০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার থেকে রাজ্যের সব স্কুলেই দেওয়া হবে রামায়ণ ও গীতার পাঠ মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 176

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ‘রাম ভারত কি পেহচান’ সুতরাং আমাদের উচিৎ রাম এর সম্বন্ধে ভালোভাবে জানা এবং তাঁকে সম্মান করা। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, স্কুলের সিলেবাসের রাখা হবে হিন্দু ধর্মগ্রন্থের পাঠ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করির উপস্থিতিতে এক সমাবেশ সভায় এমনটাই মন্তব্য করেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।

এদিন তিনি আরও বলেন, “রামায়ণ, মহাভারত, বেদ, উপনিষদ, ভগবদগীতা আমাদের অমূল্য ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। একজন মানুষকে নৈতিক ও পরিপূর্ণ করে তোলার ক্ষমতা এই গ্রন্থগুলোতে রয়েছে। তাই স্কুলের পাঠ্যবইগুলিতে আমরা হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতা, রামায়ণ ও মহাভারত অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছি। এমনটাই জানান তিনি।

আরও পড়ুন: নেপালে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, ‘কেউ যেন অশান্তিতে জড়িয়ে না পড়েন,’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রামচরিতমানসের স্রষ্টা কবি তুলসীদাসের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। এদিন তিনি আরও বলেন, যারা এই মহাপুরুষদের অপমান করবে তাঁদের বরদাস্ত করা হবে না। মধ্যপ্রদেশে আমরা আমাদের শিশুদের নীতি শিক্ষার মাধ্যমে মুল্যবোধ গড়ে তুলতে এই পদক্ষপ গ্রহণ করতে চলেছি। তবে স্কুলের পাঠ্য বইয়ে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অন্তর্ভুক্ত করার এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বহু স্কুলে গীতা, রামায়ণের মতো ধর্মগ্রন্থগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে বিরোধী দলনেতার মন্তব্য: ‘আদিবাসীরা হিন্দু নন’

হিন্দু মহাকাব্যগুলো ‘বৈজ্ঞানিক সত্যের আধার’, এমনটাই মনে করেন মোদি সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা। এ বার মূল্যবোধের আধার হিসেবেও সেই প্রাচীন মহাকাব্যগুলির দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি৷ খুব শীঘ্রই স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রম হিসেবে রামায়ণ-মহাভারত-গীতা পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার৷
সরকারের যুক্তি, দেশকে ‘সাংস্কৃতিক দূষণ’ থেকে মুক্ত করতে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে নীতিশিক্ষা দিয়ে তাদের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরি করতে রামায়ণ-মহাভারত-গীতা পড়ানো জরুরি৷ জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে এর আধ্যাত্মিক মূল্য আছে৷’ অন্য দিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তে হিন্দুত্ববাদ ও গৈরিকীকরণের ছায়া দেখছেন অনেকে৷

আরও পড়ুন: ভিন রাজ্য নয়, এই রাজ্যেই বাঙালি বলে কারখানা থেকে বের করে দিল কর্তৃপক্ষ, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এবার থেকে রাজ্যের সব স্কুলেই দেওয়া হবে রামায়ণ ও গীতার পাঠ মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান

আপডেট : ২৪ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ‘রাম ভারত কি পেহচান’ সুতরাং আমাদের উচিৎ রাম এর সম্বন্ধে ভালোভাবে জানা এবং তাঁকে সম্মান করা। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, স্কুলের সিলেবাসের রাখা হবে হিন্দু ধর্মগ্রন্থের পাঠ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করির উপস্থিতিতে এক সমাবেশ সভায় এমনটাই মন্তব্য করেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।

এদিন তিনি আরও বলেন, “রামায়ণ, মহাভারত, বেদ, উপনিষদ, ভগবদগীতা আমাদের অমূল্য ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। একজন মানুষকে নৈতিক ও পরিপূর্ণ করে তোলার ক্ষমতা এই গ্রন্থগুলোতে রয়েছে। তাই স্কুলের পাঠ্যবইগুলিতে আমরা হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতা, রামায়ণ ও মহাভারত অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছি। এমনটাই জানান তিনি।

আরও পড়ুন: নেপালে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, ‘কেউ যেন অশান্তিতে জড়িয়ে না পড়েন,’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রামচরিতমানসের স্রষ্টা কবি তুলসীদাসের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। এদিন তিনি আরও বলেন, যারা এই মহাপুরুষদের অপমান করবে তাঁদের বরদাস্ত করা হবে না। মধ্যপ্রদেশে আমরা আমাদের শিশুদের নীতি শিক্ষার মাধ্যমে মুল্যবোধ গড়ে তুলতে এই পদক্ষপ গ্রহণ করতে চলেছি। তবে স্কুলের পাঠ্য বইয়ে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অন্তর্ভুক্ত করার এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বহু স্কুলে গীতা, রামায়ণের মতো ধর্মগ্রন্থগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে বিরোধী দলনেতার মন্তব্য: ‘আদিবাসীরা হিন্দু নন’

হিন্দু মহাকাব্যগুলো ‘বৈজ্ঞানিক সত্যের আধার’, এমনটাই মনে করেন মোদি সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা। এ বার মূল্যবোধের আধার হিসেবেও সেই প্রাচীন মহাকাব্যগুলির দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি৷ খুব শীঘ্রই স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রম হিসেবে রামায়ণ-মহাভারত-গীতা পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার৷
সরকারের যুক্তি, দেশকে ‘সাংস্কৃতিক দূষণ’ থেকে মুক্ত করতে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে নীতিশিক্ষা দিয়ে তাদের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরি করতে রামায়ণ-মহাভারত-গীতা পড়ানো জরুরি৷ জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে এর আধ্যাত্মিক মূল্য আছে৷’ অন্য দিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তে হিন্দুত্ববাদ ও গৈরিকীকরণের ছায়া দেখছেন অনেকে৷

আরও পড়ুন: ভিন রাজ্য নয়, এই রাজ্যেই বাঙালি বলে কারখানা থেকে বের করে দিল কর্তৃপক্ষ, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি