২১ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরবর্তী শুনানি ১৭ জুলাই

কসবা ল কলেজ কান্ডে তদন্ত রিপোর্ট পেশ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 158

মোল্লা জসিমউদ্দিনঃ বৃহস্পতিবার বহু চর্চিত কসবা কাণ্ডে তদন্ত কতটা এগিয়েছে? তার রিপোর্ট জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। মুখবন্ধ খামে সেই রিপোর্ট জমা করেছে পুলিশ। কসবা ল কলেজের মধ্যে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই নির্যাতিতার পরিবারের।

 

নির্যাতিতার আইনজীবী সূত্রে খবর, যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে সন্তুষ্ট তাঁরা।জানা গিয়েছে, গোপন জবানবন্দী ও মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালতে। সেগুলো দেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ইতিমধ্যে কসবার ল কলেজের ভিতরে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ১০ বছর থেকেই মাদক নিতে শুরু করে মেঘালয়ের শিশুরা: রিপোর্ট

 

আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। সেই তদন্ত কতটা এগিয়েছে জানাতে রিপোর্ট জমা করা হয়েছে।নির্যাতিতার আইনজীবী জানিয়েছেন, -’রিপোর্টের কপি দেওয়া হোক। সেখান থেকে জানা যাবে তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে’। এই ঘটনায় তদন্ত আর কতটা এগিয়েছে, এই নিয়ে ১ মাস পর ফের রিপোর্ট দেবে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষও।

 

এদিন হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল কসবা থানার। সেই মতো হলফনামাও জমা দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনায় তদন্ত কতটা এগিয়েছে, সেই সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্টও জমা করতে বলা হয়েছিল। কলেজের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও কেন কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন? আগে অভিযোগ জানানো হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন ব্যবস্থা নেয়নি? সিসিটিভি বা অন্য নজরদারির ব্যবস্থা কেন করা হয়নি? সবটা নিয়েই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল।

 

সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী জানান, -’আদালতে সিল করা খামে তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট ও ১৬৪ ধারায় নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি পেশ করা হয়েছে’।

 

নির্যাতিতার পরিবার পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত সিট-এর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তবে আদালত অনুমতি দিলে আমরা তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন দেখতে চাই।’এই প্রসঙ্গে বিচারপতি স্পষ্ট জানান, -’তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য শুধুমাত্র নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতে পারবে রাজ্য সরকার।

 

ওই রিপোর্ট সংবাদমাধ্যম বা অন্য কোনও সংস্থাকে দেওয়া যাবে না। তদন্তের তথ্য আদালতের হেফাজতে রাখা হবে এবং রাজ্যকে চার সপ্তাহ পর তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে’। কলেজ ও রাজ্য সরকার-সহ অন্যান্য পক্ষকে আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৭ জুলাই।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পরবর্তী শুনানি ১৭ জুলাই

কসবা ল কলেজ কান্ডে তদন্ত রিপোর্ট পেশ

আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার

মোল্লা জসিমউদ্দিনঃ বৃহস্পতিবার বহু চর্চিত কসবা কাণ্ডে তদন্ত কতটা এগিয়েছে? তার রিপোর্ট জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। মুখবন্ধ খামে সেই রিপোর্ট জমা করেছে পুলিশ। কসবা ল কলেজের মধ্যে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই নির্যাতিতার পরিবারের।

 

নির্যাতিতার আইনজীবী সূত্রে খবর, যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে সন্তুষ্ট তাঁরা।জানা গিয়েছে, গোপন জবানবন্দী ও মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালতে। সেগুলো দেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ইতিমধ্যে কসবার ল কলেজের ভিতরে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ১০ বছর থেকেই মাদক নিতে শুরু করে মেঘালয়ের শিশুরা: রিপোর্ট

 

আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। সেই তদন্ত কতটা এগিয়েছে জানাতে রিপোর্ট জমা করা হয়েছে।নির্যাতিতার আইনজীবী জানিয়েছেন, -’রিপোর্টের কপি দেওয়া হোক। সেখান থেকে জানা যাবে তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে’। এই ঘটনায় তদন্ত আর কতটা এগিয়েছে, এই নিয়ে ১ মাস পর ফের রিপোর্ট দেবে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষও।

 

এদিন হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল কসবা থানার। সেই মতো হলফনামাও জমা দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনায় তদন্ত কতটা এগিয়েছে, সেই সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্টও জমা করতে বলা হয়েছিল। কলেজের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও কেন কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন? আগে অভিযোগ জানানো হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন ব্যবস্থা নেয়নি? সিসিটিভি বা অন্য নজরদারির ব্যবস্থা কেন করা হয়নি? সবটা নিয়েই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল।

 

সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী জানান, -’আদালতে সিল করা খামে তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট ও ১৬৪ ধারায় নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি পেশ করা হয়েছে’।

 

নির্যাতিতার পরিবার পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত সিট-এর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তবে আদালত অনুমতি দিলে আমরা তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন দেখতে চাই।’এই প্রসঙ্গে বিচারপতি স্পষ্ট জানান, -’তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য শুধুমাত্র নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতে পারবে রাজ্য সরকার।

 

ওই রিপোর্ট সংবাদমাধ্যম বা অন্য কোনও সংস্থাকে দেওয়া যাবে না। তদন্তের তথ্য আদালতের হেফাজতে রাখা হবে এবং রাজ্যকে চার সপ্তাহ পর তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে’। কলেজ ও রাজ্য সরকার-সহ অন্যান্য পক্ষকে আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৭ জুলাই।