০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রামনবমীর সংঘর্ষ: বিহারের রাজ্যপালের সঙ্গে কথা শাহের,  পাঠানো হল অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী   

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার
  • / 93

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: রাম নবমীকে কেন্দ্র করে যে হিংসার  আগুন জ্বলে উঠেছিল বিহারে, সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে।  বিহারের পাঁচ জেলায় সহিংসতা সবথেকে বেশি ছড়িয়েছে। বহু জায়গা এখনও অশান্ত। নালন্দা জেলার বিহার শরিফ এবং সাসারামে দু’দিন ধরে চলছে গুলি, বোমাবাজি। সাসারামে রবিবার জনসভা করার কথা ছিল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় তিনি সাসারামের কর্মসূচি বাতিল করে  দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, সম্রাট অশোকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অমিত শাহের বিহারের সাসারামে যাওয়ার কথা ছিল।  প্রস্তাবিত সেই সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নালন্দায় গুলিতে  একজনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জায়গাতেই বহু মানুষ  আহত হয়েছে। দুই জেলায় পুলিশ ১২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।  রবিবার এ বিষয়ে রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকরের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

ধর্মীয় হিংসার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য প্রশাসনকে  সহায়তা করার জন্য বিহারে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী পাঠানোর  সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

বিহার সরকার অনুরোধ জানালেই রাজ্যে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হবে। মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  বিহারের গভর্নরের সাথে কথা বলেছেন এবং পরিস্থিতি খতিয়ে  দেখছেন। এই রাজ্যে সহিংসতার বিষয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।’

হিংসা ছড়িয়েছে ভাগলপুর এবং গয়াতেও। অশান্তি শুরু হয় প্রথমে মুঙ্গেরে। শনিবার রাতে সেখানে রামনবমীর শোভাযাত্রা  যাওয়ার সময়  দু’দল লোকের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেই বচসা  হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ দেখা দেয়। বিহারে নীতীশ কুমারের শাসনে এবারের রামনবমীর মতো গোলমালের নজির এর আগে দেখা যায়নি। স্বভাবতই রাজ্য প্রশাসন চাপে পড়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘বিহারের রাজ্যপালের সঙ্গে  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা  হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামনবমীর দিন সাম্প্রদায়িক হিংসার তীব্র  নিন্দা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি গোটা ঘটনায় উদ্বেগও প্রকাশ  করেছেন। তার প্রেক্ষিতেই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী বিহারে  পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ বিহার বিজেপি সূত্রে খবর,  সাসারামে যেতে না-পারলেও রবিবার নওয়াদায় দলীয় কর্মীদের  অনুষ্ঠানে শাহর কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকছে। তিনি ওই অনুষ্ঠানে যথারীতি ভাষণ দেবেন।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রামনবমীর সংঘর্ষ: বিহারের রাজ্যপালের সঙ্গে কথা শাহের,  পাঠানো হল অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী   

আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: রাম নবমীকে কেন্দ্র করে যে হিংসার  আগুন জ্বলে উঠেছিল বিহারে, সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে।  বিহারের পাঁচ জেলায় সহিংসতা সবথেকে বেশি ছড়িয়েছে। বহু জায়গা এখনও অশান্ত। নালন্দা জেলার বিহার শরিফ এবং সাসারামে দু’দিন ধরে চলছে গুলি, বোমাবাজি। সাসারামে রবিবার জনসভা করার কথা ছিল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় তিনি সাসারামের কর্মসূচি বাতিল করে  দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, সম্রাট অশোকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অমিত শাহের বিহারের সাসারামে যাওয়ার কথা ছিল।  প্রস্তাবিত সেই সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নালন্দায় গুলিতে  একজনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জায়গাতেই বহু মানুষ  আহত হয়েছে। দুই জেলায় পুলিশ ১২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।  রবিবার এ বিষয়ে রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকরের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

ধর্মীয় হিংসার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য প্রশাসনকে  সহায়তা করার জন্য বিহারে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী পাঠানোর  সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

বিহার সরকার অনুরোধ জানালেই রাজ্যে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হবে। মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  বিহারের গভর্নরের সাথে কথা বলেছেন এবং পরিস্থিতি খতিয়ে  দেখছেন। এই রাজ্যে সহিংসতার বিষয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।’

হিংসা ছড়িয়েছে ভাগলপুর এবং গয়াতেও। অশান্তি শুরু হয় প্রথমে মুঙ্গেরে। শনিবার রাতে সেখানে রামনবমীর শোভাযাত্রা  যাওয়ার সময়  দু’দল লোকের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেই বচসা  হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ দেখা দেয়। বিহারে নীতীশ কুমারের শাসনে এবারের রামনবমীর মতো গোলমালের নজির এর আগে দেখা যায়নি। স্বভাবতই রাজ্য প্রশাসন চাপে পড়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘বিহারের রাজ্যপালের সঙ্গে  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা  হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামনবমীর দিন সাম্প্রদায়িক হিংসার তীব্র  নিন্দা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি গোটা ঘটনায় উদ্বেগও প্রকাশ  করেছেন। তার প্রেক্ষিতেই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী বিহারে  পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ বিহার বিজেপি সূত্রে খবর,  সাসারামে যেতে না-পারলেও রবিবার নওয়াদায় দলীয় কর্মীদের  অনুষ্ঠানে শাহর কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকছে। তিনি ওই অনুষ্ঠানে যথারীতি ভাষণ দেবেন।