১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুক ও বধির নাবালিকাকে ধর্ষণ: দুই অভিযুক্তকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল ইসলামপুর আদালত

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 136

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মুক ও বধির বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক কিশোরীকে নির্মমভাবে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হল দুই অভিযুক্তকে। বুধবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্ট অভিযুক্ত দর্জি মুরমু ও স্বপন কিস্কুকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক নীলাঞ্জন দে।

সরকারি কৌঁসুলি ননীগোপাল বিশ্বাস জানান, ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থানা এলাকার এক বাঁশবাগানে ওই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত দুইজন। ওই দিন বাড়ি না ফেরায় কিশোরীর পরিবার খোঁজ শুরু করে এবং অবশেষে তাকে বাঁশবাগানে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পরিবার প্রথমে গ্রাম্য মোড়লদের কাছে সুবিচার চাইলেও ফল না মেলায় এক মাস পর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থার অভিযোগ, ব্রিটেনে বামপন্থী চিকিৎসককে কারাদণ্ডের নির্দেশ

মামলার শুনানিতে আদালত মোট ১৩ জন সাক্ষীর বয়ান গ্রহণ করে। বিচারক দুটি ধারায় সাজা ঘোষণা করেন—একটিতে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অপরটিতে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা।

আরও পড়ুন: বাবা কর্তৃক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা: আসানসোল আদালতের ঐতিহাসিক রায়

এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নির্যাতিতার পরিবার ও এলাকাবাসী। তাঁরা আশা করছেন, এ ধরনের কঠোর শাস্তির ফলে ভবিষ্যতে কেউ এমন নৃশংসতার সাহস করবে না।

আরও পড়ুন: ফের বিজেপি শাসিত রাজ্যে ধর্ষণ, প্রশ্নের মুখে নারী সুরক্ষা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুক ও বধির নাবালিকাকে ধর্ষণ: দুই অভিযুক্তকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল ইসলামপুর আদালত

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মুক ও বধির বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক কিশোরীকে নির্মমভাবে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হল দুই অভিযুক্তকে। বুধবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্ট অভিযুক্ত দর্জি মুরমু ও স্বপন কিস্কুকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক নীলাঞ্জন দে।

সরকারি কৌঁসুলি ননীগোপাল বিশ্বাস জানান, ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থানা এলাকার এক বাঁশবাগানে ওই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত দুইজন। ওই দিন বাড়ি না ফেরায় কিশোরীর পরিবার খোঁজ শুরু করে এবং অবশেষে তাকে বাঁশবাগানে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পরিবার প্রথমে গ্রাম্য মোড়লদের কাছে সুবিচার চাইলেও ফল না মেলায় এক মাস পর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থার অভিযোগ, ব্রিটেনে বামপন্থী চিকিৎসককে কারাদণ্ডের নির্দেশ

মামলার শুনানিতে আদালত মোট ১৩ জন সাক্ষীর বয়ান গ্রহণ করে। বিচারক দুটি ধারায় সাজা ঘোষণা করেন—একটিতে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অপরটিতে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা।

আরও পড়ুন: বাবা কর্তৃক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা: আসানসোল আদালতের ঐতিহাসিক রায়

এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নির্যাতিতার পরিবার ও এলাকাবাসী। তাঁরা আশা করছেন, এ ধরনের কঠোর শাস্তির ফলে ভবিষ্যতে কেউ এমন নৃশংসতার সাহস করবে না।

আরও পড়ুন: ফের বিজেপি শাসিত রাজ্যে ধর্ষণ, প্রশ্নের মুখে নারী সুরক্ষা