পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইন্তেকাল করলেন প্রখ্যাত উর্দু কবি মুনাওয়ার রানা। ৭১ বছর বয়েছে প্রয়াত হলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই সঞ্জয় গান্ধি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস’ ভেন্টিলেশনে ছিলেন। রবিবার লখনউতে ইন্তেকাল করলেন এই প্রোথিতযশা। কবি সাহিত্যিক মহলে শোকের ছায়া।
কবি কন্যা সুমাইয়া রানা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তাঁর বাবা হাসপাতালেই রবিবার বেশ রাতের দিকে মারা গিয়েছেন। সোমবার তাঁকে দাফন করা হবে।
শিল্পীর ছেলে তাবরেজ রানা বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে গত ১৪-১৫ দিন ধরে বাবা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। প্রথমে তাঁকে লখনউয়ের মেদান্তায় ভর্তি করা হয়েছিল এবং তারপর সঞ্জয় গান্ধি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস’ স্থানান্তরিত করা হয় যেখানে তিনি রাত ১১টা নাগাদ প্রয়াত হন।’
तो अब इस गांव से
रिश्ता हमारा खत्म होता है
फिर आंखें खोल ली जाएं कि
सपना खत्म होता है।देश के जानेमाने शायर मुन्नवर राना जी का निधन अत्यंत हृदय विदारक।
दिवंगत आत्मा की शांति की कामना।
भावभीनी श्रद्धांजलि। pic.twitter.com/BDDbojdYNh
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) January 14, 2024
সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে পোস্ট করে কবির মৃত্যু সংবাদে শোকপ্রকাশ করেন। তিনি কবির একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘তো অব ইস গাঁও সে / রিশ্তা হমারা খতম হোতা হ্যায় / ফির আঁখে খোল লি যায় কি / সপনা খতম হোতা হ্যায়।’ এরপর তিনি লেখেন, ‘দেশের জনপ্রিয় কবি মুনাওয়ার রানার মৃত্যুর খবর অত্যন্ত কষ্টকর। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। সশ্রদ্ধ প্রণাম।’
১৯৫২ সালের ২৬ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন কবি মুনাওয়ার রানা। রেখে গেলেন ভারতীয় সাহিত্যে একটি ছাপ। এবং তাঁর কাজ ‘শাহদাবা’ ২০১৪ সালে তাঁকে মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার অর্জন করতে সাহায্য করে। তবে রাজনৈতিক কারণে তিনি এটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) বিরোধী আন্দোলনের সময়, তাঁর মেয়ে এবং তিনি বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করেছিলেন। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য কৃষক আন্দোলনের সময়ও তিনি এসেছিলেন খবরের শিরোনামে।
মুনাওয়ার রানার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে কবি সঞ্জয় মিশ্র শৌক বলেন, ‘উর্দু কবিতায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। যা সাহিত্যের ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘস্থায়ী উত্তরাধিকার রেখে চলেছে। মুনাওয়ার রানা ছিলেন ভারতীয় সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তাঁর সাহিত্যিক প্রতিভা তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা শাহদাবা এর মাধ্যমে উজ্জ্বল হয়েছিল, যা কেবল পাঠকদের হৃদয়কে মুগ্ধ করেনি, ২০১৪ সালে তাকে মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার এনে দিয়েছিল।’