২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নদী – দূষণ রোধে উদ্যোগ উলুবেড়িয়া পুরসভার!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 55

মুহাম্মদ রাকিবঃ দূষণ মুক্ত পুরসভা গড়তে উদ্যেগ নিয়েছে উলুবেড়িয়া পুরসভা। জানা গেছে, হুগলি নদীর পশ্চিম পাড় বরাবর উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২ টি ওয়ার্ড অবস্থান করছে। জনবহুল এলাকার পাশাপাশি উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকার বাউরিয়া, চেঙ্গাইল, ফুলেশ্বরে রয়েছে একাধিক কলকারখানা। খুব স্বাভাবিক ভাবেই যার কারণে হুগলি নদীতে বর্জ্য ফেলার প্রবনতা দেখা যায়। হুগলি নদীর তীরে উলুবেড়িয়া পুরসভার এলাকার মধ্যে ৩০টি ঘাট রয়েছে। এবার এই ঘাটের ধারে পাকাপাকিভাবে বর্জ্য ফেলার জন্য বালতি রাখার ব্যবস্থা করল পুরসভা। আর এবার থেকে সেই বর্জ্য নদীতে না ফেলে পাড়ে রাখা এই পাত্রে ফেলার জন্য বাসিন্দাদের কাছে আবেদন জানাল পুর কর্তৃপক্ষ। তার জন্য পুরসভার সাফাই কর্মীরা এলাকায় এলাকায় সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: একমাত্র পুত্রের প্রাণ বাঁচাতে লাগবে ১৭ কোটির ইনজেকশন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্জি বাবা-মায়ের

 

আরও পড়ুন: ভিয়েতনামে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি সেন্সি ড. মৌসুমী পাল

পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান ইনামূর রহমান জানান, এখনো পর্যন্ত ২০টি ঘাটে পাকাপাকিভাবে লোহার স্ট্যান্ড তৈরি করে বর্জ্য ফেলার বালতি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, বাকি ঘাটগুলিতেও বসানোর কাজও চলছে। পুর এলাকার পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য ফেলার জন্য দুটি পৃথক বালতি বসানো হয়েছে। সূত্রের খবর, উলুবেড়িয়া পুরসভার হুগলি নদী তীরবর্তী ২৪ নং ওয়ার্ডের জগদীশপুর থেকে শুরু করে বাউরিয়াতে ২ নং ওয়ার্ডের নদী ঘাটের পাশে লোহার খাঁচার মধ্যে পাকাপোক্তভাবে বর্জ্য ফেলার জন্য বালতি বসানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথমবার প্রকাশ্যে ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর

 

 

নির্মল বাংলা প্রকল্পে পুর এলাকা ছাড়াও বিশেষ করে নদী কে স্বচ্ছ করতে এহেন উদ্যোগ নিয়েছে উলুবেড়িয়া পুরসভা। যদিও আগেই এই সাফাই অভিযান কর্মসূচি কে একশো শতাংশ সফল করে তুলতে পুর এলাকার ৩২ টি ওয়ার্ডে বাড়িতে বাড়িতে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য ফেলার জন্য আলাদা বালতি দিয়েছে। পুরসভা কে সাফাই মুক্ত রাখতে প্রায় ৩০০ সাফাই কর্মী কাজ করছে। একদিকে যেমন পুরসভার পাশে হুগলি নদীকে দূষন মুক্ত রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ঠিক তেমনই দূষণ রোধে পুরসভা নির্বাচনের পর একাধিক পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে উলুবেড়িয়া পুরসভাকে।

 

উল্লেখ্য, উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২, ৩, ৪, ৫, ১০, ১১, ১৫, ১৭, ২১, ২২, ২৩, ২৪ এই ওয়ার্ড গুলি হুগলি নদী তীরবর্তী এলাকায় অবস্থান করে। সকাল বেলা পাড়ায় পাড়ায় বাঁশি বাজিয়ে বাসিrদাদের বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করছে সাফাই কর্মীরা। উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস ও ভাইস চেয়ারম্যান ইনামূর রহমান রা জানান, পচনশীল এবং অপচনশীল দুই প্রকার বর্জ্য পর্দাথই সংগ্রহ করা হচ্ছে। নদীকে দূষণ মুক্ত রাখতে নদী বাঁধের উপর বালতি রাখা হয়েছে। সে গুলোকে রাখা হয়েছে লোহার স্ট্যান্ডের উপর। নদীতে ময়লা আবর্জনা না ফেলে এই বালতিতে বাসিন্দাদের বর্জ্য ফেলার আবেদন করা হচ্ছে। বর্জ্য গুলিকে বালতি থেকে সংগ্রহ করে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে রাখা হচ্ছে। এছাড়াও কঠিন, তরল বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থাপনার র*পায়নের প্রক্রিয়ার পরিকাঠামো তৈরি শুরু হয়েছে। এছাড়াও, উলুবেড়িয়া পুরসভা কে আরও স্বচ্ছ করে রাখতে সুয়ারেজ ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হচ্ছে। তারজন্য ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে বলে পুরসভা সুত্রে জানা গেছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নদী – দূষণ রোধে উদ্যোগ উলুবেড়িয়া পুরসভার!

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার

মুহাম্মদ রাকিবঃ দূষণ মুক্ত পুরসভা গড়তে উদ্যেগ নিয়েছে উলুবেড়িয়া পুরসভা। জানা গেছে, হুগলি নদীর পশ্চিম পাড় বরাবর উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২ টি ওয়ার্ড অবস্থান করছে। জনবহুল এলাকার পাশাপাশি উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকার বাউরিয়া, চেঙ্গাইল, ফুলেশ্বরে রয়েছে একাধিক কলকারখানা। খুব স্বাভাবিক ভাবেই যার কারণে হুগলি নদীতে বর্জ্য ফেলার প্রবনতা দেখা যায়। হুগলি নদীর তীরে উলুবেড়িয়া পুরসভার এলাকার মধ্যে ৩০টি ঘাট রয়েছে। এবার এই ঘাটের ধারে পাকাপাকিভাবে বর্জ্য ফেলার জন্য বালতি রাখার ব্যবস্থা করল পুরসভা। আর এবার থেকে সেই বর্জ্য নদীতে না ফেলে পাড়ে রাখা এই পাত্রে ফেলার জন্য বাসিন্দাদের কাছে আবেদন জানাল পুর কর্তৃপক্ষ। তার জন্য পুরসভার সাফাই কর্মীরা এলাকায় এলাকায় সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: একমাত্র পুত্রের প্রাণ বাঁচাতে লাগবে ১৭ কোটির ইনজেকশন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্জি বাবা-মায়ের

 

আরও পড়ুন: ভিয়েতনামে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি সেন্সি ড. মৌসুমী পাল

পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান ইনামূর রহমান জানান, এখনো পর্যন্ত ২০টি ঘাটে পাকাপাকিভাবে লোহার স্ট্যান্ড তৈরি করে বর্জ্য ফেলার বালতি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, বাকি ঘাটগুলিতেও বসানোর কাজও চলছে। পুর এলাকার পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য ফেলার জন্য দুটি পৃথক বালতি বসানো হয়েছে। সূত্রের খবর, উলুবেড়িয়া পুরসভার হুগলি নদী তীরবর্তী ২৪ নং ওয়ার্ডের জগদীশপুর থেকে শুরু করে বাউরিয়াতে ২ নং ওয়ার্ডের নদী ঘাটের পাশে লোহার খাঁচার মধ্যে পাকাপোক্তভাবে বর্জ্য ফেলার জন্য বালতি বসানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথমবার প্রকাশ্যে ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর

 

 

নির্মল বাংলা প্রকল্পে পুর এলাকা ছাড়াও বিশেষ করে নদী কে স্বচ্ছ করতে এহেন উদ্যোগ নিয়েছে উলুবেড়িয়া পুরসভা। যদিও আগেই এই সাফাই অভিযান কর্মসূচি কে একশো শতাংশ সফল করে তুলতে পুর এলাকার ৩২ টি ওয়ার্ডে বাড়িতে বাড়িতে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য ফেলার জন্য আলাদা বালতি দিয়েছে। পুরসভা কে সাফাই মুক্ত রাখতে প্রায় ৩০০ সাফাই কর্মী কাজ করছে। একদিকে যেমন পুরসভার পাশে হুগলি নদীকে দূষন মুক্ত রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ঠিক তেমনই দূষণ রোধে পুরসভা নির্বাচনের পর একাধিক পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে উলুবেড়িয়া পুরসভাকে।

 

উল্লেখ্য, উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২, ৩, ৪, ৫, ১০, ১১, ১৫, ১৭, ২১, ২২, ২৩, ২৪ এই ওয়ার্ড গুলি হুগলি নদী তীরবর্তী এলাকায় অবস্থান করে। সকাল বেলা পাড়ায় পাড়ায় বাঁশি বাজিয়ে বাসিrদাদের বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করছে সাফাই কর্মীরা। উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস ও ভাইস চেয়ারম্যান ইনামূর রহমান রা জানান, পচনশীল এবং অপচনশীল দুই প্রকার বর্জ্য পর্দাথই সংগ্রহ করা হচ্ছে। নদীকে দূষণ মুক্ত রাখতে নদী বাঁধের উপর বালতি রাখা হয়েছে। সে গুলোকে রাখা হয়েছে লোহার স্ট্যান্ডের উপর। নদীতে ময়লা আবর্জনা না ফেলে এই বালতিতে বাসিন্দাদের বর্জ্য ফেলার আবেদন করা হচ্ছে। বর্জ্য গুলিকে বালতি থেকে সংগ্রহ করে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে রাখা হচ্ছে। এছাড়াও কঠিন, তরল বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থাপনার র*পায়নের প্রক্রিয়ার পরিকাঠামো তৈরি শুরু হয়েছে। এছাড়াও, উলুবেড়িয়া পুরসভা কে আরও স্বচ্ছ করে রাখতে সুয়ারেজ ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হচ্ছে। তারজন্য ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে বলে পুরসভা সুত্রে জানা গেছে।