২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিটেন ফেরত ২২৫ জন, ‘ওমিক্রন’ আতঙ্ক চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 39

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ব্রিটেন ফেরত তরুণীকে নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা স্বস্তিতে থাকলেও, চিন্তা বাড়াচ্ছে ব্রিটেনের ফেরত বাকি ২২৫ জন। গতকালই ব্রিটেন থেকে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যুর খবর এসেছে।

 

আরও পড়ুন: ব্রেকিং: আতঙ্কের মধ্যেই আজ যাত্রা শুরু করল করমণ্ডল এক্সপ্রেস

দেশের অন্য প্রান্তে ও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে আফ্রিকা–ব্রিটেন– আমেরিকা থেকে আসা মানুষদের নিয়ে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের জন্য এখনও পর্যন্ত স্বস্তি এই মুহূর্তে ওমিক্রন আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি দুজন। তারমধ্যে ব্রিটেনের ফেরত তরুণীর জিনোম সিকোয়েন্সের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

আরও পড়ুন: ব্রেকিং: আতঙ্কের মাঝে ফের ওড়িশায় লাইনচ্যুত ট্রেন

 

আরও পড়ুন:    BREAKING NEWS: দ্বিতীয় হুগলী সেতুতে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন

কিন্তু চিন্তাটা অন্য জায়গায়। রবিবার কলকাতায় ব্রিটেন থেকে আসা ২২৫ জন যাত্রীর ব্যাপারে এখনও নিশ্চিন্তে নেই স্বাস্থ্যভবন। তাঁদের প্রত্যেকেই নেগেটিভ এসেছেন বটে। কিন্তু হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে আট দিন পরে ফের তাঁদের কোভিড টেস্ট করতে বলা হয়েছে। কেননা, পরে পজিটিভ আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেই সংক্রমণের নেপথ্যে থাকতে পারে ওমিক্রনও।

ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছে মহারাষ্টেÉর পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়েতে। সেখানকার এক কিশোরী ও তার পরিবার গত মাসে দেশে ফেরার সময়ে কোভিড নেগেটিভই হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিন আগে ১২ বছরের ওই কিশোরীর দাঁতে ব্যথা শুরু হয়। অস্ত্রোপচারের আগে নিয়মমাফিক করোনা পরীক্ষা করানো হলে পজিটিভ আসে সে।

যেহেতু সম্প্রতি আফ্রিকার দেশ থেকে ফিরেছে ওই কিশোরী– তাই তার সঙ্গেই পরিবারের সকলের করোনা পরীক্ষা হওয়ার পর নমুনাগুলি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়। রবিবার তার রিপোর্টে জানা গিয়েছে– কিশোরীর সঙ্গে তার পরিবারের আরও পাঁচ জন ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়েছেন।

স্বাস্থ্যভবনের এক কর্তা বলেন– এমনটা যে কোনও জায়গায় হতে পারে। তাই নেগেটিভ এলেও ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ থেকে আগত প্রত্যেকের ক্ষেত্রে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ও অষ্টম দিনে ফের কোভিড টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের। কিন্তু যেভাবে বিদেশ থেকে ফেরার পর হোম আইসোলেশনে থাকার বদলে সরকারি নির্দেশকা উপেক্ষা করে বিদেশ ফেরা মানুষেরা সাধারণের সঙ্গে মিশছে তাতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ব্রিটেন ফেরত ২২৫ জন, ‘ওমিক্রন’ আতঙ্ক চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ব্রিটেন ফেরত তরুণীকে নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা স্বস্তিতে থাকলেও, চিন্তা বাড়াচ্ছে ব্রিটেনের ফেরত বাকি ২২৫ জন। গতকালই ব্রিটেন থেকে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যুর খবর এসেছে।

 

আরও পড়ুন: ব্রেকিং: আতঙ্কের মধ্যেই আজ যাত্রা শুরু করল করমণ্ডল এক্সপ্রেস

দেশের অন্য প্রান্তে ও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে আফ্রিকা–ব্রিটেন– আমেরিকা থেকে আসা মানুষদের নিয়ে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের জন্য এখনও পর্যন্ত স্বস্তি এই মুহূর্তে ওমিক্রন আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি দুজন। তারমধ্যে ব্রিটেনের ফেরত তরুণীর জিনোম সিকোয়েন্সের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

আরও পড়ুন: ব্রেকিং: আতঙ্কের মাঝে ফের ওড়িশায় লাইনচ্যুত ট্রেন

 

আরও পড়ুন:    BREAKING NEWS: দ্বিতীয় হুগলী সেতুতে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন

কিন্তু চিন্তাটা অন্য জায়গায়। রবিবার কলকাতায় ব্রিটেন থেকে আসা ২২৫ জন যাত্রীর ব্যাপারে এখনও নিশ্চিন্তে নেই স্বাস্থ্যভবন। তাঁদের প্রত্যেকেই নেগেটিভ এসেছেন বটে। কিন্তু হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে আট দিন পরে ফের তাঁদের কোভিড টেস্ট করতে বলা হয়েছে। কেননা, পরে পজিটিভ আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেই সংক্রমণের নেপথ্যে থাকতে পারে ওমিক্রনও।

ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছে মহারাষ্টেÉর পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়েতে। সেখানকার এক কিশোরী ও তার পরিবার গত মাসে দেশে ফেরার সময়ে কোভিড নেগেটিভই হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিন আগে ১২ বছরের ওই কিশোরীর দাঁতে ব্যথা শুরু হয়। অস্ত্রোপচারের আগে নিয়মমাফিক করোনা পরীক্ষা করানো হলে পজিটিভ আসে সে।

যেহেতু সম্প্রতি আফ্রিকার দেশ থেকে ফিরেছে ওই কিশোরী– তাই তার সঙ্গেই পরিবারের সকলের করোনা পরীক্ষা হওয়ার পর নমুনাগুলি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়। রবিবার তার রিপোর্টে জানা গিয়েছে– কিশোরীর সঙ্গে তার পরিবারের আরও পাঁচ জন ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়েছেন।

স্বাস্থ্যভবনের এক কর্তা বলেন– এমনটা যে কোনও জায়গায় হতে পারে। তাই নেগেটিভ এলেও ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ থেকে আগত প্রত্যেকের ক্ষেত্রে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ও অষ্টম দিনে ফের কোভিড টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের। কিন্তু যেভাবে বিদেশ থেকে ফেরার পর হোম আইসোলেশনে থাকার বদলে সরকারি নির্দেশকা উপেক্ষা করে বিদেশ ফেরা মানুষেরা সাধারণের সঙ্গে মিশছে তাতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল।