয়া টুন্ডাওয়ালা, চিনা কনসোল জেনারেল জিয়া লিওইউ, বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান আইএএস পি বি সালিম প্রমুখ।

আরও পড়ুন: রমযান আত্মসংযম করতে শিক্ষা দেয়: ড. অরুণজ্যোতি

আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমে বৌদ্ধধর্মের ইন্দ্রনীল বড়ুয়া বলেন, রমযানে এই ইফতার মজলিশ এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। যাঁরা এই মাসে রোযা রাখেন এই মাসে যাকাত প্রদান করেন। তাঁরা আলাদা সওয়াব পান। এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের ৯৩ শতাংশ মুসলিম মানুষ রোযা রাখেন। সব ধর্মের মানুষরাই উপবাস করেন। ইসলামের উপবাস আলাদা। সব ধর্ম থেকে ইসলামের রোযা ‘বেস্ট ফাস্টিং’। রোযায় শারীরিক উপকারিতাও রয়েছে।

উপস্থিত সাবিত্রী গার্লস কলেজের অধ্যাপিকা ড. অলিফিয়া টুন্ডাওয়ালা বলেন, রমযানে মানুষ এক মাস ধরে রোযা রাখেন। এই মাসে মানুষ আত্মসমালোচনা করতে পারে। রমযানে মানুষ নিজেকে রিফ্লেকশন করতে পারে। এক মাস নিয়মকানুন ঠিকঠাক পালন করার পর তা সারাবছর ঠিকঠাকভাবে কার্যকর করতে পারে। সারামাসে রোযা রাখার পর অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ হয়ে যায়।

রমযান মাসে মানুষের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হয়। তাছাড়া এক মাস রোযা রাখার পর সওয়াব পান রোযাদাররা। এই মাসের পর ফের নতুন করে জীবন শুরু করে মানুষজন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি বলেন, রোযার মাস ধৈর্যের মাস, একে অপরকে ভালোবাসার মাস। এই মাসে রোযাদারদের চোখ হাত-পা নিয়ন্ত্রিত থাকলে রমযান সঠিকভাবে পালন হয়। যেটা  রোযাদাররা করে থাকেন।

রোযা ফরয কেন? এই সম্পর্কে শফিক কাশেমি বলেন, মুত্তাকীরা আল্লাহ্‌র ভয়ে রোযা রাখেন। ভালো সমাজ তৈরিতে রোযার ভূমিকা রয়েছে। আল্লাহ্‌র রহমতে রোযাদাররা কোনও সমস্যায়  পড়বে না।

এ ছাড়া ছিলেন সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক ওবাইদুর রহমান, সাকিল আহমেদ, তানবীর আফজাল, মাদ্রাসা, বোর্ডের সভাপতি ড. আবু তাহের কমরুদ্দিন, ওয়াকফ বোর্ডের সিইও এহেসান আলি,  অধ্যাপক ড. মেহেদি হাসান, একেএম ফারহাদ, মুহাম্মদ শাহ আলম, মারিয়া ফার্নান্ডেজ, অ্যাঞ্জেলিনা জাসনানি, মোরশেদ আলি মোল্লা-সহ বিশিষ্টরা। এ দিনের বিত্ত নিগমের ইফতার মজলিশে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আত্মসমালোচনা ও সংযমের শিক্ষা দেয় রমযান: অলিফিয়া

আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যা  উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের উদ্যোগে দাওয়াত-এ-ইফতার মজলিশের আয়োজন করা হয়। এ দিনের ইফতার মজলিশে বিশিষ্টদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।  মজলিশে রমযান সম্পর্কে এ দিন এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি, পুবের কলম-এর সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ এবং বিত্ত নিগমের বোর্ড মেম্বার আহমদ হাসান ইমরান, মন্ত্রী সুজিত বসু, বৌদ্ধ ধর্মের ইন্দ্রনীল বড়ুয়া, অধ্যাপিকা ড. অলিফিয়া টুন্ডাওয়ালা, চিনা কনসোল জেনারেল জিয়া লিওইউ, বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান আইএএস পি বি সালিম প্রমুখ।

আরও পড়ুন: রমযান আত্মসংযম করতে শিক্ষা দেয়: ড. অরুণজ্যোতি

আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমে বৌদ্ধধর্মের ইন্দ্রনীল বড়ুয়া বলেন, রমযানে এই ইফতার মজলিশ এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। যাঁরা এই মাসে রোযা রাখেন এই মাসে যাকাত প্রদান করেন। তাঁরা আলাদা সওয়াব পান। এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের ৯৩ শতাংশ মুসলিম মানুষ রোযা রাখেন। সব ধর্মের মানুষরাই উপবাস করেন। ইসলামের উপবাস আলাদা। সব ধর্ম থেকে ইসলামের রোযা ‘বেস্ট ফাস্টিং’। রোযায় শারীরিক উপকারিতাও রয়েছে।

উপস্থিত সাবিত্রী গার্লস কলেজের অধ্যাপিকা ড. অলিফিয়া টুন্ডাওয়ালা বলেন, রমযানে মানুষ এক মাস ধরে রোযা রাখেন। এই মাসে মানুষ আত্মসমালোচনা করতে পারে। রমযানে মানুষ নিজেকে রিফ্লেকশন করতে পারে। এক মাস নিয়মকানুন ঠিকঠাক পালন করার পর তা সারাবছর ঠিকঠাকভাবে কার্যকর করতে পারে। সারামাসে রোযা রাখার পর অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ হয়ে যায়।

রমযান মাসে মানুষের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হয়। তাছাড়া এক মাস রোযা রাখার পর সওয়াব পান রোযাদাররা। এই মাসের পর ফের নতুন করে জীবন শুরু করে মানুষজন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি বলেন, রোযার মাস ধৈর্যের মাস, একে অপরকে ভালোবাসার মাস। এই মাসে রোযাদারদের চোখ হাত-পা নিয়ন্ত্রিত থাকলে রমযান সঠিকভাবে পালন হয়। যেটা  রোযাদাররা করে থাকেন।

রোযা ফরয কেন? এই সম্পর্কে শফিক কাশেমি বলেন, মুত্তাকীরা আল্লাহ্‌র ভয়ে রোযা রাখেন। ভালো সমাজ তৈরিতে রোযার ভূমিকা রয়েছে। আল্লাহ্‌র রহমতে রোযাদাররা কোনও সমস্যায়  পড়বে না।

এ ছাড়া ছিলেন সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক ওবাইদুর রহমান, সাকিল আহমেদ, তানবীর আফজাল, মাদ্রাসা, বোর্ডের সভাপতি ড. আবু তাহের কমরুদ্দিন, ওয়াকফ বোর্ডের সিইও এহেসান আলি,  অধ্যাপক ড. মেহেদি হাসান, একেএম ফারহাদ, মুহাম্মদ শাহ আলম, মারিয়া ফার্নান্ডেজ, অ্যাঞ্জেলিনা জাসনানি, মোরশেদ আলি মোল্লা-সহ বিশিষ্টরা। এ দিনের বিত্ত নিগমের ইফতার মজলিশে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।