২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাসনে সম্প্রীতির রথযাত্রা, রথের দড়িতে টান রনজিত, আব্দুল হাইদের 

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার
  • / 167

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাজনৈতিক হানাহানিতে বরাবরই খবরের শিরোনামে থাকে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার শাসন এলাকা। কিন্তু সব হানাহানি দূরে ঠেলে শুক্রবার ভিন্ন ছবি দেখল বারাসাত দুই ব্লকের শাসন এলাকা। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে শাসনের সর্দারআটিতে ফুটে উঠল এক টুকরো সম্প্রীতির ছবি। এদিন শতাব্দী প্রাচীন রথের দড়ি টানতে হাত লাগান শাসনের হিন্দু মুসলিম সহ উভয় সম্প্রদায়ের মানুষজন। জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে রথের দড়িতে টান দেন রঞ্জিত, মৌসুমীদের পাশাপাশি আব্দুল হাই, ইফতিকরউদ্দিন, মনোয়ারা ও সাহাবুদ্দিনরা।

প্রসঙ্গত, এই রথ যাত্রাকে ঘিরে একটা উৎসবের পরিবেশ হয়ে ওঠে শাসন এলাকা। শাসনের সর্দারআটির মাঠে বসে রথের মেলাও। আর এদিন শাসনের সব পথ এসে মেলে রথের মেলায়। মেলা মানে পাপর ভাজা, মেলা মানে জিলাপি খাওয়া। আর মেলা মানে কাচের চুড়ি। মেলার এই খাওয়া দাওয়া ও কেনাকাটা করতে এদিন ভিড় জমান উভয় সম্প্রদায়ের উৎসবপ্রেমী মানুষজন। সর্দারআটির রথযাত্রাকে ঘিরে ফুটে ওঠে যেন এক টুকরো সম্প্রীতির ছবি।

আরও পড়ুন: রথযাত্রা ও মহরমে যানজট এড়াতে এবং নিরাপত্তায় বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা

শাসনে সম্প্রীতির রথযাত্রা, রথের দড়িতে টান রনজিত, আব্দুল হাইদের 

এ ব্যাপারে বারাসাত দুই ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা দাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল হাই বলেন, আমাদের শাসন এলাকা বরাবরই সম্প্রীতির জায়গা। একটা সময় শাসনের নাম শুনলে মানুষজন ভয় পেতো। সেখানে পরিবর্তনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এর হাত ধরে আজ শাসন এলাকা শান্ত। আমাদের নেত্রীর দেখানো পথে শাসনে যেমন ঈদ উৎসবে আমরা শামিল হয়। তেমনি আজকে রথযাত্রা ও রথের মেলায় সকলেই অংশ নিচ্ছি। এটাই আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সম্প্রীতির বাংলা।

বারাসাত দুই ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি ইফতিকারউদ্দিন বলেন সর্দারআটির রথযাত্রা এটা একটা অতীত ঐতিহ্য। আমাদের তৃণমূল সরকার সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। তাই হিন্দু মুসলিম সকলে এই রথযাত্রায় সামিল হয়। যদিও বিজেপি সেটা ভাঙার চেষ্টা করছে বলে তিনি নিন্দা জানান।

বারাসাত দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোয়ারা বিবি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীঘায় রথযাত্রা পালন করছেন। আমরা হিন্দু মুসলিম সকলে মিলে শাসনে রথযাত্রা পালন করছি। রথযাত্রা কমিটির অন্যতম দায়িত্বশীল রঞ্জিত মণ্ডল বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই আমরা হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের লোক এই রথযাত্রায় সামিল হয়। আমাদের এই রথ ১০২ বছরের পুরনো বলে তিনি দাবি করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বারাসাত দুই পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মেহেদী হাসান, জেলা পরিষদের সদস্য সাবিনা খাতুন, বারাসাত দুই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ তথা কীর্তিপুর ২ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আলি, মানস ঘোষ সহ অন্যান্যরা।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শাসনে সম্প্রীতির রথযাত্রা, রথের দড়িতে টান রনজিত, আব্দুল হাইদের 

আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাজনৈতিক হানাহানিতে বরাবরই খবরের শিরোনামে থাকে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার শাসন এলাকা। কিন্তু সব হানাহানি দূরে ঠেলে শুক্রবার ভিন্ন ছবি দেখল বারাসাত দুই ব্লকের শাসন এলাকা। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে শাসনের সর্দারআটিতে ফুটে উঠল এক টুকরো সম্প্রীতির ছবি। এদিন শতাব্দী প্রাচীন রথের দড়ি টানতে হাত লাগান শাসনের হিন্দু মুসলিম সহ উভয় সম্প্রদায়ের মানুষজন। জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে রথের দড়িতে টান দেন রঞ্জিত, মৌসুমীদের পাশাপাশি আব্দুল হাই, ইফতিকরউদ্দিন, মনোয়ারা ও সাহাবুদ্দিনরা।

প্রসঙ্গত, এই রথ যাত্রাকে ঘিরে একটা উৎসবের পরিবেশ হয়ে ওঠে শাসন এলাকা। শাসনের সর্দারআটির মাঠে বসে রথের মেলাও। আর এদিন শাসনের সব পথ এসে মেলে রথের মেলায়। মেলা মানে পাপর ভাজা, মেলা মানে জিলাপি খাওয়া। আর মেলা মানে কাচের চুড়ি। মেলার এই খাওয়া দাওয়া ও কেনাকাটা করতে এদিন ভিড় জমান উভয় সম্প্রদায়ের উৎসবপ্রেমী মানুষজন। সর্দারআটির রথযাত্রাকে ঘিরে ফুটে ওঠে যেন এক টুকরো সম্প্রীতির ছবি।

আরও পড়ুন: রথযাত্রা ও মহরমে যানজট এড়াতে এবং নিরাপত্তায় বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা

শাসনে সম্প্রীতির রথযাত্রা, রথের দড়িতে টান রনজিত, আব্দুল হাইদের 

এ ব্যাপারে বারাসাত দুই ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা দাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল হাই বলেন, আমাদের শাসন এলাকা বরাবরই সম্প্রীতির জায়গা। একটা সময় শাসনের নাম শুনলে মানুষজন ভয় পেতো। সেখানে পরিবর্তনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এর হাত ধরে আজ শাসন এলাকা শান্ত। আমাদের নেত্রীর দেখানো পথে শাসনে যেমন ঈদ উৎসবে আমরা শামিল হয়। তেমনি আজকে রথযাত্রা ও রথের মেলায় সকলেই অংশ নিচ্ছি। এটাই আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সম্প্রীতির বাংলা।

বারাসাত দুই ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি ইফতিকারউদ্দিন বলেন সর্দারআটির রথযাত্রা এটা একটা অতীত ঐতিহ্য। আমাদের তৃণমূল সরকার সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। তাই হিন্দু মুসলিম সকলে এই রথযাত্রায় সামিল হয়। যদিও বিজেপি সেটা ভাঙার চেষ্টা করছে বলে তিনি নিন্দা জানান।

বারাসাত দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোয়ারা বিবি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীঘায় রথযাত্রা পালন করছেন। আমরা হিন্দু মুসলিম সকলে মিলে শাসনে রথযাত্রা পালন করছি। রথযাত্রা কমিটির অন্যতম দায়িত্বশীল রঞ্জিত মণ্ডল বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই আমরা হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের লোক এই রথযাত্রায় সামিল হয়। আমাদের এই রথ ১০২ বছরের পুরনো বলে তিনি দাবি করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বারাসাত দুই পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মেহেদী হাসান, জেলা পরিষদের সদস্য সাবিনা খাতুন, বারাসাত দুই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ তথা কীর্তিপুর ২ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আলি, মানস ঘোষ সহ অন্যান্যরা।